৩২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সাভার (ঢাকা)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

৩২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা

৩২ ঘণ্টা পর নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক ছাড়ল শ্রমিকরা

সাভারের আশুলিয়ায় বকেয়া বেতনের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ওপর জলকামান নিক্ষেপ করেছে পুলিশ। এতে ছত্রভঙ্গ হয়ে শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে গেলে ৩২ ঘণ্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে আশুলিয়ার নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল ত্রি মোড়ের অবরোধ ছেড়ে যায় শ্রমিকরা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে সোমবার (২১ অক্টোবর সকাল থেকে শুরু করে মঙ্গলবারও টানা অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিল আশুলিয়ার জেনারেশন নেক্সট লিমিটেড কারখানার কয়েকশ শ্রমিক।

টানা অবরোধের কারণে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও আব্দুল্লাহপুর-বাইপাইল মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।

আন্দোলনকারী শ্রমিকদের দাবি, তিন মাসের বেশি সময় ধরে সাধারন ছুটি ঘোষণা করে কারখানাটি বন্ধ রেখেছেন মালিকপক্ষ। কারখানাটিতে কাজ করে প্রায় ৬ হাজার শ্রমিক। গেল ৪ মাস ধরে তাদের বেতন বকেয়া রয়েছে। বেতন পরিশোধের দাবিতে শমিকরা কয়েকদফা আন্দোলন করেছেন। বিজিএমইএ সহ অন্যান্য দফতরে যোগাযোগ করেছেন। তারপরও তাদের পাওনা পরিশোধ না করায় তারা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

পরে আজ বিকালে সেনাবাহিনী, শিল্প পুলিশসহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা শ্রমিকদের প্রথমে বুঝিয়ে সরিয়ে দিতে চেষ্টা করে। শ্রমিকরা না মানায় একপর্যায় জল কামান ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সড়িয়ে দেয়া হয়। তবে এসময় বেশ কিছু গাড়ি ভাঙচুর করে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।

তাৎক্ষণিকভাবে এ কারখানা কর্তৃপক্ষের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, কারখানার চেয়ারম্যান তৌহিদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। কারখানার ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাজীব শেট্টি ভারতীয় নাগরিক। তিনি দেশে ফিরে গেছেন। ফলে বিষয়টি এখনও সমাধান হয়নি।

কারখানাটির প্রায় ৪ হাজার শ্রমিক রয়েছে। এটিতে প্রায় ১৩ থেকে ১৪ কোটি টাকার বকেয়া রয়েছে।

কারখানার কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট একজন বলেন, সরকার বা ব্যাংক ঋণে টাকা দিলে কারখানা পুনরায় চালু করা যাবে।

আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, কারখানার মালিকের বোন ও ডিএমডিকে আইনের আওতায় এনেছে যৌথ বাহিনী। এটি বিক্ষুব্ধ শ্রমিকদের জানানো হয়। এছাড়া প্রয়োজনে নিয়ম মেনে কারখানা বিক্রি করে বা মালামাল বিক্রি করেও বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে। এটি জানিয়ে শ্রমিকদের সড়ক ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলা হয়। শ্রমিকদের একটি পক্ষ বিষয়টি মেনে নেয়। তবে আরেকটি পক্ষ সড়কেই অবস্থান নিয়ে থাকার কথা জানায়। পরে বাধ্য হয়ে আমরা জলকামান ব্যবহার করে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।