‘করোনা’ আক্রান্ত কাউকেই পাঠাবে না চীন: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
চীনা সরকার করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত একজনকেও পাঠাবে না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি জানান, চীনা সরকার নিশ্চিত করেছে যে ওখান থেকে ইনফেকটেড (আক্রান্ত) একজনকেও ছাড়বে না। সর্বশেষ ৩১৬ জন আসার কথা ছিল, জ্বর থাকায় তারা চারজনকে ছাড়েনি, তারা বলেছে, এ চারজন যেতে পারবেন না। শুধু জ্বর ছিল বলে তাদের রেখে দিয়েছে। তারা কমপ্লিট চেক করবে, সেখানে কেউ আক্রান্ত থাকলে, তাদের বের হতে দেবে না।
সোমবার (০৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক শেষে করোনা ভাইরাস নিয়ে বিশেষ বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রফেসর আব্দুল্লাহ গতকাল করোনা ভাইরাস নিয়ে একটি আলোচনা করেছেন, এটি মিডিয়ায় প্রচার করতে বলা হয়েছে, তিনি মানুষকে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। এখনও আমাদের দেশে এ ভাইরাস পাওয়া যায়নি। আমরা হাইলি প্রোটেকশনে আছি। পদ্মার টানেলের কাজে ১৮ তারিখের পরে চীন থেকে যারা এসেছেন, সবাইকে আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। সেখানে কোনো অসুবিধা হচ্ছে না। যারা সেখানে (চীনে) আছেন, তাদের বিশেষ করে উহান বেইজ যারা, তাদের আমরা না করে দিয়েছি, তারা আসতে পারবেন না। চীনা সরকারও উহান সিল করে দিয়েছে, ফলে সেখান থেকে কেউ আসতে পারবেন না।
যে ১৭১ জন দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের ফিরিয়ে আনতে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, বেইজিং অ্যাম্বাসিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যোগাযোগ করে তাদের তথ্য নিতে। আমরা কি ফ্যাসিলিটিজ দিতে পারব সেটাও তাদের জানাতে বলা হয়েছে। কারণ আগে যারা এসেছেন, তারা বলছেন, তাদের কেন আটকে রাখা হয়েছে? কিন্তু আমরা জাতির কথা চিন্তা করে তো রিস্ক নিতে পারি না।
ফ্লাইট বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের চারটা ফ্লাইট। সরাসরি উহান থেকে কোনো ফ্লাইট আসে না। ১০-১৫ জন প্যাসেঞ্জার হচ্ছে। প্যাসেঞ্জার না পেলে এমনিতেই ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যাবে।
অন্য দেশ হয়ে যারা আসছেন, তাদেরও চেকিং হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, প্রথমত তাদের অরিজিন দেখা হচ্ছে। সবাইকে ডাবল চেক করা হচ্ছে। যেখান থেকেই আসুক এয়ারপোর্টে ঢুকলেই সবাইকে চেকপোস্ট পার হয়ে আসতে হচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আজ মন্ত্রিসভার বৈঠকে কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২০ খসড়ার নীতিগত অনুমোদন, ডেজিগনেটেড রেফারেন্স ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস- বাংলাদেশ আইন, ২০২০ এর খসড়ার নীতিগত অনুমোদনসহ আরো দু’টি খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়।