ঘর থেকে বের হতেই হাতির মুখোমুখি, তারপর শুঁড়ে তুলে আছাড়

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ঘর থেকে বের হতেই হাতির মুখোমুখি, তারপর শুঁড়ে তুলে আছাড়

ঘর থেকে বের হতেই হাতির মুখোমুখি, তারপর শুঁড়ে তুলে আছাড়

নিজের ঘর থেকে আরেক ঘরে যাচ্ছিলেন হালিমা খাতুন। ঘর থেকে বেরোতেই দেখতে পান সামনে দাঁড়িয়ে আছে হাতি। সেখান থেকে আর পিছু হটতে পারেননি তিনি। হাতি শুঁড়ে তুলে আছাড় দেন ৫৫ বছর বয়সী এই নারীকে। সেখানেই সব শেষ।

সোমবার (২১ অক্টোবর) রাতে চট্টগ্রামের আনোয়ারার বটতলী আশ্রয়ণ প্রকল্পে এই ঘটনা ঘটে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, নিহত হালিমা খাতুন সন্তানদের নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করতেন। সোমবার ১০টার দিকে নিজের ঘর থেকে আশ্রয়ণ প্রকল্পের আরেকটি ঘরে যাচ্ছিলেন হালিমা। ওই সময় নিজের ঘরের সামনে একটি হাতির মুখোমুখি হন তিনি। হাতিটি হালিমাকে দেখেই আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। পরে শুঁড়ে তুলে আছাড় মারলে ঘটনাস্থলে ওই নারীর মৃত্যু হয়।

শুধু হালিমা নন, ওই এলাকায় গত ছয় বছরে এ নিয়ে হাতির আক্রমণে ২২ জনের মৃত্যু হলো। এছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক মানুষ। জমির ফসল, দোকান পাট, ঘর-বাড়ির ক্ষতিও করছে নিয়মিত। এমন পরিস্থিতিতে চমর নিরাপত্তাহীনতায় ভোগা মানুষেরা গত ৮ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের কাছে হাতিগুলোকে অন্য কোথাও সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। এছাড়া সোমবার কোরিয়ান ইপিজেড এলাকার হাতির সুরক্ষায় একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটি ইপিজেডের কর্মীদের নিরাপদ কর্মপরিবেশ এবং মানুষ-হাতির দ্বন্দ্ব নিরসনে করণীয় বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সুপারিশ সংবলিত প্রতিবেদন আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে দাখিল করবে। সচিবালয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে কোরিয়ান ইপিজেড এর প্রেসিডেন্ট, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বন অধিদফতরের প্রধান বন সংরক্ষক ও মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের দিনেই হাতির আক্রমণে হালিমার মৃত্যুর ঘটনা ঘটল।

বিজ্ঞাপন

জলদী বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য রেঞ্জের কর্মকর্তা আনিসুজ্জামান শেখ জানিয়েছেন, দেয়াঙ পাহাড়ে চারটি হাতি অবস্থান করছে। সেই হাতিগুলো প্রায় সময় খাবার ও পানির খোঁজে পাহাড়ের আশপাশে বিচরণ করে। লোকালয় কাছাকাছি হওয়ায় এবং অনেক সময় মানুষ নানাভাবে তাদের উত্ত্যক্ত করে। এ সময় হাতিগুলো ভয় পেয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে।