পাটচাষিদের জীবিকা রক্ষায় কাজ করছে সরকার
কৃষিবান্ধব বর্তমান সরকার শ্রমঘন পাটখাতের সঙ্গে নিবিড়ভাবে সম্পর্কিত দেশের চার কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন রংপুরের জেলা প্রশাসক আসিব আহসান।
তিনি বলেন, দেশের চার কোটি মানুষের জীবন-জীবিকা পাটখাতের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত। তাদের বাদ দিয়ে সরকারের উন্নয়ন পরিকল্পনা নেই। কৃষককে পাট চাষে বীজ ও সার সহায়তা দিচ্ছে সরকার। এই সোনালি আঁশ পাটের গৌরবময় ইতিহাস ও ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলসভাবে কাজ করছেন।
শুক্রবার (৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১১টায় জাতীয় পাট দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিসি এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় পাট অধিদপ্তর রংপুর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
কৃষি জমি বিক্রি করে চাকরিতে ঘুষ না দিয়ে, জমি চাষ করে ভাগ্যের উন্নয়নে নতুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসিব আহসান বলেন, বাংলাদেশের উন্নত মানসম্মত সোনালি আঁশ পাটের খ্যাতি বিশ্বব্যাপী। পাট পরিবেশবান্ধব ফসল। পাট ও পাটপণ্য ব্যবহারে পরিবেশের কোন ক্ষতি নেই। কৃষি জমি বিক্রি করা বা আবাদ না করে ফেলে রাখা বন্ধ করে পাট চাষ করে জমির উর্বরতা শক্তি বাড়াতে হবে।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সৈয়দ এনামুল কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন- কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রংপুর উপ-পরিচালক ড. সরওয়ারুল হক, পাট অধিদপ্তর রংপুর প্রধান মাহাবুবুর রহমান বিশ্বাস। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সাইফুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মনিটরিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম, প্রবীণ সাংবাদিক আফতাব হোসেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, পলিথিনের ব্যবহার বন্ধে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন প্রয়োগ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। সরকারিভাবে যে ১৯টি পণ্য মোড়কীকরণে পাটের ব্যাগ ব্যবহার বাধ্যতামূলক, প্রচার করতে হবে। পাশাপাশি পাটচাষিদের কল্যাণ, উন্নত পাট ও পাটপণ্যের অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক বাজার সম্প্রসারণে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।
অনুষ্ঠানে পরিবেশ দূষণরোধ ও পাটের অভ্যন্তরীণ ব্যবহার বৃদ্ধির লক্ষ্যে আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে সারাদেশে ৬ হাজার ১৭৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে সাড়ে চার কোটি টাকার ঊর্ধ্বে জরিমানা আদায় করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
এদিকে ‘সোনালি আঁশের সোনার দেশ, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে সকালে জাতীয় পাট দিবস জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে পাটচাষি, ব্যবসায়ী ও গবেষক, পাট অধিদপ্তর এবং জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা অংশ নেন।