পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় ফায়ার সার্ভিসকে সতর্ক থাকতে হবে: চসিক প্রশাসক

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মো. তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, ফায়ার সার্ভিসকে ২৪ ঘন্টা পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয় সতর্ক থাকতে হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক গঠিত কমিটির প্রথম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

মো. তোফায়েল ইসলাম বলেন, দূর্গা পূজা যাতে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা যায় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে কাজ করতে হবে। বিশেষ করে ফায়ার সার্ভিসকে ২৪ ঘন্টা পূজা মন্ডপগুলোর নিরাপত্তার বিষয় সতর্ক থাকতে হবে। প্রতিমা বিসর্জনের এলাকাগুলোতে ডুবুরি এবং যেকোনো অগ্নিকাণ্ড ঘটলে সেটি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত লোকবল রাখতে হবে। সিটি কর্পোরেশন প্রকৌশল বিভাগকে দ্রুত প্যাঁচওয়ার্কের কাজ শেষ করতে হবে। নগরীর ড্রেনগুলোর ম্যাপিং করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার এই কমিটিকে দায়িত্ব দিয়েছে। আমরা কমিটির সবাই মিলে কর্পোরেশনকে সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার মাধ্যমে নগরীর উন্নয়নে কাজ করব। পূজার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের জন্য আমরা নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যে সমস্ত এলাকায় ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাচ্ছে সেখানে প্রকোপ অনুযায়ী পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে এছাড়া মশা নিয়ন্ত্রণে সর্বোচ্চ শক্তি প্রয়োগ করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বৃষ্টিতে নগরীর সড়কগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সবগুলো সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। নগরীর আলোকায়ন নিশ্চিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী বলেন, নগরীর জলবদ্ধতার অন্যতম কারণ নালার মাঝে অপরিকল্পিতভাবে সংযোগ লাইনের পাইপ। এই পাইপ গুলোর কারণে ভারী বৃষ্টি হলে ময়লা জমে পানি চলাচল করতে পারেনা। ফলে নগরীতে জনবদ্ধতা তৈরি হয়। এ সমস্যা সমাধানে ওয়াসা ও পিডিবিকে এগিয়ে আসতে হবে।

স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক-বলেন চট্টগ্রামের সার্বিক স্বাস্থ্য মানের উন্নয়নে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নয়ন করা প্রয়োজন বিশেষ করে সংগৃহীত বর্জ্য পৃথকীকরণের মাধ্যমে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের বর্জ্যকে আলাদাভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে। নগরীর ড্রেনেজ ব্যবস্থার মান উন্নয়ন করা গেলে নগরী জলবদ্ধতা কমবে ডেঙ্গু সহ বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুর্ভাব কমবে। নাগরিকদের স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিতে প্রথম সিটি কর্পোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগের অবকাঠামো গত সক্ষমতা এবং কুফল বাড়াতে হবে।

ওয়াসার ডিএমডি বিষ্ণ কুমার সরকার জানান, চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরীর সুপারিশ ব্যবস্থাপনায় বিজ্ঞানভিত্তিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এছাড়া নগরীর প্রতিটি এলাকায় সুপেয় পানি সরবরাহে কাজ করছে ওয়াসা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনর সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আমিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম, শাহরিন ফেরদৌস, রক্তিম চৌধুরীসহ কর্মকর্তাবৃন্দ। সভায় সরকারী অন্যান্য সংস্থার সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।