বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না: ফরিদা আখতার

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, এবারের পূজাটা যেন নতুন বাংলাদেশের পূজা হয়। বাংলাদেশে সংখ্যালঘু-সংখ্যাগরিষ্ঠ বলে কিছু থাকতে পারে না। এখানে আমরা সবাই একটা পরিবারের মানুষ। আমরা এখানে কে হিন্দু কে বৌদ্ধ এটা নিয়ে কোন বৈষম্য হবে না।

তিনি বলেন, আমরা ঈদে আনন্দ করবো পূজায় ভয়ে থাকবো এটা হয় না। আমাদের পূজায় কেন ভয়ে থাকবে হবে। পুলিশ দিয়ে আনসার দিয়ে পাহাড়া দিয়ে পূজাটাকে আনন্দময় করবো এটা তো হয় না। এটা আসলেই আনন্দের জিনিস হিন্দু মুসলিম সবাই মিলে আমরা আনন্দ করতে পারি। সেজন্য সামাজিকভাবে পরিস্থিতি তৈরি করতে হবে যেন সবাই আনন্দটা করতে পরি। সবাই যদি চেষ্টা করি তাহলে অবশ্যই ভালো একটা পূজা করতে পারবো।

বিজ্ঞাপন

সোমবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সদস্যেদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারটা গঠিত হয়েছে। যে জুলাই থেকে আগস্ট পর্যন্ত আন্দোলন দীর্ঘদিনের মানুষের মধ্যে বৈষম্যবোধ ছিল, বঞ্চনার ব্যাপার ছিল, বঞ্চিত হওয়ার ব্যাপার ছিল। সব উজ্জীবিত হয়েই কিন্তু আন্দোলনটা তুঙ্গে উঠেছিল। অনেকে মনে করেন এটা ছাত্রদের আন্দোলন কিন্তু না এটা ছাত্র-জনতার আন্দোলন ছিল। সর্বস্তের মানুষ আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। সাধারণ দিনমজুরের বাচ্চা ছেলে ১৪-১৫ বছরের ছেলে সে আবু সাঈদের ভিডিও দেখে নাকি রাস্তায় নেমে গেছে মা গেলাম বলে রাস্তায় মেনে গেছে।

জেলা প্রশাসক শরীফা হকের সভাপতিত্বে সভায় উপস্তিত ছিলেন পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম সানতু, সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল বাছেদ, টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ, জেলা পূজা উদযাপন কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি চিত্তরঞ্জন সরকার, সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ গুণ ঝন্টু, সদর উপজেলা শাখার সভাপতি দীলিপ দাস, ভূঞাপুর উপজেলা শাখার সভাপতি স্মরণ দত্ত প্রমুখ।