আউটসোর্সিং প্রকল্পে কর্মরতদের জাতীয়করণের দাবি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা ২৪. কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত সকল দপ্তর, অধিদপ্তরে নিয়োজিত আউটসোর্সিং, দৈনিক মুজুরি ভিত্তিক এবং প্রকল্পে কর্মরত সকলকে স্ব-স্ব প্রতিষ্ঠানে বয়স শিথিল করে জাতীয়করণ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ।

বুধবার (২ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে এই দাবি জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

গোলটেবিল বৈঠকে আউটসোর্সিং কাজে নিয়োজিত কর্মচারীরা তাদের দুঃখ দুর্দশা তুলে ধরে বলেন, টেন্ডার জটিলতায় কর্মরত অনেকের চাকরি চলে যায়, বছর শেষে জুন মাসে রিনিউ করার নামে বিপুল অঙ্কের ঘুষ দাবি করেন, ঘুষ না দিলে চাকরি চলে যায়। প্রতি মাসে বেতন পায় না, কখনো কখনো ৫ থেকে ৬ মাস, ১ থেকে ২ বছরও বেতন বকেয়া থাকে। কোনো অপরাধ ছাড়াই বিনা কারণে কথায় কথায় চাকরিচ্যুত করা হয় দক্ষ কর্মচারীদের।

তারা অভিযোগ করে বলেন, সরকারি দপ্তর, অধিদপ্তর, পরিদপ্তরে ইতোমধ্যে অনেকেরই বিনা অপরাধে এবং ঠিকাদারকে ঘুষ না দিতে পারায় চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আমরা চাকরিচ্যুতদেরকে চাকরিতে পুনর্বহাল করার অনুরোধ জানাচ্ছি।

তারা আরও বলেন, জেলা-উপজেলায় ঠিকাদারের হাত থেকে আমাদের বেতন নিতে হচ্ছে। তারা আমাদের সরকার নির্ধারিত বেতন না দিয়ে মনগড়া বেতন প্রদান করে এবং বেতন প্রদানের কোনো নির্দিষ্ট তারিখও থাকে না। আবার নির্ধারিত কর্মঘণ্টা কাজ করার পরও অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা কাজ করতে হয়। বিনিময়ে আমরা কোনো পারিশ্রমিক পাই না।

এসময় বৈঠকে তাদের দাবির প্রতি সংহতি জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামীর বাংলাদেশে আপনাদের ক্ষেত্রে যে অধিকারের বৈষম্য ঘটছে এটা চলতে পারে না। আপনাদের চাকরির নিশ্চয়তা দিতে হবে। আপনাদের মাঝখানে ঠিকাদার আছে তাদের বাদ দিয়ে দেন। এদের কোনো প্রয়োজনীয়তা নাই। আপনাদের পরিশ্রমের টাকা তাদের পকেটে যায়ার কোন প্রয়োজন নাই।

একদেশে দুই নীতি চলবে না মন্তব্য করে তিনি বলেন, লোক নিয়োগের একটা সরকারি প্রক্রিয়া আছে সেটা আপনারা চালু করেন। কিন্তু আউটসোর্সিংয়ের নামে সব অধিকার কাটিং করে কতিপয় ঠিকাদার এখানে মানুষ নিয়ে ব্যবসা করবে এটা আর চলতে দেয়া যাবে না।

সাংবাদিক ও কলামিস্ট মাসুদ কামাল বলেন, যারা এধরনের নিয়ম করেছে তারা ঘৃণিত। তারা মানুষের কাতারেই পড়ে না। জুলাই আগস্টে আমরা আন্দোলন করেছি অপব্যবস্থার বিরুদ্ধে। আমরা শুধু সরকার পরিবর্তনের জন্য আন্দোলন করিনি।

সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনারা এগুলো সমাধান করেন। মানুষের দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে আবার আন্দোলন করবে।

আরেক সাংবাদিক ও কলামিস্ট আশরাফ কায়সার বলেন, আমরা আপনাদের সাথে একাত্মতা পোষণ করছি। আপনাদের এই অবস্থা থেকে উত্তরণ ঘটতেই হবে। আপনাদের অধিকার আদায়ের দাবি যৌক্তিক। আমরা দাস প্রথার বিলুপ্তি চাই।

বাংলাদেশ চতুর্থ শ্রেণি সরকারি কর্মচারী সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি মোঃ আজিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ আউটসোর্সিং কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এম.এম জীবনের সঞ্চালনায় এসময় আউটসোর্সিং কাজের সাথে যুক্ত কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।