উৎসব নেই, সবার হাতে বইও নেই !

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

চট্টগ্রামসহ সারা দেশে আজ (১ জানুয়ারি) থেকে নতুন শিক্ষাবর্ষ শুরু হলেও বছরের প্রথমদিনের সেই পরিচিত বই উৎসব এবার দেখা যায়নি। উৎসব ছাড়াই আংশিকভাবে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণির কিছু বই সরবরাহ করা হয়েছে। তবে অধিকাংশ শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই পৌঁছায়নি, যা শিক্ষার্থীদের মনে হতাশা তৈরি করেছে।

প্রাথমিক:
চট্টগ্রামের ৪ হাজার ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ লাখ ৪ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থীর জন্য নতুন বইয়ের চাহিদা ৪৪ লাখ ১৮ হাজার ১৮৭ কপি। তবে বছরের প্রথমদিনে কেবল প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সব বই সরবরাহ করা হয়েছে। ফটিকছড়ি উপজেলায় বই পৌঁছাতে বিলম্ব হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার এস এম আব্দুর রহমান বলেন, প্রথমদিনে শিক্ষার্থীদের হাতে অন্তত একটি হলেও বই তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আশা করছি, ৫ জানুয়ারির মধ্যে চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির সব বই বিতরণ সম্পন্ন হবে।

মাধ্যমিক:
মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য ১ জানুয়ারি থেকে বই বিতরণ শুরু হলেও তা ছিল খুবই সীমিত। নগরের কেবল কোতোয়ালী ও পাঁচলাইশ থানা শিক্ষা অফিসের আওতাধীন ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সাতটি করে বই পেয়েছে। বাকি শ্রেণির শিক্ষার্থীরা ১৫ জানুয়ারির মধ্যে বই পাবে বলে জানিয়েছে জেলা শিক্ষা অফিস।

বিজ্ঞাপন

জেলা শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা জানান, আমরা যে বই পেয়েছি, তা স্কুলে পাঠিয়েছি। তবে সব বই সরবরাহ করতে আরও কিছুদিন সময় লাগবে।

শিশুদের মন খারাপ:
সরেজমিনে দেখা গেছে, বছরের প্রথমদিনে অনেক শিক্ষার্থী এক বা দুটি বই পেয়েছে। কেউ কেউ কোনো বই'ই পায়নি। এতে শিশুদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে। শিক্ষকরা বলছেন, বছরের প্রথমদিনের বই উৎসব শিশুদের জন্য বিশেষ আনন্দ নিয়ে আসে। কিন্তু এবার সেই আনন্দের জায়গায় ছিল মন খারাপের ছাপ।

উৎসবহীনতার কারণ: 
২০১০ সাল থেকে বছরের প্রথমদিন শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়ার রেওয়াজ চালু হলেও এবার তা হয়নি। রাজনৈতিক অস্থিরতা, শিক্ষাক্রম পরিবর্তন, বই পরিমার্জন, দরপত্র জটিলতাসহ নানা কারণে বই মুদ্রণে বিলম্ব হয়েছে। ফলে উৎসব আয়োজন সম্ভব হয়নি।