বারুদের গন্ধ, ধোঁয়া ও বিকট শব্দে ২০২৫ বরণ

  • স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ধানমন্ডি (ঢাকা): রাত ১২টা বাজার কয়েক মিনিট আগে থেকেই শুরু হয় আতশবাজি। ঘড়ির কাটা ১২টা ছুঁয়ে যেতেই তা যেনো ভয়াবহ মাত্রায় পৌঁছায়।

মুহুর্মুহু শব্দে কেপে উঠতে থাকে পুরো এলাকা, কখনও কখনও জানালার থাই ও গ্লাসগুলো কেপে উঠছিল শব্দের কম্পনে। ভবনগুলোর ছাদে উঠে আতশবাজিতে মেতে ওঠে স্থানীয়রা। দেখলে মনে হবে যেনো আতশবাজি পোড়ানোর প্রতিযোগিতায় মেতেছে বাসিন্দারা, কে কার চেয়ে বেশি পোড়াতে পারেন,কারটা বেশি উপরে উঠছে, আর কার বাজির শব্দ বেশি।

কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বাতাস ধোঁয়া ও বারুদের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বারবার না করা হলে সমানতালে ওড়ানো হয় ফানুস।

বিজ্ঞাপন

বিদায়ী বছর ২০২৪ এর আগমনের প্রহরে আতশবাজি নিয়ে আনেক হৃদয়বিদারক ঘটনা ঘটেছিল, তারপর ব্যাপকভাবে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় নেট দুনিয়ায়। অনেকে আশা করেছিলেন, এবার অন্তত এই আতশবাজি থেকে বিরত থাকবে জনগণ। কিন্তু রাজধানীর অভিযাত এলাকা হিসেবে পরিচিত ধানমন্ডির যেনো আগের বছরের পুনরাবৃত্তি। সাধারণ মানুষের মনে কাঁপন ধরা শব্দ, বয়স্ক লোকজন এবং পাখিদের কি হতে পারে সহজেই অনুমেয়। কিন্তু ভয়াবহ মাত্রায় আতশবাজি যেনো থামানোর কেউ নেই।

শীতে ফুটপাতে যখন নজেহাল দুস্থরা, তাদের দিকে হাত না বাড়িয়ে লাখ লাখ দিয়ে শব্দ ও পরিবেশ দূষণ নিয়ে অনেকে ক্ষোভ জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।

বিজ্ঞাপন

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত রাত ১টা বাজেও চলছিলো এই আতশবাজির মহড়া।