হাসপাতালে লিখিত দিয়ে আন্দোলনে আহত দুলালরা

  • আল-আমিন রাজু, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর মোহাম্মদপুর রায়েরবাজার এলাকার বাসিন্দা দুলাল খান। পেশায় টেইলার্স কর্মী। বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিজয়ের দিন ৫ই আগস্ট বিকেলে মিরপুর ২ নম্বর এলাকায় শর্টগানের গুলিতে আহত হন। বাম হাতের বাহুতে লাগা গুলিতে আহত হয়ে ভর্তি হন রাজধানীর পঙ্গু হাসপাতালে।
মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

কিন্তু সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার পদত্যাগ প্রশ্নে রাষ্ট্রপতি শাহাবুদ্দিন চুপ্পুর দেওয়া বক্তব্যে সৃষ্টি হওয়ার জটিলতায় তার পদত্যাগের দাবিতে আবারও রাস্তায় নেমেছেন বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতরা।

তাদেরই একজন দুলাল খান। গত ৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের বিজয় মিছিলে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। বাহুর পেছনের দিক দিয়ে আসা শর্টগানের গুলিতে হাত ভেঙ্গে যায়। হাতের চিকিৎসায় ভর্তি ছিলেন পঙ্গু হাসপাতালে। সেখান থেকেই যোগ দিয়েছেন আন্দোলনে।

দুলাল বার্তা২৪.কমে বলেন, আগারগাঁওয়ের পঙ্গু হাসপাতালের চার তলার এ নম্বর ওয়ার্ডের ১৩ নম্বর বিছানায় চিকিৎসা নিচ্ছিলাম। কিন্তু রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয়কে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে আবারও রাস্তায় নেমেছি।

আহত দুলাল খান, ছবি: বার্তা২৪.কম

হাসপাতাল থেকে কীভাবে আন্দোলনে এলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতালে লিখিত দিয়ে এসেছি। আমি আমার নিজ দায়িত্বে হাসপাতাল থেকে বের হওয়ার কথা লিখে দিয়ে এসেছি। শুধু আমি না শত শত আন্দোলনকারীরা হাসপাতাল থেকে আজকের আন্দোলনে যোগ দিতে এসেছেন। এখন পর্যন্ত সিআরপি, গণস্বাস্থ্য, চক্ষুবিজ্ঞান, পঙ্গু, সিএমএইচ হাস্পাতালে চিকিৎসাধীন দুই শতাধিক আহতরা আসছে।

আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রামে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে গুলিতে আহত সাইফুদ্দীন মুহাম্মদ এমদাদ বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না সে রাষ্ট্রপতি পদে থাকুক। তাই আমরা তাকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হবে। ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবো।

কর্মসূচি থেকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে বাহার উদ্দিন বলেন, রাষ্ট্রপতি চুপ্পু যে পর্যন্ত তার পদ থেকে পদত্যাগ না করবেন সে পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাব না। চুপ্পু একজন মিথ্যাবাদী। সে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না কোনো স্বৈরাচারের দোসর এই পদ থাকুক।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিজে আহত হয়েছেন জানিয়ে মো.সোহাগ বলেন, আমরা দেখতে চাই চুপ্পু কতদিন বঙ্গভবনে থাকতে পারে। ছাত্র আন্দোলনের আহতরা পথে পথে আর দুর্নীতিবাজ ও স্বৈরাচারের দোসর রাষ্ট্রপতি চুপ্পু কেন বঙ্গভবনে আরাম আয়েশ করবে। এই রাষ্ট্রপতি ভারতের দালাল এবং সে শেখ হাসিনার দোসর। আমি তাকে অবিলম্বে রাষ্ট্রপতির পর থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তা না হলে কীভাবে বঙ্গভবনের ভিতর থেকে কিভাবে বের করতে হয় তাকে তা আমরা জানি।