বিসিএস সাধারণ ক্যাডার পদে বেতার উইং নিয়ে অসন্তোষ



সেরাজুল ইসলাম, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিসিএস (তথ্য) সাধারণ ক্যাডার পদে ভাগ বসাচ্ছেন বিসিএস (তথ্য) বেতারের কর্মকর্তারা। এতে অসন্তোষ বাড়ছে বিসিএস (তথ্য) সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তাদের মাঝে।

এই পদায়ন প্রক্রিয়ায় সার্ভিসের কার্যবিধিমালা, অধিদফতরের দায়িত্ব ও কার্যাবলি মানা হয়নি। অবিলম্বে বেতারের পদায়নকৃতদের ফেরত নেওয়া ও নতুন করে পদায়ন না করার দাবি জানিয়েছে বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশন।

সাধারণ ক্যাডারের সদস্যরা জানিয়েছেন, বিসিএস (তথ্য) সাধারণ, বিসিএস (তথ্য) বেতার উইং ও বিসিএস (তথ্য) প্রকৌশল উইং পৃথক তিনটি ক্যাডার। তিনটি গ্রুপের ক্যাডার কম্পোজিশন এন্ড ক্যাডার রুলস (১৯৮০), বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস (১৯৮১) ক্যাডার তফসিল, কার্যবণ্টন তালিকা ও ক্যাডার স্ট্রেংথ সম্পূর্ণ আলাদা।

বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস (১৯৮১) ১৯৯৯ সালে হালনাগাদ করার সময় তিনটি গ্রুপের পদসোপান, পদোন্নতির ধাপ ও পদোন্নতির শতার্বলী পৃথকভাবে প্রণীত হয়। এখানে স্পষ্ট করে তিনটি ক্যাডারকে আলাদা করে পদবিন্যাস করা হয়।

সাধারণ ক্যাডারের বাই প্রমোশন অ্যাডিশনাল প্রধান তথ্য কর্মকর্তা (তথ্য অধিদফতর), পরিচালক ( চলচ্চিত্র প্রকাশনা অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদফতর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ)। একইভাবে বেতার উইংয়ের ক্যাডারদের জন্য বাই প্রমোশন ডেপুটি ডিরেক্টর ( প্রোগ্রাম নিউজ/ প্রধান প্রকৌশলী) নির্ধারণ করা হয়েছে। বেতার প্রকৌশল উইংয়ের বাই প্রেমোশন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীর কথা বলা হয়েছে।

১৯৮৩ সালের এনাম কমিটির প্রতিবেদনেও বিসিএস (তথ্য) ক্যাডারে তিনটি গ্রুপ বিদ্যমান। ১৯৮৮ সালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠতার তালিকা প্রকাশ করে। সেখানেও তিনটি ভিন্ন ভিন্ন তালিকায় দেখানো হয়েছে এই তিনটি গ্রুপের কর্মকর্তাদের।

বিসিএস রিক্রুটমেন্ট রুলস (১৯৮১) এ সাধারণ ক্যাডারদের জন্য তথ্য অধিদফতর, গণযোগাযোগ অধিদফতর, চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদফতর, বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ ও বাংলাদেশ ফিল্ম সেন্সর বোর্ড তফসিল ভুক্ত করা হয়।

বেতার উইং ও বেতার প্রকৌশল গ্রুপের কর্মকর্তাদের বেতার অধিদফতরে সীমাবদ্ধ করা হয়। এখানে বেতার উইংকে আবার অনুষ্ঠান ও বার্তা বিভাগে বিভক্ত করা হয়েছে। একই অধিদফতর হলেও অনুষ্ঠান বিভাগের লোকজনকে বার্তা বিভাগে পদায়ন করার সুযোগ নেই। এমনকি রেকর্ডও নেই বলে জানা গেছে।

তথ্য অধিদফতর রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার দফতর, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের প্রচার কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত। তথ্য অধিদফতরের সাংগঠনিক কাঠামোতে তথ্য অফিসার ও সিনিয়র তথ্য অফিসারের পদ সুনির্দিষ্ট করা আছে। এ সকল কর্মকর্তাদের কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করার জন্য একজন সিনিয়র কর্মকর্তার পদ সুনির্দিষ্ট করা আছে। বেতারে এমন কোনো কাঠামো নেই।

কিন্তু বেতারের অনুষ্ঠান উইংয়ের কর্মকর্তারা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে তথ্য কর্মকর্তা পদে পদান্বিত হচ্ছেন। এখন পর্যন্ত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রীর দফতর, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দফতরসহ ১৩টি মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করছেন। একে আইনের পরিপন্থি বলে দাবি করেছেন সাধারণ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।

যেভাবে শুরু হয় এই পদায়ন প্রক্রিয়া: এক-এগার’র সময়ে বেতার থেকে একজনকে ডেপুটেশনে পাঠানো হয় তথ্য অধিদফতরে। পরবর্তীতে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের নজরে আসতে সক্ষম হন ঐ কর্মকর্তা। এরপর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে বেতারের কর্মকর্তাদের পাঠানো হয়। মোট ৫২টি পদের বিপরীতে ১৩ জন রয়েছেন বেতারের। আর ৩৯ জন সাধারণ ক্যাডার থেকে। আরও বেশ কয়েকজন মন্ত্রণালয়ে ঢোকার জন্য জোর তদবির চালিয়ে যাচ্ছেন।

বিসিএস ইনফরমেশন অ্যাসোসিয়েশনের নেতা গোলাম কিবরিয়া বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘এর আইনগত বৈধতা নেই। সরকারি কোনো ফর্মুলায় পড়ে না। মন্ত্রী ও সচিবের কাছে আমাদের বক্তব্য তুলে ধরেছি। আমাদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।’

বেতার থেকে নিয়োগ পাওয়া কারিগরি ও মাদ্রাসা বোর্ডের জনসংযোগ কর্মকর্তা জাহিদ হোসেন খান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘সেটেল বিষয়, অনেকদিন ধরেই আছে। এতে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি। আমরা ফাউন্ডেশন ট্রেনিং এক সঙ্গে করি।’

‘রাষ্ট্রপতির দফতর, পিএমও-তে ওদেরও লোক আছে আমাদেরও লোক আছে। মিশনে আমাদের লোকই বেশি রয়েছে। আমাদের মধ্যে কেউ নন ক্যাডার নেই। ওদের কেউ কেউ আছেন যারা প্রমোশন পেয়ে এখানে এসেছেন।’

   

থানচিতে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফ সদস্য নিহত



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বান্দরবান
পাহাড়ি এলাকা/ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ি এলাকা/ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বান্দরবানের থানচি উপজেলায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) বিরুদ্ধে যৌথ বাহিনীর অভিযানে কেএনএফের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

বুধবার (২৬ জুন) সকালে উপজেলার বাকলাই এলাকার সিম্পলাম্পি পাড়া থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

বান্দরবান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আব্দুল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সকালে বাকলাই এলাকা থেকে আমরা একজনের লাশ উদ্ধার করেছি। তবে নিহতের পরিচয় এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বান্দরবানের থানচি উপজেলার সিম্পলাম্পি পাড়া ও তাজিংডং পাহাড়ে যৌথ বাহিনী অভিযান পরিচালনা করে। অভিযান চলাকালে কেএনএফের পোশাক পরা এক যুবকের মরদেহ পাওয়া যায়।

পোশাক দেখে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সদস্য।

;

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী দ্রুত পাসের দাবি নারী এমপিদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত দেশ বিনির্মাণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনীর দ্রুত পাসের দাবি জানিয়েছেন তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের সদস্যরা।

বুধবার (২৬ জুন) নারী মৈত্রী আয়োজিত রাজধানীর কৃষিবিদ ইন্সটিটিউটে “তামাকমুক্ত বাংলাদেশ অর্জনে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে করনীয়” শীর্ষক মতবিনিময় সভায় ফোরামভুক্ত নারী সংসদ সদস্যরা এ দাবি জানান।

তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের আহ্বায়ক ও সংসদ সদস্য শবনম জাহান শিলা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য মাহফুজা সুলতানা (নারী আসন-৬), জারা জাবিন মাহবুব (নারী আসন-৭), মাসুদা সিদ্দিক রোজী (নারী আসন-৩৪), নাজমা আকতার (নারী আসন-৩৭), অনিমা মুক্তি গোমেজ (নারী আসন ২৯), শেখ আনার কলি পুতুল (নারী আসন-৩০), মাহফুজা সুলতানা (নারী আসন-৬), আশরাফুন্নেছা (নারী আসন-৪৪), কানন আরা বেগম (নারী আসন-৪১), লাইলা পারভীন (নারী আসন-১৩), সানজিদা খানম (নারী আসন-৩২), সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়ছমীন (নারী আসন-৩৫) এবং হাসিনা বারি চৌধুরী (নারী আসন-৩১)।

তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরামের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরেন ফোরামের আহ্বায়ক শবনম জাহান শিলা।

তিনি বলেন, তামাকের কারণে প্রতিবছর এক লক্ষ ৬১ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করেন। এই মৃত্যুর হার হ্রাস করার লক্ষ্যে তামাক বিরোধী সংসদীয় নারী ফোরাম এর পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা আইন সংশোধনী পাশের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং অর্থমন্ত্রী বরাবর স্বাক্ষরকৃত চিঠি প্রেরণ করেছি। এছাড়াও আমরা পার্লামেন্টে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাশের দাবি জানিয়েছি। পাশাপাশি অধিকতর জনমত সৃষ্টির জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এবং গনমাধ্যমে তামাক বিরোধী বিভিন্ন ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছি।

তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন দ্রুত পাসের দাবি জানান ফোরামের অন্যান্য সদস্যরাও। তারা বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম রক্ষার দায়িত্ব আমাদেরই। তরুনদের ধূমপানের অভ্যাস দেশের নিরাপত্তার জন্য উদ্বেগের বিষয়। তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা তামাকবিরোধী আন্দোলনে অনেকাংশে সহায়ক হতে পারে। তামাকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয়ার ও কথা ব্যক্ত করেন তারা।

এছাড়াও ব্লুমবার্গ ফিলানথ্রপিসের প্রতিনিধি মিসেস অ্যাড্রিয়েন পিজাটেলা, ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডস এর দক্ষিণ এশীয় কর্মসূচির পরিচালক ড. মাহিন মালিক এবং নারী মৈত্রীর সভাপতি মাসুমা আলম সভায় উপস্থিত ছিলেন। তারা নারী সংসদ সদস্যদের উদ্যোগের প্রশংসা করেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে ২০৪০ সালের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী প্রস্তাব সমর্থন করার জন্য ফোরাম সদস্যদের অনুরোধ জানান।

;

ত্রিধাবিভক্ত বরিশাল আওয়ামী লীগ, কমিটি বিলুপ্তিতে নেতৃত্বশূন্য বিএনপি



এস এল টি তুহিন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম,বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

হতাশা, বঞ্চনা ও ত্যাগী নেতাদের অবমূল্যায়নের ফলে তিন ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে বরিশালের আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে ফলপ্রসূ আন্দোলনের ব্যর্থতা এবং পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় হঠাৎ বিলুপ্ত হওয়া কমিটি নিয়ে নেতৃত্বশূন্য এখন বরিশাল বিএনপি। দল দুটোর মধ্যে ক্ষমতার প্রদর্শনী থাকলেও কেউই বরিশাল তথা দল ও দেশপ্রেমিক নেতা ছিলো না বলে অভিযোগ বরিশালের সুশীল সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। যদিও এসব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন দুটি রাজনৈতিক দলের জেলা ও মহানগর নেতারা।

বরিশাল জেলা আওয়ামী লীগের খুব একটা প্রভাব মহানগরে না থাকলেও জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের মধ্যে বিগত জাতীয় নির্বাচন থেকেই বিভক্তি চোখে পড়ে। তবে তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে গত ষষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে। প্রথমদিকে আনারস প্রতীকের পক্ষে বরিশাল-৫ আসনের সংসদ সদস্য পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক এবং সিটি মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাতকে দেখা গেলেও পরবর্তীতে জাহিদ ফারুকের সমর্থন চলে যায় মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থীর পক্ষে। তার সামনেই মোটরসাইকেল ও আনারস প্রতীকের প্রার্থীরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করলেও তিনি নীরব থাকেন। এ নিয়ে কানাঘুষা সৃষ্টি হলে প্রতিমন্ত্রী ও মেয়র দ্রুত একসাথে সভা করে বুঝিয়ে দেন তাদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই।

এরআগে সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে বরিশাল জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাথে মেয়র প্রার্থী আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত এবং সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের মধ্যে দ্বন্দ্ব স্পষ্ট হয়। বিশেষ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ পক্ষের লোকেরা প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এ সময় স্লোগান ওঠে জাহিদ-খোকন দুই ভাই, বরিশালে আর সমস্যা নাই। এর অল্পদিন পরেই উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচনকে ঘিরে মেয়র-প্রতিমন্ত্রী দূরত্ব তৈরি হয়। যা নিয়ে সমালোচনা শুরু হয় সুশীল সমাজেও।

উপজেলা চেয়ারম্যানকে ঘিরে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে কিছুটা দূরত্ব তৈরি হয়েছে দাবি করছেন বরিশালের একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেন, আনারস প্রতীকের প্রার্থী মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন ছিলেন প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের একান্ত ঘনিষ্ঠ লোক। হঠাৎ করে মাহমুদুল হক খান মামুনকে আর প্রতিমন্ত্রীর পাশে দেখা যায় না, বরং সেখানে এখন স্থান পেয়েছে মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী এসএম জাকির। আর এলাকার সবাই জানেন এসএম জাকির সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন। যে কারণে মেয়র আবুল খায়ের আব্দুল্লাহ খোকন সেরনিয়াবাত তাকে অপছন্দ করার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। হয়তো আরও কিছু জটিলতাও আছে, যা আমরা সাধারণ চোখে বুঝতে পারছি না। যা নিয়ে মেয়র ও প্রতিমন্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানান তারা। বিশেষ করে ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন সময়ে মহানগর সহসভাপতি আইনজীবী আফজালুল করিমের বক্তব্যে তা আরও স্পষ্ট হয়েছে বলে দাবি সুশীল সমাজের।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নগর চিন্তাবিদদের একজন কাজী মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমি যেটা বুঝি, এই ৬৬ বছরের জীবনে আমি বরিশালে প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরণ ছাড়া এমন একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব পেলাম না, যার পিছনে মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন রয়েছে। এখানে এখন যা দেখি তা টাকা আর ক্ষমতার প্রদর্শনী শুধু। বরিশালের জন্য বা দল ও দেশের জন্য ভালোবাসা আছে, এমন নেতার খুবই অভাব বরিশালে।

এদিকে নগর চিন্তাবিদদের একজন বরিশাল সাহিত্য সংসদ এর সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএসএ মহিউদ্দিন মানিক বীরপ্রতীক বলেন, আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী বা ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করতে প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে লস্কর নুরুল হক, মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আইনজীবী আফজালুল করিমসহ কয়েকজনকে দেখা গেছে পৃথক অবস্থানে। মেয়র খোকন সেরনিয়াবাতের পাশে এসময় মাহমুদুল হক খান মামুনসহ কয়েকজন ছিলেন। ২৩ জুন মেয়রের উদ্যোগে প্লাটিনাম জয়ন্তী উদযাপন র‍্যালি বা সমাবেশে প্রতিমন্ত্রী কিংবা জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ কাউকে দেখা যায়নি। আবার মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তার লোকজন নিয়ে পৃথকভাবে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও সমাবেশ র‍্যালি করেছেন। চাচা-ভাতিজার লোক সমাগমের একটা প্রতিযোগিতা দেখা গেছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে। যেখানে প্রতিমন্ত্রী পক্ষের কাউকে দেখা যায়নি বলে জানান তিনি।


বরিশালে বিএনপির বর্তমান অবস্থা

গত ১৩ জুন বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে হঠাৎ করে মহানগর বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলা ও মহানগর বিএনপিতে চলছে চরম অস্বস্তি। নতুন পূর্ণাঙ্গ কমিটি হওয়ার সম্ভাবনায় জোর লবিং ও তদবিরে ব্যস্ত নেতাদের অনেকে। তালিকায় আছেন সাবেক ও বর্তমান নেতাদের অনেকেই। তবে আলোচনায় এবায়দুল হক চান, মনিরুজ্জামান ফারুক ও জিয়াউদ্দীন সিকদারের নাম প্রথম সারিতে। কেউ কেউ আবার বলছেন, এবার চমক দেখাবেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মজিবর রহমান সরোয়ার।

গত প্রায় আড়াই বছর ধরেই বরিশাল মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটি নির্ভর। পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি বারবার পিছিয়ে যাওয়ার কারণে বরিশালে দলটির নেতৃত্বশূন্যতা তৈরি হচ্ছে বলে জানালেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বীর মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেন চৌধুরী। তিনি বরিশালে বিএনপির ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন।

২০২২ সালের ২২ জানুয়ারি গঠিত মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্ব ও বিতর্কের মধ্যেই একই সালের ১১ মার্চ সিটি করপোরেশনের ৩০টি ওয়ার্ডের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ৩০টি কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকেরা সবাই সাবেক এমপি ও মেয়র মজিবর রহমান সরোয়ারের অনুসারী ছিলেন। ফলে মহানগরের রাজনীতিতে মজিবর রহমান সরোয়ার ও তার অনুসারী নেতা-কর্মীরা একেবারে কোণঠাসা হয়ে পড়েন। এ নিয়ে বিভিন্ন সমাবেশে দ্বন্দ্ব ও সংঘাতও দেখা গেছে। এমন অবস্থার মধ্যেই গত ১৩ জুন গভীর রাতে বরিশাল মহানগর কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। ১৪ জুন শুক্রবার সকালে কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে এ নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।

গুঞ্জন ওঠে, তাহলে কি বরিশাল মহানগর বিএনপির রাজনীতিতে আবারও মজিবর রহমান সরোয়ারের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠা হচ্ছে? কেউ কেউ আবার বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক বিলকিস জাহান শিরিন ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আকন কুদ্দুসুর রহমানকে ও এজন্য দায়ী করেন এ জন্য। তবে এখানে তাদের কোনো হাত নেই বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন বিএনপির এই দুই নেতা। বিলুপ্ত হওয়া আহ্বায়ক কমিটির নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, কমিটি বিলুপ্ত করা হবে, তা আগে থেকে কোনো নেতাই জানতেন না।

বিলুপ্ত হওয়া কমিটির সদস্য ও দপ্তরের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা জাহিদুর রহমান বলেন, ‘হঠাৎ কাউকে কিছু না জানিয়ে আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। কবে নাগাদ পুনরায় কমিটি করা হবে, সে ব্যাপারেও আমরা সবাই অন্ধকারে আছি।’

কমিটি বিলুপ্ত হওয়ার পরদিন থেকেই অনেকে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন বলে জানা গেছে। তবে তারাও নতুন কমিটি নিয়ে কোনো তথ্য পাচ্ছেন না। এ নিয়ে বিলুপ্ত কমিটির সদস্য সচিব মীর জাহিদুল কবির সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘কমিটি বিলুপ্ত করার বিষয়টি আমরা আগে থেকে জানতাম না। তবে তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি আড়াই বছরের বেশি সময় পার করেছে। তাই বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা স্বাভাবিক প্রক্রিয়া বলেই মনে হচ্ছে।’

অন্যদিকে বিলুপ্ত হওয়া কমিটির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, হঠাৎ করে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। এটা আরও আগেই হওয়া উচিত ছিলো। একটানা আড়াই বছর আহ্বায়ক কমিটি চলেছে। এখন কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যা হবে আমরা তা-ই মেনে নেব। আশাকরি শীঘ্রই পূর্ণাঙ্গ কমিটি পাবে বরিশাল বিএনপি। একই কথা বলেছেন বিএনপির সাবেক জেলা সভাপতি এবায়দুল হক চান ও একই কথা বলেন সাবেক কাউন্সিলর ও বিলুপ্ত কমিটির যুগ্ম মহাসচিব জিয়াউদ্দিন সিকদার। তিনি বলেন, দলকে ভালোবাসি দলের একজন কর্মী হিসাবে আমরণ থাকতে চাই। তবে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত যা-ই হোক সেটাই মেনে নিতে প্রস্তুত আছি বলে জানান তিনি।

;

সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩.১৭ শতাংশ প্রাণহানি বেড়েছে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন

যাত্রী কল্যাণ সমিতির সংবাদ সম্মেলন

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহায় ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৪৫৮ জন নিহত এবং ১৮৪০ জন আহত হয়েছেন। এসময়ে রেলপথে ২২টি দুর্ঘটনায় ২০ জন নিহত, ৪ জন আহত, নৌপথে ৬টি দুর্ঘটনায় ১০ জন নিহত, ৬ জন আহত এবং ৬ জন নিখোঁজ রয়েছে বলে দাবি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে সাংবাদিক সম্মেলনে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এমন দাবি করেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে বলা হয়, বিগত ২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ২৯৯ জন নিহত ও ৫৪৪ জন আহত হয়েছিল। তার সঙ্গে তুলনা করলে এবারের ঈদে সড়ক দুর্ঘটনা ১১.৫৫ শতাংশ, প্রাণহানি ৫৩.১৭ শতাংশ, আহত ২৩৮.২৩ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, সড়ক, রেল ও নৌপথে সম্মিলিতভাবে ৩৩৭টি দুর্ঘটনায় ৪৮৮ জন নিহত ও ১৮৫০ জন আহত হয়েছে। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে এ তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতিবছর ঈদ কেন্দ্রিক সড়ক দুর্ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে যাওয়ায় সংগঠনটি ঈদযাত্রায় সড়ক দুর্ঘটনা, অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও যাত্রী হয়রানির বিষয়টি দীর্ঘ এক দশক ধরে পর্যবেক্ষণ করে আসছে।

মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পরিবহন ভাড়া অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ মানুষের কম যাতায়াত হয়েছে। বর্তমান সরকারের বিগত ১৫ বছরে ধারাবাহিক উন্নয়নের ফলে দেশের সড়ক মহাসড়কের অবস্থা আগের তুলনায় অনেক ভাল ছিল। ঈদের আগে ৩ দিন সরকারি ছুটি থাকায় যাত্রী চাপ কিছুটা ভাগ হয়েছে। দেশে ঈদযাত্রায় মোট যাতায়াতের প্রায় ৭ থেকে ৯ শতাংশ মোটরসাইকেলে যাতায়াত হয়েছে। হাইওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন নিয়ন্ত্রক সংস্থার তৎপরতা ছিল লক্ষ্যণীয়।

তবুও ছোট ছোট যানবাহন বিশেষ করে ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, অটোরিকশা ব্যাপকহারে বাড়ার কারণে কোন কোন সড়কে এসব যানবাহন হঠাৎ করে জাতীয় মহাসড়কে উঠে আসার কারণে, কোন কোন জাতীয় মহাসড়কে এসব যানবাহন নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি, এছাড়াও সড়কে চাঁদাবাজি, ফিটনেস বিহীন যানবাহন চলাচল, পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী বহনসহ নানা কারণে সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি বেড়েছে। একই সাথে সড়কে ভাড়া নৈরাজ্যের কারণে নিম্ন আয়ের লোকজন ফিটনেস বিহীন যানবাহন ও খোলা ট্রাকে যাতায়াতে বাধ্য হয়েছে।

ঈদযাত্রা শুরুর দিন ১০ জুন থেকে ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা ২৪ জুন পর্যন্ত বিগত ১৫ দিনে সংবাদপত্রে প্রকাশিত তথ্যমতে ৩০৯টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৬ জন নিহত, ৭৬২ জন আহত হয়েছে। অপর দিকে, ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের তথ্য অনুযায়ী ঈদের আগে পরে ১৪ দিনে ১০৭৮ জন সড়ক দুর্ঘটনায় রোগী ভর্তি হয়েছে। যার মধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাত বা পা ভেঙে ভর্তি রোগী ৪৭৮ জন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী দুর্ঘটনার শীর্ষে রয়েছে মোটরসাইকেল। পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ১৩২টি মোটরসাইকেল দুঘটনায় ১৩০ জন নিহত, আহত হয়েছে ৫৯৯ জন। যা মোট দুর্ঘটনার ৪২.৭১ শতাংশ, মোট নিহতের ২৮.৩৮ শতাংশ, মোট আহতের ৩২.৫৫ শতাংশ। এই সময় সড়ক দুর্ঘটনায় ৫১ জন চালক, ১১ জন পরিবহন শ্রমিক, ৪৮ জন পথচারী, ৬১ জন নারী, ২৪ জন শিশু, ১৪ জন শিক্ষার্থী, ১ জন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য (১ সেনাবাহিনী), ৩ জন শিক্ষক, ২ জন মুক্তিযোদ্ধা, ৩ জন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মী নিহত হয়েছে।

সংগঠিত দুর্ঘটনার ২৫.২৪ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ৫১.১৩ শতাংশ গাড়িচাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১.০৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ার ঘটনায়, দশমিক ৩২ শতাংশ ট্রেনের সাথে যানবাহনের সংঘর্ষের ঘটনা, চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে দশমিক ৬৪ শতাংশ এবং ১.৬১ শতাংশ অন্যান্য অজ্ঞাত কারণে দুর্ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। দুর্ঘটনার ধরন মোট সংঘটিত দুর্ঘটনার ৪০.১২ শতাংশ জাতীয় মহাসড়কে, ২২.৯৭ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে, ৩১.৩৯ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়। ০.৩২ শতাংশ রেলক্রসিং, এছাড়াও সারাদেশে সংগঠিত মোট দুর্ঘটনার ৪.৮৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে ও দশমিক ৩২ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরীতে সংগঠিত হয়েছে বলে দাবি করেছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব বলেন, সরকার কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উদাসীন, তাই ছোট যানবাহন বাড়ছে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনা। গনমাধ্যমে এখন সংঘটিত দুর্ঘটনার সঠিক চিত্র আসে না। এবারের ঈদে আমরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত রির্পোট থেকে সারাদেশের হতাহতের সংখ্যা পেয়েছি মাত্র ১০৯৮ জন। অথচ ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে ১৪ দিনে ভর্তি হয়েছে ১০৭৮ জন। সারাদেশে সরকারি-বেসরকারি ৯ হাজার হাসপাতালে চিত্র অনেক ভয়াবহ। নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর হলেও কেন সড়ক দুর্ঘটনা কমছে না। সরকারিভাবে তার অডিট হওয়া দরকার।

;