মালিবাগ কাঁচবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
মালিবাগ কাঁচবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে  / ছবি: বার্তা২৪

মালিবাগ কাঁচবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে / ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর মালিবাগের কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুনের ঘটনা ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টায় এ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে প্রতিটি ঘটনার মতো এ অগ্নিকাণ্ডেও উৎসুক জনতার ভিড়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের কাজে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার ( ১৮ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টা ২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এর আগে ভোর সাড়ে ৫টায় আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার জুয়েল আহমেদ বার্তা২৪.কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিটের চেষ্টায় ৬টা ২৫মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। কোনো হতাহতের খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তবে বাজারের মালামালের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে শুনেছি। তবে কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা জানা যায়নি।’

ঘটনাস্থল থেকে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক জানান, মালিবাগের কাঁচাবাজারের আগুন নিয়ন্ত্রণে। ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের ১২ ইউনিট কাজ করে। কাঁচাবাজারে প্রায় ২০০টি দোকান পুড়ে গেছে। ফলমূল থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, শাকসবজির দোকান রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/18/1555548587253.jpg

এদিকে প্রতিটি ঘটনার মতো এ অগ্নিকাণ্ডেও উৎসুক জনতার ভিড়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের বেগ পেতে হয়েছে। আর দোকানীরা দোকান থেকে মালামাল বের করতে পারে কিনা সেই চেষ্টা করছেন।

আরও পড়ুন: মালিবাগ কাঁচাবাজারে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট

এর আগে বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ১২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলার এলাকায় একটি আবাসিক ভবনের নিচ তলায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। তবে ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি ইউনিটের দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

   

সিডরের সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমালের মিল পাওয়া যাচ্ছে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল এখনও পুরোপুরি আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ২০০৭ সালের সিডরে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমাল-এর মিল খুজে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীবাসী।

রবিবার (২৬ মে) রাত ১০টার দিকে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক রায়হান আহমেদের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

রায়হান আহমেদ বলেন, দুপুরে কুয়াকাটার পরিবেশটা ছিল কখনো কখনো বৃষ্টি কখনও কখনও ঝড়ো বাতাস। দুপুরে যেহেতু জোয়ার ছিল তাই ঢেউ এবং সাগরের তান্ডব ছিল বেশি। উপকূলে ব্যপক ঢেউ আছড়ে পড়ছিল। পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালি।

এই রাঙ্গাবালির তিনটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা পরিষদ থেকে বাধ্য করা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যেতে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পানির স্রোতে একজন বোনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যুবরন করেছেন।

বর্তমানের পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচন্ড বাতাস বইছে। বাতাসের গতি অনেক বেশি, বৃষ্টি হচ্ছে। মূলত ঝড়ের যে তান্ডব সেটা এখন চলছে।

পটুয়াখালীতে ৭০৩ টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ২৫টা মুজিব কেল্লা কিন্তু সন্ধার আগ পর্যন্ত তেমন কোন লোক সাইক্লোন সেন্টারে যায়নি। আসরের পর থেকে মানুষ আশ্রয় সেন্টারে যাওয়া শুরু করেছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এর আগে কয়েক বছরে যে ঝড়গুলো হয়েছে সেগুলোতে এতোটা তান্ডব দেখেনি কেউ। তবে ২০০৭ সালে যে সিডর হয়েছিল সেই সিডরের যে পরিস্থিতি ছিল তার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের পরিস্থিতি প্রায় একই।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

রবিবার (২৬ মে) রাত ৮টায় রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে।

এটি রবিবার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা ও ঝড়ো হাওয়াসহ ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পুরো উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানান তিনি। এ সময় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান।

উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ দিনের জন্য ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

;

সিডরের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় 'রিমাল'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

উপকূলীয় অঞ্চলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। এরই মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় রিমাল এখনও পুরোপুরি আঘাত না হানলেও এরই মধ্যে ২০০৭ সালের সিডরে সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমাল- এর মিল খুজে পাচ্ছেন বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালীবাসী।

রবিবার (২৬ মে) রাত ১০টার দিকে বার্তা২৪.কমের প্রতিবেদক রায়হান আহমেদের দেওয়া তথ্যে এসব জানা গেছে।

রায়হান আহমেদ বলেন, দুপুরে কুয়াকাটার পরিবেশটা ছিল কখনো কখনো বৃষ্টি কখনও কখনও ঝড়ো বাতাস। দুপুরে যেহেতু জোয়ার ছিল তাই ঢেউ এবং সাগরের তান্ডব ছিল বেশি। উপকূলে ব্যপক ঢেউ আছড়ে পরছিল। পটুয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা রাঙ্গাবালি। এই রাঙ্গাবালির তিনটি উপজেলার প্রায় ২০টি গ্রাম বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পানি ঢুকে প্লাবিত হয়েছে। তাদেরকে উপজেলা পরিষদ থেকে বাধ্য করা হয়েছে সাইক্লোন সেন্টারে নিয়ে যেতে। পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় পানির স্রোতে একজন বোনকে উদ্ধার করতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন।


বর্তমানের পরিস্থিতি জানিয়ে তিনি বলেন, প্রচন্ড পরিমান বাতাস হচ্ছে। বাতাসের বেগ (গতি) অনেক বেশি। বৃষ্টি হচ্ছে। মূলত ঝড়ের যে তান্ডব সেটা এখন চলছে। পটুয়াখালীতে ৭০৩টি সাইক্লোন সেন্টার এবং ২৫টি মুজিব কেল্লা থাকার পরেও সন্ধার আগ পর্যন্ত তেমন কোন লোক সাইক্লোন সেন্টারে যায়নি। সন্ধ্যার  পর থেকে মানুষ আশ্রয় সেন্টারে যাওয়া শুরু করেছে।

এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে তিনি বলেন, এর আগে সব শেষ কয়েক বছরে যে ঝড়গুলো হয়েছে সেগুলেতে এতোটা তান্ডব দেখেনি কেউ। তবে ২০০৭ সালে যে সিডর হয়েছিল সেই সিডরের যে এক্টিভিটিস ছিল তার সঙ্গে ঘূর্ণিঝড় রিমেলের এক্টিভিটিস সেম প্রায়।

এদিকে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল উপকূলে আঘাত হানতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে ঘূর্ণিঝড়টি। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো বাতাসসহ বৃষ্টিপাত হচ্ছে।

রোববার (২৬ মে) রাত ৮টায় রাজধানীর আগারগাঁও বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় (২১.২ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯.২ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) অবস্থান করছে। এটি রোববার (২৬ মে) সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩১০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৪৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৫০ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিল। প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র মোংলার দক্ষিণ-পশ্চিম দিক দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ- খেপুপাড়া উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ১-২ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করে সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি পরবর্তী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৯০ কি.মি। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১২০ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রবল ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।


কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার জেলার নদী বন্দরসমূহকে ৪ নম্বর নৌ-মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির অগ্রবর্তী অংশ ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বরগুনা, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে রাজশাহী, রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে দমকা/ঝড়ো হাওয়া সহ ভারী (৪৪-৮৮ মিমি / ২৪ ঘন্টা) থেকে অতি ভারী (২৮৯ মিমি / ২৪ ঘন্টা) বর্ষণ হতে পারে। অতি ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের প্রধান ড. মো. শামীম হাসান ভূঁইয়া জানান, সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ ঝড়টি বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি পর্যায়ক্রমে দেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করছে। পুরো ঘূর্ণিঝড়টি আগামী ৫ থেকে ৭ ঘণ্টার মধ্যে পুরো উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে বলে জানান তিনি। এ সময় পার্বত্য অঞ্চলে ভূমিধসের সম্ভবনা রয়েছে বলেও জানান।

উপকূলীয় অঞ্চলে ৪ দিনের জন্য ১০ হাজার আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

;

চট্টগ্রামের ছয় উপজেলায় আশ্রয়কেন্দ্রে ১২ হাজার মানুষ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গপোসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল থেকে বাচঁতে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে আসছেন। শনিবার (২৫ মে) রাত থেকে এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের ছয় উপজেলার ৪৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১২ হাজার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপে। এছাড়া উপকূলীয় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে প্রায় ৯শ’ গবাদিপশু নিয়ে আসা হয়েছে।

রোববার (২৬ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে বার্তা২৪.কম-কে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দফতর জানায়, চট্টগ্রামে ১০৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এরমধ্যে সন্দ্বীপ উপজেলায় ১৬২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে ১ হাজার ৯৫৫ জন পুরুষ, ২ হাজার ৮৫ জন মহিলা, ৯৬৬ জন শিশু ও ৫ জন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়া বাঁশখালী উপজেলায় ১১০টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ১ হাজার ৯১৫ জন, মহিলা ১ হাজার ৯৬৮ জন, শিশু ৪২০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। আনোয়ারা উপজেলায় ২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ২৯৩ জন, মহিলা ২৮৩ জন ও শিশু ১১৭ জন আশ্রয় নিয়েছেন।


মিরসরাই উপজেলায় ৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ৩৯৭ জন, মহিলা ২০৫ জন, শিশু ৪৫ জন ও একজন প্রতিবন্ধী আশ্রয় নিয়েছেন। সীতাকুণ্ড উপজেলায় ৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ৪৫৭ জন, মহিলা ৩৯৭ জন ও ১৩৫ জন শিশু আশ্রয় নিয়েছেন। তাছাড়াও কর্নফুলী উপজেলায় ১৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে পুরুষ ৩৫ জন, মহিলা ৪০ জন ও ২৫ জন শিশু আশ্রয় নিতে এসেছেন।

আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি জেলা সিভিল সার্জন ইউনিয়ন পর্যায়ে ২০০টি, প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫টি, আর্বান ডিসপেনসারি ৯টি এবং ৫টি জেনারেল হাসপাতালসহ মোট ২৯৫টি মেডিকেল টিম গঠন করেছেন। মজুত রাখা হয়েছে পানি বিশুদ্ধকরণের জন্য প্রায় তিন লাখ ট্যাবলেট ও চার লাখ খাবার স্যালাইন।


চট্টগ্রাম জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. ছাইফুল্লাহ মজুমদার বার্তা২৪.কম-কে বলেন, শনিবার রাত থেকে রোববার রাত ৯টা পর্যন্ত আমরা মীরসরাই, সীতাকুণ্ড, সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, কর্ণফুলী ও বাঁশখালী- এ ছয় উপজেলায় ৪৫৩টি আশ্রয়কেন্দ্রে উপকূলবর্তী এলাকার শিশু ও প্রতিবন্ধীসহ ১১ হাজার ৮০৬ জন নারী-পুরুষকে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিতে সক্ষম হয়েছি। একই সঙ্গে ৮৯৬টি গবাদিপশুও আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়েছে। সকলে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে নগরের এখনও কাউকে সেভাবে জোরপূর্বক আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়ার মতো পরিস্থিতি হয়নি। যারা সাগর তীরবর্তী এলাকায় ও পাহাড়ে বসবাস করছেন, তাদের আমরা সরে যাওয়ার অনুরোধ করছি। সেখানে আমাদের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক সন্দ্বীপ, আনোয়ারা, বাঁশখালী, মীরসরাই, সীতাকুণ্ড ও কর্ণফুলী উপজেলার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের বিশেষভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে চট্টগ্রামে ব্যাপক বর্ষণ ও পূর্ণিমার কারণে তীব্র জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা থাকায় উপকূলবর্তী ও পাহাড়ি এলাকা থেকে লোকজনকে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরিয়ে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউএনও এবং সহকারী কমিশনারদের (ভূমি) নির্দেশনা দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে দুর্যোগ মোকাবিলায় করণীয় নির্ধারণে এক জরুরি প্রস্তুতি সভায় মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী ঘূর্ণিঝড় রিমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) ৮১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামোকে আশ্রয়কেন্দ্রে হিসেবে ব্যবহার করবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। একই সঙ্গে চসিকে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সোমবার বন্ধ ঘোষণা দেনে তিনি।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে মেয়র বলেন, শনিবার সকালেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে সচেতন করার জন্য মাইকিং করার নির্দেশ দিয়েছি। দামপাড়াস্থ চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগস্থ কার্যালয়ে খোলা হয়েছে কন্ট্রোলরুম। ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের নিজ-নিজ ওয়ার্ডের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় অবস্থানরত জনসাধারণকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়ার বিষয়টি আন্তরিকতার সাথে তদারক করতে নির্দেশ দিয়েছি।

'চসিকের সবগুলো বিভাগ দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমাতে সক্রিয় আছে। এছাড়া রেড ক্রিসেন্টও সহযোগিতা করছে। সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার সাথেও যোগাযোগ করব যাতে ঝড়ে গাছ পড়লে বা দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে কোন সংস্থার গাফিলতির জন্য মানুষ কষ্ট না পায়৷'

পাহাড়ের পাদদেশসহ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় থাকা নাগরিকদের সরিয়ে নিতে কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিয়ে মেয়র বলেন, উপকূলীয় এলাকা ও পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে নাগরিকদের সরিয়ে নিতে হবে৷ প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নিতে হবে৷ ঝুঁকিতে থাকা নাগরিকদের প্রতি আহ্বান আপনারা নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যান৷

এরপর বিকেল পাঁচটার দিকে মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সংলগ্ন জেলে পাড়াসহ বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন।

;

এমপি আনারের মৃত্যুর প্রমাণ চান মেয়ে ডরিন



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে হত্যার প্রমান চান তার মেয়ে মুমতারিন ফেরদৌস ডরিন। তার বাবা বেঁচে নেয় সেটি বিশ্বাস করতে পারছেন না তিনি।

রোববার (২৬ মে) কালীগঞ্জের নিজ বাড়ির সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি করেন।

ডরিন বলেন, ‘আমার বাবার ব্যবহৃত শার্ট-প্যান্ট, জুতা, হাতের দুটি আংটি, ব্রেসলেট, চশমা ও পকেটে থাকা চিরুনির কিছু একটা প্রমাণস্বরূপ আমাদের দেখাতে হবে। তার ব্যবহৃত আরো অনেক জিনিস ছিল।’

তিনি বলেন, ‘কিছু না কিছু একটা তো পাওয়া যাবেই। তা না হলে আমার বাবার শরীরের এক টুকরো মাংস ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রমাণ হিসেবে আমাকে দিতে হবে। আমি বিশ্বাস করব কিভাবে যে আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে?’

তিনি আরও বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, শ্বাসরোধ করে তাকে মেরে ফেলা হয়। পরে ছুরি বা চাকু কিছু একটা দিয়ে তার শরীরের চামড়া ছাড়ানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারেননি তারা।’

গত ১২ মে চিকিৎসার জন্য ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ থেকে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান সংসদ সদস্য আনার। ১৫ মে হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জিভা গার্ডেনসের একটি ফ্ল্যাটে তিনি খুন হয়েছেন।

;