জামায়াত-শিবিরের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার দাবি

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহাম্মেদ এক যৌথ বিবৃতিতে যুদ্ধাপরাধীদের দল সন্ত্রাসবাদী সংগঠন জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করায় স্বাগত জানিয়েছেন।

তারা বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির এদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই ধমীর্য় উগ্রবাদী, সন্ত্রাসবাদী কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। সামরিক শাসক জিয়ার প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির আবারও প্রকাশ্যে রাজনীতিতে আর্বিভুত হয়। সামরিক শাসক জিয়া ও এরশাদের ছায়ায় ৮০’র দশকে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির আবারও তাদের সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি চালু করে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইনস্টিটিউট, মাদ্রাসা দখল করে গলাকাটা, রগকাটার সন্ত্রাসবাদী রাজনীতি শুরু করে।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক, প্রগতিশীল সংগঠনের শত শত নেতাকমীর্কে হত্যা এবং হাত পায়ের রগ কেটে চিরদিনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেয়। যুদ্ধে ব্যবহৃত গান পাউডার ব্যবহার করে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের হল, হোস্টেলে আগুন জ্বালিয়ে ভষ্মিভুত করে দেয়। এতোদিন পর্যন্ত জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির সংগঠনের ব্যানারে বাংলাদেশে মৌলবাদী, সন্ত্রাসবাদী ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে।

নেতৃদ্বয় যৌথ বিবৃতিতে বলেন, জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবির কে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসাবে চিহ্নিত করে সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি করে নিষিদ্ধ ঘোষনা করায় বাংলাদেশ আজ কলঙ্কমুক্ত হলো,  তবে শুধু নিষিদ্ধ করলেই হবে না, একই সাথে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের সকল সাংগঠনিক পর্যায়ে যুক্ত ব্যক্তিদেরও সন্ত্রাসবাদী হিসেবে তালিকা প্রকাশ, শিবিরের দ্বারা সংঘটিত সকল হত্যা ও অপকর্মের বিচার এবং জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী  ছাত্রশিবির নিয়ন্ত্রিত সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টারসহ সকল প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

ইসলামী ছাত্রশিবির কর্তৃক নিহত ও আহত জাসদ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দের একটি পরিসংখ্যান দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৮৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর সিলেট এমসি কলেজে মুনীর-ই-কিবরিয়া চৌধুরী, তপন জ্যোতি দে, এনামুল হক জুয়েল, ১৯৯২ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা ইয়াসির আরাফাত পিটু, ১৯৯৩ সালের ২১ জুন রাজশাহী মহানগরের ছাত্রনেতা মুকিম, ১৯৮৮ সালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কমিটির ছাত্রনেতা জালাল প্রাণ হারিয়েছেন।

১৯৮৮ সালের ১৭ জুলাই এসএম বহিরাগত শিবির ক্যাডাররা হামলা চালিয়ে জাসদ ছাত্রলীগের রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ও সিনটে সদস্য আইয়ুব আলী খান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ও সিনেট সদস্য আহসানুল কবির বাদল ও হল সংসদের ভিপি নওশাদের হাত-পায়ের রগ কেটে দেয় এবং বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, জেলা, মহানগর কমিটির অসংখ্য নেতাকর্মী শিবিরের হামলা ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন।