আন্দোলনের গুলিবিদ্ধ তাইবুর, চিকিৎসা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পরিবার

  • করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম,বরিশাল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

আহত তাইবুর, ছবি: বার্তা২৪.কম

আহত তাইবুর, ছবি: বার্তা২৪.কম

বরিশাল সরকারি সৈয়দ হাতেম আলী কলেজ চৌমাথা এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র-জনতার সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের সময় বিপরীত দিক থেকে ছোড়া গুলিতে মাথা ও পিঠ সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় বরিশাল ইসলামিয়া কলেজের বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র মোঃ তাইবুর রহমান।। আহত অবস্থায় ওই দিনই তাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করলেও পরে উন্নত চিকিসার জন্য ঢাকা প্রেরণ করা হয়।

চিকিৎসার জন্য তার পরিবারের প্রায় ৭০থেকে ৮০ হাজার টাকা ব্যয় হলেও এখনো পর্যন্ত পাননি কোনো সহযোগিতা। বরিশাল নগরীর কাউনিয়া হাউজিং এলাকার আব্দুল হাই মিয়ার ভাড়াটিয়া এবং বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সতরাজ গ্রামের বাসিন্দা ছাত্র তাইবুর।

বিজ্ঞাপন

আহত তাইবুরের বাবা মাইনুল খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তার ছেলের মাথাসহ হাত-পায়ে ও পিঠে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। শরীরজুড়ে রয়েছে ছড়া গুলির ক্ষত-বিক্ষতর চিহ্ন। ব্যবসার ক্যাশ টাকা থেকে ছেলের চিকিৎসার করিয়েছি। কিন্তু পাইনি কোন ব্যক্তি বা দফতরের সহযোগিতা।

তিনি আরও বলেন, ব্যবসার টাকা ব্যয় করেও এখন পর্যন্ত ছেলেকে পুরো সুস্থ করে তুলতে পারিনি। অন্তবর্তীকালীন সরকার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত সিংহভাগ শিক্ষার্থীর চিকিৎসার ব্যয় বহন করলেও আমার বেলায় তা জুটেনি। ব্যবসার মূলধন ছেলের চিকিৎসায় ব্যয় করে এখন মানবেতর জীবন যাপন করছি। আমাদের কাছে আর টাকা নাই তাই এখন ছেলের চিকিৎসাও করাতে পারছি না। বিনাচিকিৎসায় ছেলেটার অবস্থা দেখে আমরাও ভালো নেই।

আহত তাইবুর এর মা মোসাঃ তাসলিমা বেগম বার্তা২৪.কমকে জানান, নিজ সন্তানের শরীর থেকে ছড়া গুলির ছোট ছোট কার্তুজ উঠিয়েছি। সেই গুলি আমার কাছে রয়েছে। ছেলের সুস্থতা ও ভবিষ্যত উজ্জ্বল হোক এটাই অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে কামনা করি।

তিনি আরও বলেন, সংসারে ২ ছেলের মধ্যে তাইবুর বড়। ছোট ছেলে এখনও শিশু। তাদের সংসারে হাল ধরার কেউ নেই। ব্যবসার অর্থও চিকিৎসায় ব্যয় হয়ে গেছে। এখন অভাব অনটনের মধ্যে জীবনযাপন করছে।

আহত তাইবুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, জীবনে কিছু পাই বা না পাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে আছি এবং থাকবো। যেহুতু আমিও একজন ছা্ত্র। তাই ছাত্র সমাজের বাহিরে কখনই যাবার প্রশ্ন উঠে না। আমি লেখাপড়ার মধ্যে বা শেষ করে ভালো একটি চাকুরি করে পরিবারের পাশে দাঁড়াতে চাই।