‘জাসদ-গণবাহিনীর সৃষ্টি বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনার অংশ’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম/ ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনে দেশের শত্রুরা দুটি কাজ সুপরিকল্পিতভাবে করেছে। এর একটি হচ্ছে পাকিস্তান থেকে ফিরে আসা সেনা কর্মকর্তাদের কাজে লাগানো আর অন্যটি জাসদ ও গণবাহিনীর সৃষ্টি। এদের সম্পর্কে অনেক ভালো জেনেছি যখন জেলে ছিলাম।’

শনিবার (২৪ আগস্ট) বিকালে রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।

এইচ টি ইমাম বলেন, ‘৩ নভেম্বর যে অভ্যুত্থান হল তখন কর্নেল তাহের ও তার সঙ্গে যারা ছিল তাদের সবাইকে অ্যারেস্ট করে তারা আবার জেলখানায় চলে এল। জেলে শাফায়াত জামিল আমার সাথে। জেলখানায় তখন প্রথম জানতে পারলাম ৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের মধ্যে একটি বিপ্লবী সেল তৈরি করা হয়েছিল এবং সেটি সিরাজুল আলম খানের নেতৃত্বে। তখন শুনেছি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে কী জঘণ্য উক্তি তারা করত।’

পাকিস্তান ফেরত সেনা অফিসারদের ভূমিকার কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান থেকে প্রত্যাগত সেনা অফিসাররা এসেই এমন একটা বিভেদ সৃষ্টি করে ফেলল। পরবর্তীতে দেখেন, বেছে বেছে মুক্তিবাহিনীর অফিসারদের এরা হত্যা করেছে। মুক্তিবাহিনীর সেনা যারা, তারাই প্রাণ দিয়েছে, এরা কিন্তু কেউ প্রাণ দেয়নি। জেনারেল জিয়াউর রহমান তার কোর্সমেট জেনারেল মোজাম্মেল, জেনারেল আব্দুর রহমান, জেনারেল ওয়াজিমুল্লাহকে ভালো ভালো জায়গায় বসিয়েছে। এমনভাবে পুরো জিনিসটা কুক্ষিগত করে ফেলল আমাদের সেনাবাহিনীকে যে জেনারেল শফিউল্লাহ কিছুই না।’

‘জেনারেল জিয়া তো ওদেরই লোক। এরা সকলে কোর্সমেট। এদেরই পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়ে উঠেছে কর্নেল রশিদ, কর্নেল ফারুক। কর্নেল রশিদের তো ঢাকায় পোস্টিং ছিল না, তার তো আর্টিলারি ব্যাটালিয়ন নিয়ে কুমিল্লায় থাকার কথা, ফারুকের ট্যাঙ্ক বাহিনী নিয়ে থাকার কথা বগুড়া অথবা সাভারে। এরা যে ঢাকায় এল তাহলে আমাদের সেনাপতিরা, যারা তখন ছিলেন, তারা জানতেন না, এ সমস্ত মুভমেন্ট কী কখনো আর্মি হেডকোয়ার্টাসের অনুমতি কিংবা অনুমোদন ছাড়া হয়? এগুলো তো হয় না। তাহলে আমাদের মধ্যে কীভাবে ঢুকে পড়েছিল এই ষড়যন্ত্রকারীরা। আর মূল ষড়যন্ত্রটি যারা করেছে তারা হল পাকিস্তানিরা।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/25/1566671529801.jpg

দেশের সিভিল সার্ভিসের অবমূল্যায়নের প্রেক্ষাপটের ইতিহাস তুলে ধরে সাবেক এই আমলা বলেন, ‘১৯৬৫ সালের পরে তৎকালীন সিএসপি নিয়ে মানুষের মধ্যে একটা বিরূপ ভাব তৈরি হয়েছিল। তার পেছনে কারণ ছিল আইয়ুব খান। মার্শাল ল চালুর পরে উনি দেখলেন সবকিছু চালায় সিএসপিরা। তিনি তখন ক্ষমতা ভাগাভাগির জন্য কমিটি করলেন। সিভিল সার্ভিসের ক্ষমতা কীভাবে খর্ব করা যায় সে ব্যবস্থা কমিটি পাকাপোক্ত করল। সেই থেকে সিভিল সার্ভিসের অবমূল্যায়ন কিংবা তাদের ক্ষমতা নিয়ে নেওয়া হলো।’

‘আইয়ুব খানের আরেকজন প্রতীকী ইয়াহিয়া খান। আর আমাদের দেশে এসে হলেন জিয়াউর রহমান খান। আমি জিয়াউর রহমান খানই বলব। কারণ তিনি কিন্তু ওই লাইনেরই এবং তারপরে এরশাদ খান।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই খানেরা আমাদের ক্রমান্বয়ে যে কী পরিমাণে ক্ষতি করে গেছেন, অথচ সে জিনিসটি থেকে বঙ্গবন্ধু এসে সেই রাষ্ট্রটিতে তিনি আবার খুঁজে খুঁজে সিভিল সার্ভিসের লোকদের নিয়ে এসেছেন। শুধু সিভিল সার্ভিস নয়, উনি প্রথম সরকারে ল্যাটারাল এন্ট্রি অর্থাৎ সরকারের বাইরে কোথায় কোনো প্রতিভা আছে, যিনি সরকারকে সহযোগিতা করতে পারবেন, সেটা চালু করেন।’

বাকশালের সমালোচনাকারীদের উদ্দেশে বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহকর্মী এইচ টি ইমাম বলেন, ‘বাকশালের গঠনতন্ত্র কেউ দেখেনি। বাকশালের উদ্দেশ্য কী ছিল এটি সম্পর্কে কেউ জানে না। বঙ্গবন্ধু এভাবে জনগণের কাছে ক্ষমতা নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ভিত্তিমূলে, তৃণমূলে। যে জন্য ৬৪টি মহকুমাকে তিনি জেলায় পরিণত করলেন। প্রতিটা জেলায় গভর্নর নিয়োগ করলেন এবং তাদেরকে ক্ষমতায়ন করে গেছেন।’

প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মূখ্য সচিব ড.কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিক। স্বাগত সংগঠনের মহাসচিব শেখ ইউসুফ হারুন প্রমুখ।

   

ঘূর্ণিঝড়ে বিদুৎহীন সোনাগাজী, ঘর-বাড়ি ভেঙে দুর্ভোগে ক্ষতিগ্রস্তরা

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রাতে খুব বেশি ক্ষয়ক্ষতি না হলেও বাতাসের তীব্রতায় উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে বেশকিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বিভিন্নস্থানে লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে সোনাগাজী উপজেলাসহ জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক। বিদুৎ নেই জেলা শহরের অধিকাংশ এলাকায়। সকাল থেকে ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে অব্যাহত রয়েছে বৃষ্টি। এদিকে সোনাগাজীতে দুপুরে ভারী বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে লোকালয়ে প্রবেশ করেছে পানি।

খবর নিয়ে জানা গেছে, জেলা শহরের কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক থাকলেও বেশির ভাগ এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় জেলার প্রায় সাড়ে ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। অন্যান্য উপজেলায় কিছু কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক থাকলেও সম্পূর্ণ বিদ্যুৎহীন রয়েছে সোনাগাজী উপজেলা। বাতাসের তীব্রতায় উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে বেশকিছু ঘর-বাড়ির টিন উপড়ে গেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।


সোনাগাজী উপজেলার বাসিন্দা সাহেদ সাব্বির বলেন, রোববার রাত থেকে বিদ্যুৎ নেই। বাতাসে কিছু গাছ উপড়ে পড়ে বেশকিছু ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় চলে গেলেও এখনও ঝড়ো হাওয়া বইছে। বৃষ্টিতে বের হওয়ার উপায় নেই।

সোনাগাজী দক্ষিণ চরচান্দিয়া এলাকার আব্দুর রউফ বলেন, বাতাসে আমাদের ঘরের টিন উপড়ে গেছে। থাকার মতো একমাত্র সম্বল ভেঙে পড়েছে। এখনো অনেক বাতাস হচ্ছে। রাতে পরিবারের ৫ সদস্য কোথায় থাকবো সেটিও জানি না।

সোনাগাজীর জেলেপাড়া এলাকার জেলেরা জানান, সে জোয়ার ২টায় আসার কথা সে জোয়ার সকাল ১১টায় চলে আসে। তারা বলছেন, পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় একটি জায়গায় বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে এবং কয়েকটি নৌকা ভাসিয়ে নিয়ে যায়।


শহরের পাঠানবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আলমগীর হোসেন বলেন, সকাল থেকে বিদ্যুৎ সংযোগে সমস্যা করছে। সারাদিনে দুই একবার এসেছে বিদ্যুৎ। তীব্র বাতাস ও বৃষ্টিতে ঘরে বসেই সময় কাটাচ্ছি। সন্তানদের পরীক্ষা চলছে, আইপিএসের ও চার্জ শেষ। পরিবার নিয়ে অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে।

শহরের পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বাসিন্দা তৃষা রহমান বলেন, দুপুর থেকেই বিদ্যুৎ নেই। ঘূর্ণিঝড়ের তেমন প্রভাব দেখেনি, তবুও শহরে বিদুৎ নেই। পরীক্ষা চলছে, বিদ্যুৎ না থাকাতে প্রস্তুতিতে ব্যাঘাত ঘটছে।

সোনাগাজী দক্ষিণ চরচান্দিয়া এলাকার ইউপি সদস্য মো. এসকান্দার বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তীব্র বাতাসে দক্ষিণ চরচান্দিয়া এলাকায় অন্তত ১০টি ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা উপড়ে পড়ে কিছু ঘর ভেঙে গেছে। এখনও বৃষ্টি অব্যাহত থাকায় ও বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় ক্ষতির চূড়ান্ত তথ্য জানা সম্ভব হচ্ছে না। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরের মাধ্যমে সহযোগিতা করা হবে।

সোনাগাজী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম বলাই মিত্র বলেন, রোববার রাতে ভারী বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসে বেশ কিছু এলাকায় গাছপালা পড়ে তার ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যাওয়ায় পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে মেরামতের পর বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু করা হবে। তবে পুরো উপজেলায় বিদ্যুৎ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে একটু সময় লাগবে।

ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, রাত থেকেই ঝোড়ো হাওয়ায় বিভিন্নস্থানে বিদ্যুতের সংযোগ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে পুরোপুরি সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে এলে ক্ষতিগ্রস্ত লাইন মেরামত করে সংযোগ দেওয়া হবে। বর্তমানে জেলায় পল্লী বিদ্যুতের ৪ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ফেনীর নির্বাহী প্রকৌশলী আ.স.ম. রেজাউন নবী বলেন, তীব্র ঝড়ো হাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভোর ৫টা থেকে ৩০ হাজারের অধিক গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। লাইন মেরামতে কাজ চলছে বলে জানান তিনি।

সোনাগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কামরুল হাসান বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলায় বড় ধরনের ক্ষতি কিংবা আহতের তথ্য নেই। বাতাসে কারও কারও ঘরের টিন ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে তবে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনও পাওয়া যায়নি।

ফেনীর জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার বলেন, স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গতকাল রাত থেকে আশ্রয়কেন্দ্রে আসা মানুষদের খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড থেকে বাঁধের পরিস্থিতি ও নদীর পানি বৃদ্ধির গতিবিধি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। উপকূলীয় উপজেলা সোনাগাজীতে শুকনা খাবারের জন্য ২ লাখ টাকা, ২ মেট্রিক টন চাল, এক লাখ টাকার শিশুখাদ্য ও এক লাখ টাকার গো-খাদ্য ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। জেলার কিছু স্থানে ও সোনাগাজীতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, যা স্বাভাবিক করতে কাজ করছে বিদুৎ বিভাগ।

;

সিলেট বিমানবন্দরে আটকা পড়েছে ৬ বিমান



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, সিলেট
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাব ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভ্যন্তরীণ রুটের ৬টি বিমানের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের ৩টি বিমান আটকা পড়েছে।

সোমবার (২৭ মে) রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর গ্রাউন্ডে আটকে আছে বলে জানিয়েছেন সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক হাফিজ উদ্দিন আহমদ।

তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমাল সৃষ্ট দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় আটকাপড়া বিমানগুলো ঢাকা ও চট্টগ্রাম, সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণ ও উড্ডয়নের কথা ছিল। এখন পর্যন্ত ৬টি বিভিন্ন মডেলের বিমান আমাদের গ্রাউন্ডে আছে। অভ্যন্তরীণ রুটের ৬টি বিমানের শিডিউল বাতিল করা হয়েছে। এর আগে মোট ৯টি বিমান আটকা ছিল। তারমধ্যে বাংলাদেশ বিমানের ৩টি বোয়িং বিমান ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে গিয়েছে। বাকিগুলো আবহাওয়ার প্রতিকূলতা শেষে বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে।

;

দূর্গতদের জন্য এনজিওগুলো যা করতে পারে, জানালেন পিকেএসএফ এমডি

  ঘূর্ণিঝড় রিমাল



আশরাফুল ইসলাম, পরিকল্পনা সম্পাদক বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিঘাত মোকাবেলায় কাজ করা বেসরকারি সংস্থা বা এনজিওগুলোকে অর্থায়ন করে থাকে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)। উপকূলীয় জনপদে দূর্যোগপ্রবণ এলাকায় অনেক এনজিও সক্রিয় রয়েছে। বড় ধরণের প্রাকৃতিক দূর্যোগে এসব এনজিওগুলো কি ভূমিকা নেয় তা জানতে চেষ্টা করেছে বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় রিমালে দেশের ১৯ জেলার ১০৭টি উপজেলা আক্রান্ত হওয়ার পর সোমবার সন্ধ্যায় পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ড. নমিতা হালদারের সঙ্গে কথা বলেছে বার্তা২৪.কম

ঘূর্ণিঝড় রিমালে ক্ষয়ক্ষতি কাটাতে এনজিওগুলো কি করতে পারে জানতে চাইলে ড. নমিতা হালদার বলেন, ‘‘আমাদের যারা উপকার ভোগী আছেন তাদের দূঃখ দুর্দশা...আমাদের যেগুলো পার্টনার অর্গানাইজেশন আছে তারা তথ্য সংগ্রহ করবে। তারপর যে ধরণের সহযোগীতা দিতে হয় দিবে। আমাদের একটা ‘সাহস’ লোন আছে। এর সুদের হার অত্যন্ত কম। ঘুর্ণিঝড় রিমালের ক্ষেত্রে পার্টনার অর্গানাইজেশনগুলো এরকম সুপারিশ করতে পারে।’’

‘আমাদের আরেকটা প্রকল্প আছে যেখানে দুর্যোগ প্রেরিত আটটি জেলায় একটা নির্দিষ্ট ক্রাইটেরিয়ার মধ্যে সাইক্লোন যদি হিট করে তাহলে জাইকার একটি প্রকল্প আছে সেখান থেকে দুর্গতরা আর্থিক সহযোহিতা পায়। এটা আমরা টেক কেয়ার করছি। পার্টনারদের সঙ্গে স্ট্রং কমিউনিকেশন হচ্ছে’-বলেন পিকেএসএফ ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

-নমিতা হালদার। ছবি: সংগৃহীত

তিনি বলেন, ‘আমরা তো সামান্য সুযোগ নিয়ে সহযোগিতা করতে পারি, সরকার তো আছেই। আমরা সীমিত আকারে যারা আমাদের পার্টনার তাদের যারা উপকারভোগী, যে সমস্ত সমিতি গঠিত আছে; যেমন ধরুন উপকূলে এখন কাজ করছে আদ দ্বীন, নবলোক, হিট বাংলাদেশ, কোডেক প্রভৃতি আমাদের যেভাবে তথ্য দিবে, তারা নিজেরা তো সাহায্য-সহযোগিতা করবেই। সেইসঙ্গে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আমাদের কি করণীয় তাও আমরা নির্ধারণ করব।’

‘আমরা ঠিক অনুদান-সহায়তা করতে পারি না’ জানিয়ে সরকারের সাবেক এই সচিব বলেন, ‘ আমরা তাৎক্ষণিকভাবে সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। সফট কিছু লোন আছে, প্রয়োজন অনুযায়ী দিতে পারে। আপনি জানেন যে, সরকার এখানে বেশি অগ্রগামী। আমরা সরকারকে অনুসরণ করি। কোথায় গ্যাপ আছে। কোথায় আমরা গেলে মানুষ আর একটু উপকৃত হবে, এসব দেখে শুনে আমরা সিদ্ধান্ত নিই।’

পূর্বের দূর্যোগগুলোতে পিকেএসএফ সহায়তাপুষ্ট এনজিওগুলো কি ধরণের সহযোগিতা দেওয়ার দৃষ্টান্ত আছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি যতটা জেনেছি, সেখানে পানি থেকে শুরু করে যে উপকরণ যেখানে লাগে; মূলতঃ পানি, খাদ্য, ওষুধ-সেগুলো সরবরাহ করেছে আমাদের পার্টনার অর্গানাইজেশনগুলো। অকাঠামো নির্মাণ বা বড় কোন কার্যক্রমে আমরা যেতে পারি না।’

;

বৈরী আবহাওয়ায় সৈয়দপুরে বিমান চলাচল বন্ধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
বৈরী আবহাওয়ায় সৈয়দপুরে বিমান চলাচল বন্ধ

বৈরী আবহাওয়ায় সৈয়দপুরে বিমান চলাচল বন্ধ

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রায় ছয় ঘণ্টা ধরে বিমান উঠানামা বন্ধ রয়েছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন শতাধিক যাত্রী৷

সোমবার (২৭ মে) রাত ৯টা ৩৭ মিনিটে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক সুপ্লব কুমার ঘোষ।

তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে ছয় ঘণ্টা থেকে বিমান চলাচল বন্ধ আছে। এতে ছয়টি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। বাতিল হওয়া ফ্লাইটগুলার মধ্যে বাংলাদেশ বিমানের একটি, ইউএস-বাংলার একটি ও নভোএয়ারের একটি করে আরও তিনটি ফ্লাইট রয়েছে।

;