শপথ নিলেন ঢাকার দুই মেয়র



সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দুই মেয়রকে শপথ বাক্য পড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

দুই মেয়রকে শপথ বাক্য পড়াচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ঢাকার নব নির্বাচিত মেয়র হিসেবে শপথ নিলেন ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও মো. আতিকুল ইসলাম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে তাপস এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে মো. আতিকুল ইসলামকে বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল পৌনে ১১টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ পড়ানো হয়। দুই মেয়র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দুই পাশে দাঁড়িয়ে শপথ পড়েন।

প্রথমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা উত্তরের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণের ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসকে শপথ পড়ান। এরপর স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম দুই সিটি করপোরেশনের সাধারণ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলরদের শপথ পড়ান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ।

শপথে বলা হয়, “আমি সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হইয়া সশ্রদ্ধ চিত্তে শপথ করিতেছি যে, আমি ভীতি বা অনুগ্রহ, অনুরাগ বা বিরাগের বশবর্তী না হইয়া সকলের প্রতি আইন অনুযায়ী এবং সততা, নিষ্ঠা ও বিশ্বস্ততার সহিত আমার পদের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করিব। আমি বাংলাদেশের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস ও আনুগত্য পোষণ করিব।”

প্রসঙ্গত গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর মেয়র বা কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা সরকারের মনোনীত কর্তৃপক্ষ মেয়র ও সব কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।

এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস জয়ী হয়েছেন পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে; তিনি পেয়েছিলেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

ঢাকা উত্তরেও পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম; নৌকায় তার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোটের বিপরীতে বিএনপির তাবিথ আউয়াল ধানের শীষে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

দক্ষিণে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট দেন। অন্যদিকে উত্তরে ভোটের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

মেয়রদের শপথের পর শপথ পড়েন দুই সিটি করপোরেশনের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর গণ। তাদের শপথ পড়ান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৫৪ টি সাধারণ ওয়ার্ড ও ১৮টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, অন্যদিকে ঢাকা দক্ষিণের ৭৪ জন সাধারণ কাউন্সিলর ও ২৫ জন সংরক্ষিত কাউন্সিলর শপথ পড়েন।

   

জামালপুরে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ১৭ মোবাইল ফোন উদ্ধার করল পুলিশ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম, জামালপুর
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জামালপুরে চুরি ও হারিয়ে যাওয়া ১৭টি মোবাইল ফোন সেট উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের কাছে ফেরত দিয়েছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে জামালপুর সদর থানায় সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন।

পরে উদ্ধারকৃত এসব মোবাইল ফোন সেট প্রকৃত মালিকদের নিকট হস্তান্তর করা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সোহরাব হোসেন জানান, 'তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন সময় চুরি- হারিয়ে যাওয়া ১৫ জনের ১৭টি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে। কারো মোবাইল হারিয়ে গেলে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দিয়ে মোবাইল সেট ব্যবহারে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, যাদের কাছ থেকে মোবাইল সেটগুলো উদ্ধার করা হয়েছে তারা না বুঝেই এসব মোবাইল সেট ক্রয় করে ব্যবহার করছিলো। তবে এসব মোবাইল সেট বিক্রির সাথে জড়িতদের আটক করা না হলেও তাদের ব্যাপারে অনুসন্ধান চলছে। পরে আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তির ৬ মাস আগে হারিয়ে যাওয়া ২টি ও ফয়সাল হাসান নামে এক ব্যক্তির দুই দিন আগে হারিয়ে যাওয়া ২টি মোবাইল সেটসহ উদ্ধারকৃত মোট ১৭টি মোবাইল সেট ভূক্তভোগীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়।

এ সময় পুলিশের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

;

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা



মুহাম্মাদ মুনতাজ আলী, চবি করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

চবির হলে মাদক কারবারি, সূর্য ডুবতেই শুরু হয় কেনাবেচা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি)। যেখানে প্রতি বছর আকাশসম স্বপ্ন  বাস্তবে রূপদান করতে হাজারো শিক্ষার্থী প্রবেশ করে। কিন্তু মুক্ত ক্যাম্পাসে অবাধ বিচরণ ও অসৎসঙ্গ পেয়ে কিছু বুঝে উঠতে না উঠতেই যুক্ত হয় মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে। যেখান থেকে বের হতে না পেরে ঝরে যায় সহস্র মেধাবী শিক্ষার্থী, ভেস্তে যায় হাজারো পিতা-মাতার আশা-আকাঙ্ক্ষা।

বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, মাদক সাম্রাজ্যের গহীন অন্ধকারে নিমজ্জিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আবাসিক হলে। এদের মধ্যে অধিকাংশই অছাত্র ও বহিষ্কৃত। সন্ধ্যা নামতেই মদ, গাঁজা ও ইয়াবার আসর বসে তাদের। শুরু হয় মাদকাসক্তদের আনাগোনা। যে করিডরে পাওয়ার কথা ছিল শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার চাপা গুঞ্জন, সেখানে মেলে গাঁজার উৎকট গন্ধ। এদের মধ্যে কেউ আবার নিয়মিত বিভিন্ন স্থান থেকে মাদকের চালান নিয়ে এসে করেন ব্যবসাও। সাপ্লাই দেন পুরো ক্যাম্পাসে।

সম্প্রতি পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয়ের মাদক কারবারির সাথে যুক্ত থাকার একাধিক প্রমাণ মেলে। বিভিন্ন সূত্রের মাধ্যমে জানা যায়, তার মাদক কেনাবেচা ও সরবরাহের জন্য রয়েছে বিশাল সিন্ডিকেট। এজন্য সে রাজনৈতিক প্রভাবকে পুঁজি করে চালায় মাদক ব্যাবসা। তার দাবি- সে শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের একাংশের অনুসারী, থাকেন এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের এ এফ রহমান হলের একাধিক শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা গেছে, এই হলে সম্প্রতি মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। মদ, গাঁজা ও ইয়াবা তাদের নিত্য সঙ্গী। এর ফলে প্রকাশ্যে মাতলামি করতেও দেখা যায় অনেককে।

ঘটনার অনুসন্ধানে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষে প্রকাশ্যে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়ায় কক্ষটি গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) সিলগালা করে দেয় হল কর্তৃপক্ষ।

এর আগে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত ১১টায় এ. এফ রহমান হলে মদপান, মাতলামি ও মাদক সরবরাহের অভিযোগে আশিকুজ্জামান জয় নামের ওই শিক্ষার্থীকে হল থেকে পিটিয়ে বের করে দেয় শাখা ছাত্রলীগের বিজয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন কর্মী।

এ ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ জানান, চবির এ এফ রহমান হলে সাম্প্রতিক সময়ে মাদক সেবনকারীদের সংখ্যা বেড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে খোঁজ নিলে দেখা যাবে সবচেয়ে বেশি মদ, গাজা ও ইয়াবা খায় এই হলের ছেলেরা। আমাদের ব্যাচেরই এক শিক্ষার্থী আশিকুজ্জামান জয় ঈদের পরপরই হলে ৭ থেকে ৮ কেজি মাদকদ্রব্য নিয়ে আসে এবং খেয়ে মাতলামি করে। এজন্য তাকে বেশ কয়েকবার সতর্ক করা হলেও সে শুনেনি। ফলে তার সাথে আমাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।

যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের আরেক শিক্ষার্থী মামুন মিয়ার কাছে জয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ এফ রহমান হলের সকলেই জানে জয় সম্পূর্ণ মাদকাসক্ত। সে দীর্ঘদিন থেকে মদ ইয়াবা সেবনের সাথে জড়িত থাকার পাশাপাশি হলে মাদক বিক্রিও করতো। আমরা তাকে নিষেধ করা সত্বেও সে এগুলো না ছাড়াই তার সাথে আমাদের একটু ধাক্কা-ধাক্কি হয়েছে।

আশিকুজ্জামান জয়কে মারধরের পর সরেজমিনে এ এফ রহমান হলের ৪৪০ নং কক্ষ পর্যবেক্ষণ করলে কয়েকটি মদের বোতল পাওয়া যায়। সেগুলোতে মদ না থাকলেও মদের টাটকা গন্ধ মেলে।

তবে, আশিকুজ্জামান জয় নিজ গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াসের সাথে সম্পর্ক খারাপ কেন- এই জের ধরে মারধরের কথা স্বীকার করলেও মদ পানের বিষয়টি অস্বীকার করেন। যদিও আশিকুজ্জামান জয়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে দেখা যায়, একটি দেশি মদের বোতল নিয়ে বসে আছেন। পাশে রাখা আছে আরও দুইটি মদের বোতল।

এসব ব্যাপারে এ এফ রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আলী আরশাদ চৌধুরী জানান, আমরা গতকাল (বুধবার) হাউজ টিউটরাসহ কক্ষটিতে গিয়েছিলাম। আমরা আপাতত কক্ষটি সিলগালা করে দিয়েছি। রুমে যে থাকতো তাকে সেখানে পাওয়া যায়নি। আমরা পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিব।

মাদক কারবারির ব্যাপারে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোহাম্মদ অহিদুল আলম বার্তা২৪.কমকে বলেন, সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্টের সাথে বিষয়টা নিয়ে কথা বলব। তার ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে হল প্রভোস্টসহ আমরা তার বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যাবস্থা নিব।

;

কোরবানি ঈদে ব্রা‌জিল‌ থেকে গরু আনা সম্ভব: রাষ্ট্রদূত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

আসন্ন কোরবানি ঈদে ব্রা‌জিল‌ থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত দেশ‌টির রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস।

বুধবার (৬ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপনডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠা‌নে এসব কথা জানান ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত।

ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, বাংলাদেশে মাংস খাতের বিশাল সম্ভাবনা আছে ব্রাজিলের। ব্রাজিল গরুর মাংস রপ্তানি করে থাকে। এটা বাংলাদেশের সঙ্গে একটি ভালো বাণিজ্য হতে পারে। এর মধ্যে দিয়ে উভয় পক্ষই লাভবান হবে। ব্রাজিল থেকে বাংলাদেশের ভৌগলিক দূরত্ব অনেক বেশি। সেখান থেকে জীবন্ত গরু আনা কঠিন ও জটিল হলেও অসম্ভব নয়।

গত ৭-৮ এপ্রিল ঢাকা সফর ক‌রেন ব্রা‌জি‌লের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাউ‌রো ভি‌য়েরা। সে সময় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ব্রা‌জি‌লের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর স‌ঙ্গে বৈঠক ক‌রে আগামী কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে গরু পাঠানোর ব্যবস্থা করা যায় কি না সে বিষয়টি বি‌বেচনার জন্য অনুরোধ করেন।

চলতি বছরের জুলাইয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল সফ‌রের আমন্ত্রণ জা‌নি‌য়ে‌ছেন দেশ‌টির প্রেসিডেন্ট লুলা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্রাজিল সফর প্রস‌ঙ্গে রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো ব‌লেন, জুলাই‌য়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ব্রাজিল যা‌বেন। তি‌নি জি-২০ সম্মেলনের আগে ব্রাজিল সফর কর‌বেন। যদি তিনি ব্রাজিল যান তাহলে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে যে চুক্তিগুলো সম্ভব হয়নি তা হয়ত স্বাক্ষর হতে পারে।

বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে বাণিজ্যের বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে জানিয়ে পাওলো ফার্নান্দো ব‌লেন, দুই দেশের মধ্যে ৫ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য বিদ্যমান। আমরা বাণিজ্য ভারসাম্য ও বৈচিত্র্য আনতে চাই।

ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, ব্রাজিল বাংলাদেশি আরএমজি পণ্যের একটি বড় বাজার হতে পারে। ব্রাজিলের বাজারে বাংলাদেশের পোশাক পণ্য শুল্ক বেশি দিতে হয়। এই শুল্ক কীভাবে কমানো যায়, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। তবে এই কাজটি খুব সহজ নয়। এটা ধাপে ধাপে হবে বলে আশা করি।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ব্রাজিল বাংলাদেশের সঙ্গে সামরিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী। তবে এটা শুধু বাণিজ্যের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এতে কারিগরি সহযোগিতা থাকবে। এটা হলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও বাড়বে। দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে, বাণিজ্য ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদার করার বিশাল সুযোগ রয়েছে।

রো‌হিঙ্গা ইস্যুতে ব্রা‌জি‌লের রাষ্ট্রদূত ব‌লেন, রো‌হিঙ্গা সমস্যার একমাত্র সমাধান প্রত্যাবাস‌ন। এটাই সবচেয়ে উত্তম সমাধান।

ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জানান, ব্রাজিল ভ্রমণে বাংলাদেশিদের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে প্রতি মাসে ২৫০-৩০০ ভিসার আবেদন হয়। তবে আমরা প্রতি মাসে ১০০টি ভিসা ইস্যু করতে পারি। সেজন্য ঢাকায় একটি ভিসা সেন্টার খোলার উদ্যোগ নিয়েছি। আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই আমরা একটি ভিসা সেন্টার খুলতে পারব।

অনুষ্ঠা‌নে ডিক্যাব সভাপতি নুরুল ইসলাম হাসিব ও সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বক্তব্য রাখেন।

;

তাপদাহে বিপর্যস্ত চুয়াডাঙ্গা, তাপমাত্রা ৪২.২ 



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চুয়াডাঙ্গা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চুয়াডাঙ্গায় টানা কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর আবারও শুরু হয়েছে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ। আজ এ জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা তিনটায় এ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এসময় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১৪ শতাংশ।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিস বলছে, আগামী কয়েকদিন এমন তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এদিকে, কাঠফাটা রোদ ও তীব্র গরমে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে বিপর্যয়।


চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার (২০ এপ্রিল) এ জেলায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এরপর রোববার (২১ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, সোমবার (২২ এপ্রিল) ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি, মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি ও বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ১৮ শতাংশ। বেলা তিনটায় তাপমাত্রা আরও বেড়ে দাঁড়ায় ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ।


চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ জামিনুর রহমান জানান, তীব্র তাপদাহের পর এবার চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। বৃষ্টি না হওয়া পর্যন্ত চলমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। এপ্রিল মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের কোনো সম্ভাবনা নেই। এসময় জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে গরমে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ওপর দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা চলে গিয়েছে, তাই এ জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে সবসময় বেশি থাকে।

এদিকে, টানা তাপপ্রবাহে কাহিল হয়ে পড়েছে এ অঞ্চলের মানুষ। স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় নেমে এসেছে স্থবিরতা। সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন স্থানে দেখা গেছে, তীব্র রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে অনেকে গাছের ছায়ায় আশ্রয় নিচ্ছেন। কেউ বা আবার নির্জন পরিবেশ খুঁজে বাতাসের জন্য প্রকৃতির দিকে চেয়ে আছেন। তবে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ তীব্র গরম উপেক্ষা করে কাজে বেরিয়েছেন।


জীবননগর উপজেলার শিয়ালমারি সাপ্তাহিক পশুহাটে গরু বিক্রি করতে আসা আব্দুল জলিল মন্ডল নামের এক কৃষক জানান, ‘গরু বিক্রি করতে হাটে এসে পড়েছি বিপাকে। একে তো খোলা মাঠে হাট, মাথার ওপর সূর্য দাউদাউ করে জ্বলছে। রোদ আর গরমে মনে হচ্ছে শরীর একেবারে পুড়ে যাচ্ছে।’

চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের হোটেল ব্যবসায়ী রবিউল ইসলাম জানান, এই গরমে সকালে রান্না করা খাবার দুপুর গড়াতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তাই অল্প অল্প করে বারবার রান্না করতে হচ্ছে। এতে সময় ও খরচ দুটোই বাড়ছে। তবে এই গরমে অন্য সময়ের তুলনায় মানুষ খুব কম খাবার খেতে আসছে।

দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা মাঠে ধানকাটার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এদের মধ্যে সলেমান কাজী বলেন, এই রোদ-গরম উপেক্ষা করে ধান কাটার কাজ করতে হচ্ছে। বিশ্রাম নেয়ার সুযোগ নেই। বসে থাকলে ৬ সদস্যের পরিবারে সবাইকে না খেয়ে থাকতে হবে।

;