চট্টগ্রামে ৪৫০ টাকায় ৮ কেজি সবজি-পেঁয়াজ-ডিম পাচ্ছেন মানুষ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর, ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর, ছবি: আনিসুজ্জামান দুলাল

চট্টগ্রামে ট্রাকসেল-এ পণ্য বিক্রি না করা নিয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার হুঁশিয়ারির পর ঘুম ভেঙেছে কৃষি বিপণন অধিদফতরের।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) থেকে সংস্থাটি নগরীর পাঁচ পয়েন্টে ৪৫০ টাকায় ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এই কার্যক্রমে তাদের সহযোগিতা করছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার সকালে নগরীর চকবাজারের কাঁচাবাজারের সামনে গিয়ে দেখা যায়, ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি করছে কৃষি বিপণন অধিদফতর। ট্রাকের ওপর পেঁয়াজসহ নানা সবজির বস্তা। আছে ডিমও। ট্রাকের সামনে নারী ও পুরুষের দুটি দীর্ঘ লাইন। ন্যায্যমূল্যে পণ্য পাওয়ায় সাধারণ মানুষদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া দেখা গেছে। ফলে পণ্য বিক্রির সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা দম ফেলার ফুসরতও পাচ্ছিলেন না।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের কর্মকর্তারা জানান, তারা ৪৫০ টাকার প্যাকেজে পাঁচ পদের পণ্য দিচ্ছেন। এর মধ্যে আছে এক ডজন ডিম, দুই কেজি পেঁয়াজ, চার কেজি আলু, এক কেজি করলা, এক কেজি পেঁপে। ভোক্তারা প্রতি ডজন ডিম ১৩০ টাকা, দুই কেজি পেঁয়াজ ১৪০ টাকা, চার কেজি আলু ১২০ টাকা, এক কেজি করলা ৪০ টাকা ও এক কেজি পেঁপে পাচ্ছেন ২০ টাকায়।

কৃষি বিপণন অধিদফতরের এই কার্যক্রম তদারকি করছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চট্টগ্রামের অন্যতম সমন্বয়ক ও টাস্কফোর্স টিমের সদস্য জোবায়ের আলম মানিক।


তিনি বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘কৃষি বিপণন অধিদফতরের অধীনে নগরীর পাঁচটি পয়েন্টে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। আমরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেও এর আগে এমন কার্যক্রম শুরু করেছিলাম। এখন থেকে কৃষি বিপণন অধিদফতরও শুরু করল। আমরা সরাসরি কৃষক আর বাজার থেকে পণ্য সংগ্রহ করে গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছি। আমরা স্বল্পলাভেই এসব পণ্য দিচ্ছি। সুতরাং যারা মধ্যসত্বভোগী ব্যবসায়ী যারা আছে তাদের একটা বার্তা দিতে চাই, সেটি হলো আমরা শিক্ষার্থী কিংবা সরকার যদি স্বল্প লাভে পণ্যগুলো বিক্রি করতে পারি-তাহলে আপনারা কেন পারবেন না। আমরা অতি মুনাফা করার সেই পথ থেকে সরে আসুন। আপনারা ব্যবসা করুন, তবে কোনোভাবেই জনগণের দুর্ভোগ বাড়িয়ে করা যাবে না।

সেখানে পণ্য কিনতে আসা বেশিরভাগ মানুষই ছিলেন উৎফুল্ল। কয়েকজনের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা যদি উদ্যোগ নিয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। নিশ্চয় তারা আমাদের কাছ থেকে কয়েকগুণ বেশি লাভ করছেন। আজকাল বাজারে সবজিতে হাত দেওয়া যায় না, অথচ এখানে ন্যায্যমূল্যে পাচ্ছি। তারাও তো কিছুটা লাভ করতেছে। তারা যদি লাভ করেও এত কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারেন, তাহলে ব্যবসায়ীরা কেন পারছেন না। যেসব ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন তাদের সেই সিন্ডিকেট দ্রুতই ভেঙে দিতে হবে।’