ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েও গ্রেফতার ফেনীর সিয়াম জামিনে মুক্ত

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে ছাত্র-জনতার বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নেন মোহাম্মদ সিয়াম সাজিদ নামে ফেনী ইউনিভার্সিটির এক শিক্ষার্থী। আন্দোলনে অংশ নিয়ে আহত হলেও ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় ফেনী মডেল থানায় দায়ের করা এক মামলার ৭৭ নম্বর আসামি করা সিয়ামকে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. আবদুল হান্নান মামলাটি দায়ের করলেও তিনি জানান এ মামলার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না।

শুক্রবার (৪ অক্টোবর) এ মামলায় সদর উপজেলার ধর্মপুর এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশে হস্তান্তর করে র‍্যাব। তবে শনিবার (৫ অক্টোবর) সিয়ামকে আদালতে তোলা হলে আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমান তার জামিন মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, মোহাম্মদ সাজিদ সিয়াম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে আহত হন। সে ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের মঠবাড়িয়া গ্রামের খুরশিদ মাস্টারের ছেলে। তিনি ফেনী ইউনিভার্সিটির বিবিএ ডিপার্টমেন্টের ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

সিয়ামের গ্রেফতারের খবরে শুক্রবার (৪ অক্টোবর) রাতভর ফেনী ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন। শনিবার বিকেলের দিকে তাকে আদালতে নিলে সেখানেও উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ফটকে অবস্থান নিয়ে চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। সন্ধ্যায় সিয়ামের জামিন আদেশের পরে তাকে নিয়ে আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করেন সহপাঠীরা।

এ বিষয়ে মামলার বাদী আবদুল হান্নান বলেন, আমি সিয়াম নামে কাউকে কখনো দেখিনি। এছাড়া এ মামলার ব্যাপারেও কিছু জানি না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেনীর সমন্বয়ক আব্দুল কাইয়ুম বলেন, সিয়াম আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেও ষড়যন্ত্রমূলক এ মামলার আসামি হয়েছেন।সেজন্য তাকে ছাড়াতে আমরা সবাই একত্রিত হয়ে এসেছি। এভাবে যেন আর কাউকে মিথ্যা মামলায় হয়রানি করা না হয় সেদিকে সবার নজর রাখতে হবে।

এ ব্যাপারে সিয়ামের আইনজীবী মাসুদুর রহমান বলেন, সিয়াম আন্দোলনে সক্রিয় থেকে গুলিবিদ্ধ হন। কিন্তু জমি সংক্রান্ত একটি বিরোধের জেরে তাকে মিথ্যা মামলায় আসামি করা হয়েছে। আদালতে বিস্তারিত তুলে ধরার পর বিচারক ৭ দিনের জামিন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি আগামী ৭ দিনের মধ্যে সিয়ামের মেডিকেল সার্টিফিকেটের তথ্য উপস্থাপন করতে আদেশ দিয়েছেন।

এদিন আদালত প্রাঙ্গণে ফেনী ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক কাজী মনিরুল ইসলাম, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান আলি আকবর সিয়ামসহ ইউনিভার্সিটির বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।