পুলিশকন্যা রুম্পার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণের অভিযোগ
রাজধানীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তার বাবা রোকনউদ্দিন হবিগঞ্জের একটি পুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ পরিদর্শক।
শুক্রবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়িতে রুম্পার মরদেহ দাফন করা হয়।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর রমনা থানার সিদ্ধেশ্বরী এলাকা সার্কুলার রোডের ৬৪/৪ নম্বর বাড়ির সামনে থেকে রুম্পার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রুম্পার বাবা পুলিশ পরিদর্শক রোকন উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে রমনা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। নুসরাত হত্যার মামলার মতো দ্রুত বিচার দাবি করেছেন রুম্পার বাবা।
এদিকে শুক্রবার সকাল থেকে রুম্পা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ কমসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরাও। এজন্য সকাল থেকে সিদ্ধেশ্বরীর স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে জড়ো হতে থাকেন তারা। তাদের দাবি, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের কথাও বলেন তারা।
এদিকে ধর্ষণের অভিযোগের বিষয়ে ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. সোহেল মাহমুদ বার্তা২৪.কমকে বলেন, রুম্পার মরদেহ দেখে মনে হয়েছে যে হয়তো তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তবে আমরা এখন নিশ্চিত করে বিষয়টি বলতে পারব না। আমাদের হাতে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট এখনো আসেনি। রিপোর্ট এলে নিশ্চিত করে বলা যাবে। তবে আমরা ধর্ষণের বিষয়টি মাথায় রেখে মরদেহ থেকে আলামত সংগ্রহ করেছি।
এ বিষয়ে রমনার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত বলা যাবে না। আমরা এ মামলার তদন্ত শুরু করেছি।