চাঁদপুরে নামাজরত অবস্থায় মুয়াজ্জিনকে কুপিয়ে জখম
ফজরের সুন্নত নামাজে থাকা অবস্থায় মসজিদে ডুকে মোয়াজ্জিন সোলাইমান আখনকে (৫৫) কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা।
বৃহস্পতিবার (০১ আগস্ট) ফজর নামাজের আজান শেষ করে সুন্নত নামাজে সেজদায় থাকা অবস্থায় পিছন থেকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
ঘটনাটি চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলার পূর্বচর কৃষ্ণপুর গ্রামের আখন বাড়ি জামে মসজিদে ঘটে। কিছুক্ষণ পরে এক মুসল্লী মসজিদে এসে মুয়াজ্জিনকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসে। পরে অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠান।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক মো. মাসুদ জানান, ভোরবেলা কয়েকজন লোক একজন বৃদ্ধ লোককে আহত অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। লোকটিকে পিছন থেকে কোপানো হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে পাঠাই। সেখান থেকেও তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেপার্ড করা হয়েছে।
মসজিদের ইমাম ও খতিব মাওলানা মো. বোরহান উদ্দিন জানান, মসজিদের মুয়াজ্জিন সোলাইমান আখন প্রতিদিনের মত আজও ফজর নামাজের আজান শেষ করে সুন্নত নামাজে দাড়ান। নামাজে সেজদায় অবস্থায় দূর্বৃত্তরা পিছন থেকে কুপিয়ে তাকে জখম করে চলে যায়। আজানের ১৫ মিনিট পরে তিনি মসজিদে এসে দেখেন স্থানীয় মুসল্লীরা মুয়াজ্জিনকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন।
মুয়াজ্জিনের ছেলে সজীব হোসেন বলেন, আমার চাচা সিরাজ আখন ও গনি আখনের সাথে জমি সংক্রান্ত বিষয়ে বিরোধ চলে আসছে। গত মাসে আমার চাচারা বাবাকে হত্যা করার হুমকি দেন। তারাই আজ আমার বাবাকে একা পেয়ে মসজিদে ডুকে হত্যার জন্য কুপিয়ে জখম করেছে। আমার বাবাকে তারা মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। আমি আমার চাচাদের বিচার চাই।
হাইমচর থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ইয়াসিন জানান, রাতের অন্ধকারে মসজিদে ডুকে পিছন থেকে কুপানো হয়েছে মুয়াজ্জিনকে। কয়জন ছিল বা কে কুপিয়েছে তিনি শনাক্ত করতে পারেননি। তবে তিনি ৪ জনকে সন্দেহ করছেন। এ বিষয়ে ভিকটিমের লোকজন অভিযোগ দিতে থানায় এসেছে। আমরা অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।