ভূমিকম্পের আগেই মোবাইলে বাজবে এলার্ম!



উবায়দুল হক, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ময়মনসিংহ
ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দেওয়া যন্ত্রের উদ্ভাবক (বাম থেকে) নাহিদ হাসান শুভ্র, রনৎ দাস প্রাঙ্গন ও সাজিদ হাসান নাঈম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ভূমিকম্পের আগাম বার্তা দেওয়া যন্ত্রের উদ্ভাবক (বাম থেকে) নাহিদ হাসান শুভ্র, রনৎ দাস প্রাঙ্গন ও সাজিদ হাসান নাঈম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই আঘাত হানে ভূমিকম্প। এ ভূমিকম্প আসার অন্তত দুই মিনিট আগে যদি মোবাইল ফোনে বাজে ইমাজেন্সি এলার্ম, তাহলে কেমন হয়? এমনি এক যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের এইচএসসি (বিজ্ঞান) পড়ুয়া তিন সহপাঠী রনৎ দাস প্রাঙ্গন, নাহিদ হাসান শুভ্র ও সাজিদ হাসান নাঈম।

উদ্ভাবক রনৎ দাস প্রাঙ্গন জানান, এটি একটি ভূমিকম্প সতর্কীকরণ ব্যবস্থা। যা তাদের ডেভেলপ করা ‘আভাস’ নামে স্মার্টফোন অ্যাপে টেকনোলজি, সেন্সর ও একটি রিয়েলটাইম সার্ভারের সমন্বয়ে তৈরি। রিয়েলটাইম সার্ভারটি সবসময় আপডেট হতে থাকে। ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় দুই মিনিট আগে এটি ইউজারের ফোনে নোটিফিকেশন ও এলার্ম দিতে সক্ষম।

প্রাঙ্গন বলেন, 'ভূমিকম্পের কম্পন অনুভব করার জন্য কিছু সেন্সর মাটির নিচে স্থাপন করা হবে। সেই সেন্সরগুলো একটি রিয়েলটাইম সার্ভারের সাথে যুক্ত থাকবে। আমরা যে অ্যাপটি ডেভেলপ করেছি, সেটি সার্ভার থেকে ডাটা সংগ্রহ করতে পারবে এবং সংগৃহীত ডেটার উপর ভিত্তি করে নোটিফিকেশন ও এলার্ম দিতে পারবে।'

নাহিদ হাসান শুভ্র জানান, গবেষণায় দেখা গেছে ভূমিকম্প সাধারণত টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে হয়ে থাকে। এই সংঘর্ষের সময় সাধারণত দুই ধরনের ওয়েভ উৎপন্ন হয়। এদের মধ্যে প্রাইমারি ওয়েভের বেগ সবচেয়ে বেশি। তারপরই আসে সেকেন্ডারি ওয়েভ। যার বেগ প্রাইমারি ওয়েভের প্রায় অর্ধেক কিন্তু অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক। ভূমিকম্পের মূল ক্ষতিসাধন করা ওয়েব এটিই।’

শুভ্র বলেন, 'যদি সেন্সরগুলোর মাধ্যমে প্রাইমারি ওয়েভ শনাক্ত করা যায় তাহলে সাথে সাথে অ্যাপের মাধ্যমে জনগণকে জানিয়ে দেওয়া যাবে। ফলে সেকেন্ডারি ওয়েভ আসার আগেই সাধারণ মানুষ কিছু বাড়তি সময় পাবেন নিজেদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সেকেন্ডারি ওয়েভটি আসার আগে যে সময় পাওয়া যাবে সেই সময়টি নির্ভর করে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল এবং জনগণের অবস্থানের উপর।'

কিভাবে বাংলাদেশে এর বাস্তবায়ন সম্ভব- এমন প্রশ্নের জবাবে রনৎ-এর সহযোগী বন্ধু সাজিদ হাসান নাঈম বলেন, 'দেশের সীমান্তবর্তী ২৫টি অঞ্চলকে এই সিস্টেমের আওতাভুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের অভ্যন্তরীণ ফল্টলাইনের কথা বিবেচনা করে আরও পাঁচটি জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে। যেখান থেকে ভূমিকম্পের সিগনাল পাবে আভাস নামের এই র্স্মাট ফোন অ্যাপ, সঙ্গে সঙ্গে বেজে উঠবে এলার্ম।'

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি সেন্সর তৈরিতে খরচ পরবে মাত্র এক হাজার টাকা এবং সিস্টেমটি স্থাপন করতে খরচ পরবে সাড়ে সাত হাজার টাকা।’

এমন উদ্ভাবনের প্রশংসা করে ময়মনসিংহ ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের লেকচারার শ্রাবন্তী দত্ত বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম-কে বলেন, 'বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে রিসার্চ ভিত্তিক পড়াশোনা হয়। আমাদের কোর্সভিত্তিক পড়াশোনার মাঝেও যে আমাদের শিক্ষার্থীরা এ রকম উদ্ভাবনী ক্ষমতা দেখাচ্ছে, সেটি অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার।'

এই উদ্ভাবন কতটা ফলপ্রসূ হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, 'আমরা যদি দেখতে চাই এটা কতখানি কাজ করবে সেজন্য আমাদের ইমপ্লিমেন্ট পর্যন্ত যেতে হবে। তবে যতটুকু পর্যন্ত তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখেছে তাতে আমরা ৩-৪ মিনিটের মধ্যে একটা সতর্কবার্তা পেয়ে যাব। কিন্তু কথা হচ্ছে এই সময়ের মাঝে আমাদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কতটা কমাতে পারবো। এটার আরও কিছু ইম্প্রুভ করতে হবে। সেজন্য প্রয়োজনীয় সাপোর্ট তাদেরকে করতে হবে।'

গত এক বছর যাবত যন্ত্রটি নিয়ে গবেষণা করছেন এ তিন উদ্ভাবক। তারা চান এ বিষয়ে যেন তাদের সরকারিভাবে আরও গবেষণার সুযোগ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে যন্ত্রটি সারাদেশে বাণিজ্যিকভাবে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব বলে বিশ্বাস তরুণ এই উদ্ভাবকদের।

উল্লেখ্য, গত জুন মাসে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি জাদুঘরের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলায় জাতীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অর্জন করে প্রাঙ্গন, শুভ্র ও নাঈমের প্রকল্প। এর আগে জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে তারা প্রথম স্থান অর্জন করেন।

   

কুমিল্লায় সাদেক হত্যা মামলায় সাত জনের মৃত্যুদণ্ড



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার হোমনায় ব্যবসায়ী সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ৭ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে কুমিল্লার আদালত। এছাড়া দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানারও আদেশ দেয়া হয়েছে।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন এই রায় দেন।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী কামরুজ্জামান বাবুল জানান, টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে ২০১৫ সালের ২৮ জুলাই খুন হয় হোমনা উপজেলার ছোট গানিয়ারচর এলাকার ব্যবসায়ী মোঃ সাদেক মিয়া। ওই দিন দুপুরে বাড়ি থেকে ফোনে ডেকে নিয়ে সাদেক মিয়ার হাত পা কেটে ফেলে রাখা হয় ধনিয়া ক্ষেতে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন সকাল আটটায় মৃত্যুবরণ করে সাদেক মিয়া।

এই ঘটনায় সাদেক মিয়ার স্ত্রী রেখা আক্তার ১৮ জনের বিরুদ্ধে হোমনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে তদন্তকারী কর্মকর্তা ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। বিশ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ শুনানির পর আদালত সাদেক মিয়া হত্যা মামলায় সাতজনের মৃত্যুদণ্ড ও সাতজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ ও একজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।

আইনজীবী কামরুজ্জামান আরো জানান, নিহত সাদেক মিয়া মৃত্যুর আগে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঘটনায় জড়িতদের নাম উল্লেখ করে জবানবন্দি প্রদান করেছেন। বিজ্ঞ বিচারক রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত ৩ আসামী ও খালাস প্রাপ্ত একজন উপস্থিত ছিলেন।

মামলার বাদী রেখা আক্তার জানান, আসামিরা সবাই সাদেক মিয়ার পূর্ব পরিচিত। তাদের কাছে সাদেক মিয়া যেসব টাকা পায় সেগুলো যেন না দিতে হয় সেজন্য পরিকল্পনা করে তাকে হত্যা করা হয়। তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার ও আইনের আওতায় এনে আদালতের রায় কার্য করার দাবি জানান।

;

প্রবাসীর ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেওয়ার সময় এসআই আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর টাইগারপাস এলাকায় এক প্রবাসীর ১৬ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের উপ-পরিদর্শককে (এসআই) আটক করা হয়েছে। এসময় ওই এসআইয়ের এক সোর্সকেও পুলিশ আটক করে।

রোববার (১৯ মে) দুপুর সোয়া ২টার দিকে নগরীর আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের দুই নম্বর গেট অংশ থেকে দুজনকে আটক করে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ।

আটক উপপরিদর্শক আমিনুল ইসলাম খুলশী থানায় কর্মরত আছেন। আর মো. জাহেদ পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নগরীর টাইগারপাস এলাকায় এক ব্যক্তির কাছ থেকে স্বর্ণ ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে ধাওয়া দেন। ধাওয়া খেয়ে তারা আখতারুজ্জামান ফ্লাইওভারের ওপরে উঠে যান। পরে খবর পেয়ে ফ্লাইওভারের ওপরে দুই নম্বর গেট অংশ থেকে পাঁচলাইশ থানা পুলিশ দুজনকে স্বর্ণসহ আটক করে। এরপর তাদের খুলশী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমান চাকমা। তিনি বলেন, আমরা ওই এসআইকে তার এক সোর্সসহ আখতারুজ্জামান ফাইওভারের ওপর দুই নম্বর গেট অংশ থেকে আটক করেছি। ঘটনাস্থল যেহেতু খুলশী থানা এলাকায়, তাই দুজনকে খুলশী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

নগর পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) মো. মোখলেসুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, পুলিশের এক এসআইসহ দুইজন খুলশী থানায় আটক রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ নেয়ামত উল্লাহর মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

;

রাজধানীতে ৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩

৬ কোটি টাকার বিদেশি মদসহ আটক ৩

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর ডেমরা এলাকা হতে আনুমানিক ৬ কোটি টাকার বেশি মূল্যের ৮ হাজার ৬০০ লিটার বিদেশি মদসহ ৩ মাদক কারবারিকে আটক করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০)।

রোববার (১৯ মে) র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১০) অধিনায়ক অ্যাডিশনাল ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

আটককৃতরা হলো, মো. দ্বীন ইসলাম (৪৮), মো. আনিসুর রহমান রিপন (৫১), এবং আব্দুল হাদী (২০)।

ডিআইজি মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন বলেন, শনিবার (১৮ মে) র‌্যাব-১০, সিপিসি-১ যাত্রাবাড়ী ক্যাম্পের একটি অভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ডেমরার আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি কেমিক্যাল ফ্যাক্টরিতে অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আনুমানিক ৬ কোটি ২ লাখ টাকা সমমূল্যের ৩৪৪টি নীল রঙের জারিকেন ২৫ লিটার করে মোট ৮ হাজার ৬০০ লিটার বিদেশি মদ ও মাদক কারবারি চক্রের অন্যতম মূলহোতাসহ তিন জনকে আটক করা হয়।

তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, আটককৃত দ্বীন ইসলাম চীন থেকে পলি অ্যালুমিনিয়াম ক্লোরাইড নামক পানি পরিষ্কার করার কেমিক্যাল আমদানি করে রাজধানী ঢাকার ডেমরা থানাধীন আমুলিয়া মডেল টাউন এলাকার একটি গোডাউন মজুদ করে রাখত। পরবর্তীতে সেগুলো রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করত।

এই ব্যবসার আড়ালে দ্বীন ইসলাম ও তার প্রধান সহযোগী মো. আনিসুর রহমান রিপনসহ ৪-৫ জন মিলে স্বল্প সময়ে অধিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে একটি মাদক ব্যবসার সিন্ডিকেট গড়ে তোলে। যার অংশ হিসেবে দ্বীন ইসলাম চীনসহ বিভিন্ন দেশ থেকে উল্লিখিত ক্যামিকেলের সাথে ক্যামিকেলের জারিকেনে করে কৌশলে বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের মদ দেশে নিয়ে আসত। তারপর মদ ডেমরা এলাকায় তাদের গোডাউনে মজুদ করে রাখত।

পরবর্তীতে বিদেশি মদ দ্বীন ইসলামের সহযোগী মো. আনিসুর রহমান রিপন ও আব্দুল হাদী পলাতক মনু ও ফিরোজদের মাধ্যমে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন মাদক কারবারি ও মাদক সেবনকারীদের নিকট সরবরাহ করত। প্রতিটি জারিকেনে ২৫ লিটার করে বিদেশি মদ থাকে এবং প্রতিটি জারিকেন ১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তারা বিক্রি করত বলে জানায়।

তারা আরও জানান, দ্বীন ইসলামের নেতৃত্বে চক্রটি কেমিক্যাল ব্যবসার আড়ালে প্রায় দেড় বছর যাবৎ এই মাদক কারবারি পরিচালনা করে আসছিল। এছাড়া আটককৃত দ্বীন ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় অর্থ জালিয়াতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।

আটককৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।

;

নওগাঁয় অসুস্থ গরু জবাই, কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নওগাঁ
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নওগাঁর বদলগাছীতে অসুস্থ গরু জবাই করার অভিযোগে নজরুল ইসলাম (৫৫) নামে এক মাংস ব‍্যবসায়ীর ১০ হাজার টাকা অর্থদন্ড করা হয়েছে। দন্ডপ্রাপ্ত মাংস ব‍্যবসায়ী নজরুল ইসলাম কোলা গ্রামের মৃত আফাজ উদ্দিনের ছেলে এবং সাবেক ইউপি সদস‍্য।

উপজেলার ভান্ডারপুর হাটে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্য অসুস্থ ওই গরুটি জবাই করে ব্যবসায়ী। অনাদায়ে ১৫ দিন কারাদন্ডের আদেশ প্রদান করেছেন ভ্রাম‍্যমান আদালতের বিচারক।

রবিবার (১৯ মে) দুপুরে ভ্রাম‍্যমান আদালতে জরিমানা আরোপ ও আদায় করেন বদলগাছী উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন।

এদিকে এতো অল্প টাকা জরিমানা করায় ক্ষুব্ধ ও অসন্তোষ হয়েছে স্থানীয় লোকজন। তাদের অভিযোগ এখানকার কসাইয়েরা বারবার অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করে। উপস্থিত করোনা কর্মকার বলেন, অল্প জরিমানা করলে এদের হবেনা। বেশি জরিমানা করতে হবে। অথবা জেল দিতে হবে। নয়তো এরা বারবারই এমন কাজ করবে।

স্থানীয় ও প্রত‍্যক্ষদর্শীরা জানান, রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় কসাইয়েরা অসুস্থ গরুটিকে জবাই করে। এই সময় বাজারে আসা লোকজন গরুটিকে জবাই করতে দেখে নিষেধ করলেও শোনে না। অসুস্থ গরু জবাই হলে সাথে সাথে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন নাজমুল হাসান এবং থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। আর প্রশাসন এসে নাম মাত্র জরিমানা করে।

স্থানীয় বাসিন্দা খালিদ বলেন, কোলা গ্রামের রিপন গরুটি কোলাহাট থেকে কিনে। এরপর ইসমাইল পুর গ্রামের লবা, বিতু, কালাম এবং সাবেক মেম্বার নজরুল কসাই ভাগাভাগি করে গরুটিকে এনে জবাই করে। এর আগেও এরা অসুস্থ গরু জবাই করার কারণে জরিমানা গুনতে হয়েছে।

স্থানীয় বাজার বণিক সমিতির সভাপতি সাগর বলেন, এই হাটে প্রায় অসুস্থ গরু এনে জবাই করে এবং অসুস্থ গরুর মাংস বিক্রি করে কসাইরা। এর আগেও ভ্রাম‍্যমান আদালত বসিয়ে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। কসাইরা প্রাণীসম্পদ ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল কর্তৃক পশু জবাইয়ের কোনো ছাড়পত্র ছাড়াই গরু জবাই করে থাকে।

এ ব‍্যপারে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আতিয়া খাতুন বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে নজরুল নামে এক কসাইকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের নিষেধ করেছি। পরবর্তীতে এমন কাজ পুনরায় হলে আরও কঠোর ব‍্যবস্থা নেওয়া হবে।

;