জমকালো আয়োজনে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ করল মারমেইড বিচ রিসোর্ট
রিসোর্টের ভেতরে ৩০০ ফুট লম্বা সুইমিংপুলের পশ্চিম পাশে উন্মুক্ত বালিয়াড়িতে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন মঞ্চে উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণ। সমুদ্রের পানিতে ভাসছে নৌকা আর কাঁকড়াসহ বিভিন্ন ভাষ্কর্য। পুরো রিসোর্ট আলোকসজ্জায় সজ্জিত। আতশবাজির ঝলকানি ও ফানুসের বর্ণিল আলোয় রঙ্গিন হয়ে ওঠে আকাশ। ডিজের তালে মাতোয়ারা হয়ে ওঠেন পযর্টকরা।
বছরের শেষ রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের প্যাঁচার দ্বীপ সৈকতের মারমেইড বিচ রিসোর্টে এমন জমকালো আয়োজনে বর্ষবিদায় ও বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হয়ে গেল। এ অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেছেন দেশি-বিদেশি একাধিক তারকা সংগীতশিল্পী।
বিগত দেড়যুগের ধারাবাহিকতায় এবারেও থার্টি ফার্স্ট নাইটে পর্যটন নগরী কক্সবাজার লোকারণ্য হয়ে উঠে। বছরের শেষ সূর্যাস্ত দেখতে কক্সবাজার সৈকত এবং আশপাশের পর্যটন এলাকায় কয়েক লাখ মানুষের সমাগম হয়েছে। মারমেইড বিচ রিসোর্টে এমনিতেই বিদেশি পর্যটকদের সমাগম থাকে বেশি। এবারের থার্টি ফার্স্ট নাইটেও দেশি-বিদেশি ব্যাপক পর্যটকের উপস্থিতি দেখা গেছে।
প্রতিবারই মারমেইড রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ বছরের শেষ দিনটিকে রাঙাতে বর্ণিল আয়োজন করে। বোট শো, ফায়ার শো'র মতো আয়োজনগুলো ছিলো পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
কক্সবাজারকে ট্যুরিজমকে আরও জনপ্রিয় করতে মারমেইড কর্তৃপক্ষ দেশি-বিদেশি তারকা শিল্পীদের নিয়ে থার্টি ফার্স্ট নাইটের উৎসব আয়োজন করে। রিসোর্টের অতিথি ছাড়াও কক্সবাজারে ঘুরতে আসা পর্যটকদের উৎসবে অংশগ্রহণের সুযোগ রাখা হয়।
মারমেইড ইকো-ট্যুরিজম লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার (মার্কেটিং অ্যান্ড সেলস) রেক্সি ডমিনিক গমেজ বলেন, কক্সবাজারে দেশি-বিদেশি পর্যটকের ঢল নেমেছে। তবে এখানে সমুদ্রসৈকত ছাড়া বিনোদনের তেমন আয়োজন ছিলো না। ইংরেজি নববর্ষের দিনটিকে উদযাপনের মধ্য দিয়ে পর্যটকদের কাঙ্ক্ষিত বিনোদন দেয়ার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।