দুই বছর কোমায় থাকার পর কাতার প্রবাসীর মৃত্যু, সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার
ভাগ্য পরিবর্তনে পাড়ি জমিয়েছেন কাতার। কাজ করতেন এসির। তিন মেয়ে, স্ত্রী ও বাবা-মা নিয়ে ছিল সুখের সংসার। হঠাৎ কাজে যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় মারাত্মক আহত হয়ে ছিলেন কোমায়। অবশেষে দীর্ঘ ২ বছর জীবন মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। এদিকে চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে সব হারিয়ে নিঃস্ব পরিবার। বলছিলাম লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের কাতার প্রবাসী মো. মিলনের (৪০) কথা। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) দুপুর ২ টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মিলন লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের পানিয়ালা গ্রামের গনক বাড়ির মৃত মো. মোস্তফার ছেলে।
মিলনের ফুফাতো ভাই প্রবাসী জহির রবি বলেন, মিলন ভাই সদা হাসোজ্জল ছিলেন। সে কাতারে এসির কাজ করতো, নিজের গাড়ি ছিলো। ২০২২ সালে বড় কন্টিনার তাকে চাপা দিছে। দীর্ঘ দুই বছর কোমায় থেকে আজকে মৃত্যুবরণ করেছেন। তার বড় মেয়ে ১৪ বছর, মেজো মেয়ে ৬ বছর ও ছোট মেয়ে সাড়ে ৩ বছরের। দীর্ঘ সময় চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে নিঃস্ব হয়েছে পরিবার।
মিলনের চাচাতো ভাই রাজু মিশুরি বলেন, আমার কাকা দুই বিয়ে করেছেন। প্রথম সংসারের মিলন ভাই একমাত্র সন্তান ছিলেন। দুর্ঘটনার পর কাতার থেকে দেশে আসা সাথে সাথেই রাজধানীর গ্রীন লাইফ হসপিটালে আইসিউতে ছিল। দীর্ঘ দুই বছর চিকিৎসার খরচ চালাতে গিয়ে পরিবারটি বর্তমানে কঠিন অবস্থায় জীবন যাপন করতেছে। শারিরিক অবস্থার উন্নতি না দেখে বাড়িতে নিয়ে আসছিলো। আজ দুপুরে দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করে চিরবিদায় নিয়ে চলে গেছে।
নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কাতার প্রবাসী মিলনের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দীর্ঘদিন হাসপাতালে যুদ্ধ করেছিল মিলন। তার পরিবার তার খরচ চালাতে চালাতে নিঃস্ব হয়ে গেছে। তার স্ত্রী ও মেয়েরা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন। আজ পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।