টেকনাফে বিদেশি অস্ত্রসহ যুবক আটক, পরিবারের দাবি ষড়যন্ত্র

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কক্সবাজার
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

টেকনাফে বিদেশি অস্ত্রসহ যুবক আটক/ছবি: সংগৃহীত

টেকনাফে বিদেশি অস্ত্রসহ যুবক আটক/ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফের সাবরাংয়ে বিদেশী জি-৩ রাইফেল, ম্যাগাজিন ও গোলাবারুদসহ এক যুবককে আটক করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হয় কোস্ট গার্ডের পক্ষ থেকে। এদিকে আটকের কয়েক ঘন্টা পর পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি মিথ্যা দাবি করে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করেন আটক যুবকের পরিবার।

শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ভোর রাতে সাবরাং এলাকায় অভিযান চালিয়ে অস্ত্রসহ মোঃ শহিদ নামের যুবককে আটক করা হয় বলে জানায় কোস্ট গার্ড।

বিজ্ঞাপন

বেলা ১১টার দিকে টেকনাফ কোস্ট গার্ড স্টেশন মিলনায়তনে অভিযানের বিষয়ে ব্রিফিংকালে কোস্টগার্ডের টেকনাফ স্টেশন কমান্ডার লে. কমান্ডার লুৎফুল লাহিল মাজিদ জানান, টেকনাফের সাবরাং এলাকার মো. শহিদ দীর্ঘদিন যাবত পার্শ্ববর্তী দেশ মিয়ানমার থেকে অস্ত্র পাচার করে টেকনাফের ডাকাত দলকে সরবরাহ করে আসছিলো। এ খবরে ভোর রাত দেড়টা পর্যন্ত টেকনাফ বিসিজি স্টেশনের কোস্ট গার্ডের সদস্যরা মো. শহিদ এর বাড়িতে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালীন দেড়টার দিকে মো. শহিদ এর বাড়ির তল্লাশি চালিয়ে সাদা রঙের বস্তায় মোড়ানো অবস্থায় ১টি G-3 রাইফেল ও ম্যাগাজিন ৮ রাউন্ড তাজা গোলা এবং ১টি দেশীয় চাপাতিসহ মো. শহিদ (৩৭) কে কোস্টগার্ড আটক করতে সক্ষম হন।

এদিকে দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ পৌরসভাস্থ বাসস্টেশন আবু ছিদ্দিক মার্কেটে পাল্টা এক সংবাদ সম্মেলন করে শহিদের পরিবার। সেখানে লিখিত বক্তব্যে শহিদের ভাই রাগেব উল্লাহ বলেন, আমার বড়ভাইকে ফাঁসিয়ে আমার চোখের সামনেই আটকের নাটক মঞ্চস্থ করা হয়েছে। আমার সামনেই ভাইয়ের বাড়িতে তল্লাশী করে কিছুই পায়নি। কিন্তু বাড়ী থেকে প্রায় ৮০-১০০ফুট দূরে সুপারী ভিটা থেকে বস্তায় মোড়ানো অস্ত্র নিয়ে আসে দুইজন কোস্টগার্ড সদস্য।

তিনি লিখিত বক্তব্যে জানান, মূলত ঘটনাটি হচ্ছে কিছুদিন আগে মোয়াজ্জেম হোসেন প্রকাশ দানু ও আবদুল আমিন প্রকাশ রুল্ল্যা মাঝিকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করে মুন্ডারডেইল নৌ ঘাট মালিক ও শ্রমিকেরা এবং সম্প্রতি “শহিদ উল্লাহ” কে সভাপতি করে একটি ঘাট কমিটি গঠন করা হয়। এঘটনার কারণে ষড়যন্ত্রপূর্বক আমার ভাইয়ের সুপারী বাগানে অস্ত্র রেখে দিয়ে মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে। শহিদ কোনক্রমেই অবৈধ মাদক ও মানবপাচারের সাথে জড়িত নয়, যা তদন্ত করলে সত্যতা পাওয়া যাবে। মূলত শহিদ উল্লাহকে উক্ত ঘাট কমিটি থেকে সরিয়ে দিতে পারলে মাদক ও মানবপাচারসহ সুবিধাজনক হবে। উক্ত অস্ত্রসহ আটক দেখানো ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলায় তদন্তপূর্বক প্রত্যাহার ও তার মুক্তি দাবী করছি।