গুজব রুখতে মাঠে নেমেছে আরপিএমপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রংপুর
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম।

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর জন্য মানুষের মাথা ও রক্ত লাগবে এই গুজব ছড়িয়ে ছেলেধরার নামে গণপিটুনির মতো অপরাধ রুখতে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম শুরু করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরপিএমপি)।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে রংপুর মহানগরীর মেডিকেল মোড় শহীদ মুখতার এলাহী চত্বরে জনসংযোগের মাধ্যমে গুজব রুখতে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়।

আরপিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ জনসচেতনতামূলক এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563955726996.jpg

আরপিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, 'নিরীহ মানুষকে হত্যা ও আহত করার ঘটনার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীলতার দিকে ঠেলে দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে। এ ধরনের গুজব ও গণপিটুনি প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। কেউ বুঝে হোক, আর না বুঝে হোক গুজব ছড়াবেন না। আইন নিজের হাতে তুলে নিয়ে অপরাধে জড়াবেন না।'

পুলিশ কমিশনার ছেলেধরা সন্দেহে কাউকে গণপিটুনি দিয়ে আইন নিজের হাতে তুলে না নিতে অনুরোধ জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ) কাজী মুত্তাবী ইবনু মিনান, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (সিটিএসবি) মোছা. শামীমা পারভীন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) মো. আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি), মো. আলতাফ হোসেন, সহকারী পুলিশ কমিশনার (পরশুরাম জোন) শেখ মো. জিন্নাল আল মামুন, কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আব্দুর রশিদ প্রমুখ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/24/1563955752411.jpg

ছেলেধরা বলে সন্দেহ হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আরপিএমপির সকল থানা এবং কন্ট্রোল রুম ও জাতীয় সেবা ৯৯৯ নাম্বারে জরুরি কল করার পরামর্শ দেয়া হয়।

উদ্বোধনী আয়োজনে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে গুজব রুখতে জনসচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করা হয়।

   

যশোরে প্লাস্টিক কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, যশোর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

যশোর সদর ‍উপজেলার বাহাদুরপুর মেহগনি তলায় একটি প্লাস্টিক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিটের আধ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) বেলা ১১টার দিকে এ আগুন লাগে। 

এসময় যশোর মাগুরা সড়কের উভয় পাশে লম্বা যানজটের সৃষ্টি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, গত কয়েক বছর ধরে এই গুদামে বিভিন্ন স্থান থেকে প্লাস্টিক ভাঙারির জিনিসপত্র ওই গুদামে জমা করে রাখতো। মঙ্গলবার সকালে হঠাৎ করে ওই গুদামে আগুন ধরে যায়। প্রাথমিকভাবে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। তবে আগুনের তীব্রতা বৃদ্ধি পেলে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়া হলে দ্রুত  টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধ ঘণ্টার চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রেণে আসে।

যশোর ফায়ার সার্ভিস ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক দেওয়ান সোহেল রানা বলেন, ১১টা ৪ মিনিটে আমারা আগুনের সংবাদ পাই। এরপর যশোর ফায়ার সার্ভিসের চারটি ইউনিট ও যশোর সেনানিবাসের ২টি ইউনিটের সাহায্যে আমরা ১২ টার দিকে আগুণ নিয়ন্ত্রণে আনি।

তিনি আরও বলেন, যেহেতু এটা প্লাস্টিক সে কারণে আগুন পুরোপুরি নেভাতে একটু সময় লাগবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্লাস্টিক বা কাগজে বৈদ্যুতিক শর্ট থেকে আগুন লাগতে পারে।

;

কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত কাউন্সিলর, ময়লা-পচা গন্ধে অতিষ্ঠ বনশ্রীবাসী



জাহিদ রাকিব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঈদুল আজহার পশুর কোরবানি শেষ হয়েছে সোমবার। অথচ ঈদের পরের দিনেও দক্ষিণ বনশ্রী আবাসিক এলাকার কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করেনি সিটি কর্পোরেশন। কোরবানির পশুর রক্ত, ময়লা-পচা দুর্গন্ধে অতিষ্ঠ এই এলাকার বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন তিন ওয়ার্ডের দক্ষিণ বনশ্রীর পুরো আবাসিক এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়।

আবাসিক এলাকার প্রতিটি ব্লক ও সড়কের মোড়ে পড়ে আছে জবাই করা পশুর মাথার চামড়া, পচা রক্ত, পশুর নাড়ি-ভুঁড়ির অর্ধ গলিত অংশ। এসব স্তূপ করে পড়ে থাকায় সৃষ্টি হয়েছে দুর্গন্ধ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, সঠিক সময়ে বর্জ্য অপসারণ না করায় পচা দুর্গন্ধে বাসার দরজা জানালা খুলতে পারছেন না। সোমবার কোরবানির পর থেকে এখন পর্যন্ত সিটি কর্পোরেশনের কাউকে এই এলাকায় আসতে দেখা যায়নি বলে দাবি করেন তারা।


বনশ্রী এইচ ব্লকের বাসিন্দা আব্দুর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, সোমবার এখানে দুপরের মধ্যে মোটামুটি কোরবানি শেষ হয়ে গেছে। সোমবার দুপুর থেকে আজকে দুপুর পর্যন্ত এই এলাকায় বর্জ্য অপসারণে সিটি করপোরেশনের কাউকে পাওয়া যায়নি। কেউ ময়ালা নিতে আসেনি।

আবার মেরাদিয়ার অস্থায়ী কোরবানির পশুর হাটের বর্জ্যও পুরোপুরি সরেনি। বিভিন্ন জায়গায় এখনো হাটের আর কোরবানির বর্জ্য পড়ে আছে।

পাশের কাজীবাড়ি মোড়েও কোরবানির বর্জ্যের স্তূপ। দ্রুত এসব বর্জ্য সরিয়ে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তারা বলছেন, শুধু দুর্গন্ধই নয়, মশারও বিস্তার ঘটাচ্ছে এসব বর্জ্য।

এবারের কোরবানি বর্জ্য অপসারণে নগরবাসীর কাছে ২৪ ঘণ্টা সময় চেয়েছেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সেই হিসেবে ২৪ ঘণ্টা শেষ হবে আজকে দুপুর ২ টায়। কিন্তু বেলা ১ টা পর্যন্ত এইচ ব্লকের এই অংশে বর্জ্য অপসারণ না হলেও কে ও এফ ব্লকের দিকে বর্জ্য অপসারণের কাজ শুরু করেছে। তবে কাজের ধীরগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে এলাকাবাসী।


ঈদের পরের দিনেও কেন বর্জ্য অপসারণ হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকসুদ হোসেন বার্তা২৪.কমকে বলেন, এই বিষয় নিয়ে কথা বলার সময় নাই। কোরবানি নিয়ে ব্যস্ত আছি বলে ফোন কেটে দেন।

পরবর্তীতে আবার যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোরবানি শেষ করে সন্ধ্যায় তিনি এই এলাকা পরিদর্শনে আসবেন। বাকিটা তখন দেখবেন।

;

ফাঁকা মেট্রোরেল, নেই ঈদ ভ্রমণপিপাসু যাত্রীদের উপস্থিতি



অভিজিত রায় (কৌশিক), স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে একযোগে উদযাপিত হয়েছে ঈদুল আজহা। এ উপলক্ষে সরকারি ছুটিতে রয়েছে দেশবাসী। ঈদকে কেন্দ্র করে রাজধানীর দ্রতগামী যান মেট্রোরেলে ভ্রমণ পিপাসুদের উপস্থিতি নেই বললেই চলে।

তবে অফিস আদালতসহ রাজধানীর অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যাত্রীর উপস্থিতি না থাকার কারণ হিসেবে দেখছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে ভ্রমণ পিপাসুদের আগমন না থাকার কারণ হিসেবে সকালের শুরুকে দায়ী করছেন তারা। স্টেশনে উপস্থিত কর্মকর্তাদের দাবি বেলা বাড়লে ভ্রমণ পিপাসুদের উপস্থিতি বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে রাজধানী আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট ও কারওয়ান বাজার মেট্রো স্টেশন ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।


সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, স্টেশন গুলোতে যাত্রীর আগমন নেই বললেই চলে। দায়িত্বরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা অবসরে সময় পার করছেন। নেই টিকিট বিক্রির দীর্ঘ লাইন। হাতে গোনা যেসব যাত্রী আসছেন তাদেরও অপেক্ষা ছাড়াই মেশিনের সাহায্যে টিকিট কাটতে হচ্ছে। কাউন্টারগুলোতে টিকিট বিক্রেতাকেও দেখা যায়নি। তবে দায়িত্বরত আনসার সদস্য, এমআরটি পাস চেকার এবং পরিছন্নতা কর্মীর কাজে নিয়োজিতদের উপস্থিতি দেখা গেছে।

এছাড়া ট্রেনের ভেতরে কিছু যাত্রী লক্ষ্য করা গেছে। যাদের অধিকাংশই এসেছেন উত্তরা স্টেশন থেকে।

যাত্রী না থাকার কারণ জানতে চাইলে দায়িত্বগত আনসার সদস্য জিয়াউর রহমান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রীর কোনো চাপ নেই। ঢাকার সব অফিস আদালত বন্ধ রয়েছে এর মধ্যে মানুষ বের হচ্ছে না।


টিকিট বিক্রেতাদের না থাকার কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, অধিকাংশই ঈদের ছুটিতে আছেন।

অন্য এক আনসার সদস্য আমিন বলেন, ছুটির কারণে মানুষ নাই। কেউ এত সকালে ঘুরতেও বের হয়নি। তবে দুপুরের দিকে সবাই ঘুরতে বের হতে পারে, তখন যাত্রীর চাপ বাড়তে পারে।

উত্তরায় স্টেশন থেকে শাহবাগ স্টেশনগামী যাত্রী রফিকুল বলেন, নিজস্ব একটি প্রয়োজনের কারণে বের হয়েছি। উত্তরা থেকে শাহবাগে যাবো।

আগারগাঁ স্টেশন থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে ট্রেনে উঠেছেন হানিফ। তিনি বলেন, বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে বের হয়েছি। মতিঝিল নামবো। মতিঝিল থেকে সায়েদাবাদ গিয়ে গাড়িতে উঠবো।


তিনি বলেন, রাস্তায় গাড়ি খুব কম। আবার ঈদ উপলক্ষে ভাড়াও কিছুটা বেশি নিচ্ছে। তাছাড়া বাসে যেতে গেলে যে সময় লাগবে মেট্রোতে গেলে তার অর্ধেক সময়ে আমি জায়গামতো পৌঁছে যেতে পারবো। এইজন্য মেট্রোরেলে উঠে পড়লাম।

পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁও স্টেশন থেকে উত্তরা ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছেন মাহমুদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঈদ উপলক্ষে ভাইয়ের বাসাতে দাওয়াত দিয়েছে। সোমবার কোরবানি থাকায় ব্যস্ততার কারণে যেতে পারি নাই। তাই পরিবারের সবাইকে সাথে নিয়ে ভাইয়ের বাসায় ঘুরতে যাচ্ছি।

;

চার অঞ্চলে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের চার অঞ্চলে দুপুরের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্র বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৮ জুন) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এমনটি জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, রংপুর, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তরপশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া মঙ্গলবার সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার জন্য ঢাকা ও এলাকার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আকাশ আংশিক মেঘলা থেকে মেঘলা থাকতে পারে। আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। দক্ষিণ/দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ১০-১৫ কিলোমিটার বেগে বাতাস প্রবাহিত হতে পারে। দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।

এদিকে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরের অন্যত্র মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। ফলে আগামী পাঁচ দিনে সারাদেশে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বৃদ্ধি পেতে পারে এবং যেসব এলাকায় তাপপ্রবাহ চলছে তাও প্রশমিত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

;