নেত্রকোনায় পাঁচ ইউনিয়নে পানিবন্দি বিশ হাজার মানুষ

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোনা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

ভারী বর্ষণ আর উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে নেত্রকোনার দুর্গাপুরে সোমেশ্বরী ও কংস নদীর পানি বৃদ্ধি পেলেও এখনো বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে প্রবেশ করেছে পানি।

ঢলের পানিতে উপজেলার কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া চন্ডিগড় ও কাকৈরগড়া ইউনিয়নের প্রায় বিশ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

বিজ্ঞাপন

শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পানিবন্দি এইসব এলাকা পরিদর্শন করেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক বনানী বিশ্বাস। এ সময় তিনি উপজেলার কাঁকৈরগড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখেন। পরে রামবাড়ী গ্রামে শতাধিক মানুষের মাঝে শুকনা খাবার, চাউল ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট বিতরণ করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রাফিকুজ্জামান, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, দুর্গাপুর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম।

এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সূত্র বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নেত্রকোনার জারিয়া পয়েন্টে ২৫০ মিলিমিটার ও দুর্গাপুর পয়েন্ট ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।

শনিবার (৫ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, কলমাকান্দা উপজেলায় উব্দাখালী নদীর পানি ডাকবাংলা পয়েন্টে বিপদসীমার ৩২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এছাড়াও জেলার অন্যতম প্রধান নদী সোমেশ্বরী নদীর পানি বিজয়পুর পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৩৯ সেন্টিমিটার ও দুর্গাপুর পয়েন্ট ৮০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পূর্বধলায় কংস নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৬ সেন্টিমিটার নিচ প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়াও খালিয়াজুরিতে ধনু নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ২০২ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সারওয়ার জাহান জানান, ভারতের অভ্যন্তরে এখনো বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। এর ফলে সীমান্তবর্তী নদ-নদী গুলোতে পানি কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে নদীর পানিও কমতে শুরু করবে। তবে এখন পর্যন্ত জেলার প্রায় সব কয়টি বিপদসীমার নিচে রয়েছে।

এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বৃষ্টির পানিতে দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া, গাওকান্দিয়া ও চন্ডিগড়ের বেশ কিছু নিচু এলাকায় জলাবদ্ধতা হয়েছে।