৩৩৩-এ কল করলেই আইইডিসিআর'র করোনা সংক্রান্ত সেবা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নতুন করে আরও ৫ টি হটলাইন চালু করেছে জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর)। এই নিয়ে আইইডিসিআরে হটলাইন নম্বরের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ টি। এছাড়া স্বাস্থ্য বাতায়নের হেল্পলাইন নম্বর ১৬২৬৩ ফোন করেও করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য জানতে পারবেন আগ্রহীরা।

আইইডিসিআর সূত্রে জানা যায়, তবে আইইডিসিআর'র ১৯ টি হটলাইন নম্বরে কল করার ঝামেলা এড়াতে চান তারা শুধুমাত্র তথ্য সেবার হেল্প লাইন নম্বর ৩৩৩ তে কল করলেই করোনা সংক্রান্ত সেবা পাবেন। কেননা ৩৩৩ হেল্পলাইন নম্বরে আইইডিসিআর'র ১৯ টি হটলাইন নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। তাই কেউ যদি ৩৩৩ কল করেন সেই কলটি চলে যাবে আইইডিসিআর'র হটলাইন নম্বরে।

হটলাইনের নম্বর: ০১৫৫০০৬৪৯০১-৫, ০১৪০১১৮৪৫৫১, ০১৪০১১৮৪৫৫৪, ০১৪০১১৮৪৫৫৫, ০১৪০১১৮৪৫৫৬, ০১৪০১১৮৪৫৫৯, ০১৪০১১৮৪৫৬০, ০১৪০১১৮৪৫৬৩, ০১৪০১১৮৪৫৬৮, ০১৯২৭৭১১৭৮৪, ০১৯২৭৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯৪৪৩৩৩২২২।

শুক্রবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত স্বাস্থ্য ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান আইইডিসিআর পরিচালক ডা. অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা।

ডা. অধ্যাপক মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা জানান, হটলাইনে গত ২৪ ঘণ্টায় কল এসেছে ৪ হাজার ৩২৯ টি। এর মধ্যে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য জানানোর জন্য কল করা হয়েছে ৪ হাজার ২১২ টি। তবে অনেকে অভিযোগ করে বলছেন তারা হটলাইনে  ঢুকতে পারছেন না। এত কল আসলে স্বাভাবিক ভাবেই লাইনগুলো ব্যস্ত থাকার কথা।

তিনি আরও জানান, তবে আমরা বিষয়টি অর্গানাইজ করার চেষ্টা করছি। আইইডিসিআরের হটলাইনে আরও নতুন পাঁচটি মোবাইল নম্বর সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির হটলাইনে করোনাভাইরাসের তথ্য ও সেবা পেতে এর আগে ১৩টি নম্বর এক সঙ্গে চালু করা হয়েছিল। বর্তমানে আইইডিসিআরের হটলাইনে নতুন পাঁচটি মোবাইল নম্বরসহ মোট ১৯টি মোবাইল নম্বর যুক্ত হয়েছে। আইইডিসিআর'র হটলাইন নম্বরগুলো তথ্য সেবা হেল্পলাইন নম্বর ৩৩৩-তে যোগ করা হয়েছে। এখন থেকে ৩৩৩-এ কল দিলে এসব হটলাইন নম্বরে কথা বলা যাবে। 

   

যাত্রাবাড়ীতে বাস-পিকআপ সংঘর্ষে নিহত ২



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মাতুয়াইলে বাসের ধাক্কায় পিকআপ ভ্যানের চালকসহ ২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- বাবুল চিশতা (৪৫) ও অপরজনের নাম কবির হোসেন। তার বয়স আনুমানিক (৫০) বছর।

রোববার (৫ মে) দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু সায়েম জানান, মাতুয়াইল মা ও শিশু হাসপাতালের সামনের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে রাত পৌনে ২টার দিকে একটি পিকআপ ভ্যান ইউটার্ন নিচ্ছিল। তুহিন পরিবহনের একটি বাস তখন পিকআপ ভ্যানটিকে ধাক্কা দেয়। এতে পিকআপ ভ্যানটি দুমড়েমুচড়ে যায় এবং বাসটি পাশে খাদের পানিতে পড়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয়রা পিকআপ ভ্যানের ভেতর থেকে মুমূর্ষু অবস্থায় দুজনকে বের করে রাস্তায় রাখেন। তখন তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

এসআই আারও জানান, দুর্ঘটনার সময় ওই বাসটিতেও কয়েকজন যাত্রী ছিলেন। তবে তারা সামান্য আহত হওয়ায় স্থানীয় হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে যে যার বাসায় চলে গেছেন। নিহত বাবুল চিশতি পিকআপ ভ্যানটির চালক। মরদেহ দুটি ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে রাখা হয়েছে।

নিহত বাবুল চিশতির স্ত্রী নার্গিস আক্তার জানান, শরীয়তপুরের গোসাইরহাট উপজেলার সামন্তশা গ্রামে বাবুলের বাড়ি। বাবার নাম আব্দুর রশিদ আকন। পরিবার নিয়ে যাত্রাবাড়ীর মৃধাবাড়ি এলাকায় থাকেন। ভাড়ায় পিকআপ ভ্যান চালাতেন তিনি। সোমরাত রাত ১টার দিকে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। বের হওয়ার সময় জানিয়েছিলেন, যাত্রাবাড়ী মাছের আড়তে যাবেন। সেখান থেকে পিকআপ ভ্যানে করে মাছ নিয়ে কোথাও যাওয়ার কথা ছিল তার।

;

দুপুরের মধ্যে ৮০ কিমি. বেগে বৃষ্টির আভাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অফিস। সেই সঙ্গে বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

সোমবার (৬ মে) সকালে দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০-৮০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া রংপুর এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কি.মি. বেগে বৃষ্টি/বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে, আবহাওয়া অফিসের অপর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। আগামী ৬ এবং ৭ মে এই বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে।

;

কৌশলে অপহরণকারীদের হাত থেকে বেঁচে ফিরল ১২ বছরের সাজিদ



স্পেশাল ককরেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

অপহরণের ১৩ ঘণ্টা পর উদ্ধার হয়েছে স্কুলছাত্র মো.সাজিদুল ইসলাম সাজিদ (১২)। রোববার (৫ মে) দুপুরে স্কুল শেষে বাড়ি ফেরার পথে চট্টগ্রামের রাউজানের পাহাড়তলী চৌমুহনী থেকে তাকে অপহরণ করে সংঘবদ্ধ একটি চত্রু। ঘটনাস্থল থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে রাউজান মুন্সির ঘাটা এলাকা থেকে একইদিন রাত ২টায় তাকে উদ্ধার করা হয়েছে। সাজিদ রাউজানের চুয়েট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র।

উদ্ধারের পর পুরো ঘটনা পরিবারের সদস্যদের খুলে বলেছে সাজিদ। সে জানায়, স্কুল থেকে বাসায় ফেরার পথে একজন নারী তাকে একটি কাগজ দিয়ে সেখানে লেখা ঠিকানাটি কোথায় জানতে চায়। কাগজের লেখাটি ছিল খুবই ছোট অক্ষরে। সাজিদ লেখাটি ভালোভাবে দেখতে কাগজটি চোখের কাছাকাছি নিয়ে আসলে তাৎক্ষণিকভাবে সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। পরে তার জ্ঞান ফিরলে নিজেকে একটি বেড়ার ঘরে দেখতে পায়। সেখানে তিন যুবক তাকে মায়ের মোবাইল নম্বর দিতে বলে। তবে সাজিদ মোবাইল নম্বর জানে না বললে যুবকেরা তাকে মারধর করে।

এদিকে সাজিদ নিখোঁজ হওয়ার পর পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী ব্যাপক খোঁজাখুজি শুরু করলে অপহরণকারীরা তাকে সেখান থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা করে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় অটোরিকশাটি মুন্সির ঘাটা এলাকায় পৌঁছলে সাজিদ কৌশলে লাফ দেয়। এরপর ওখানে একটি দোকানে গিয়ে তার মায়ের মোবাইলে ফোন দেয়। পরিবারের লোকজন গিয়ে তাকে রাত দুইটায় বাড়িতে নিয়ে আসে।

সাজিদ চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলীর ভাগ্নে। সাংবাদিক মোহাম্মদ আলী সাজিদের অপহরণ ও খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, 'অবশেষে আমাদের উৎকণ্ঠা কমল। ভাগ্নেকে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নিয়েছেন এলাকার অসংখ্য মানুষ। হাজারো মানুষ ফেসবুকে বিষয়টি শেয়ার করে ছড়িয়ে দিয়েছেন। এসব কারণে অপহরণকারীরা চাপে পড়ে। পরে অন্য জায়গায় সরিয়ে নেওয়ার সময় ভাগ্নে কৌশলে লাফ দেয়। ভাগ্নে নিঁখোজ হওয়ার পর প্রতিনিয়ত খবরাখবর নিয়েছেন অসংখ্য মানবিক মানুষ। সহযোগিতা দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ। তাদের কাছে আজীবন ঋণী হয়ে গেলাম।'

;

দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধির পাঁয়তারা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম ঢাকা
ছবি : সংগৃহীত

ছবি : সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরও এক শ্রেণির অসাধু চক্র পণ্যটি নিয়ে কারসাজি করেছে। আমদানির পর সরবরাহ বাড়লে সব ধরনের পেঁয়াজের দাম কমার কথা।

কিন্তু, দেশির দাম কেজিপ্রতি ১০০ টাকা বিক্রির টার্গেট করা হচ্ছে। যা বর্তমানে কেজিপ্রতি ৬০-৭০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। মাসখানেক আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকা।

বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, পেঁয়াজের দাম যাতে অযৌক্তিকভাবে বাড়াতে না পারে সেজন্য কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হয় পণ্যটি কিনে প্রতারিত হবেন ভোক্তা।

এদিকে আমদানিকারকরা বলছেন, ভারত থেকে প্রতি টন পেঁয়াজের রপ্তানি মূল্য ৫৫০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। যে কারণে দেশি টাকায় প্রতি কেজির দাম ৭০ টাকা পড়তে পারে। পাইকারিতে ৭৫-৮০ টাকা ও খুচরায় মূল্য কিছুটা বেড়ে ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হবে। তাই ভারতের পক্ষ থেকে রপ্তানি মূল্য আরও কমানো দরকার ছিল। কারণ ভারতে এবার অনেক পেঁয়াজ আবাদ হয়েছে।

রবিবার (৫ মে) রাজধানীর কাওরান বাজার, নয়াবাজার, শান্তিনগর কাঁচা বাজারসহ একাধিক খুচরা বাজার ঘুরে বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদিন প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৬০-৭০ টাকা। যা ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির খবরের আগে আগে (দুদিন আগে) ৬৫-৭৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

আর এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮-৬০ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪৫-৫০ টাকায়।

নয়াবাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা মো. ইসমাইল বলেন, পাইকারি বাজারে বড় বড় ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজের দাম নিয়ে ফের কারসাজি করছে। ভারত থেকে রপ্তানির খবরে দাম কেজিপ্রতি পাঁচ টাকা কমায় খুচরা পর্যায়ে ৫ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু, তারা যখন হিসাব করে দেখেছে প্রতি কেজি ভারতের পেঁয়াজ আমদানি খরচ ৭০ টাকা।

আর পাইকারি বাজার হয়ে খুচরা বাজারে আসতে সেই পেঁয়াজের দাম প্রায় ৯০ টাকার মতো হয়, ঠিক তখন থেকে দেশি পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধি করতে উঠে পড়ে লেগেছে। তারা এখন থেকেই বলছে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাবে। তাই মোকাম থেকে এখন থেকেই বেশি করে কিনতে বলছে।

তারা এটাও বলছে, পরে দেশি জাতের দাম পাইকারি পর্যায়ে দাম ৮০-৮৫ টাকার উপরে হয়ে যাবে। যা রোববারও ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, ভারতের পেঁয়াজ আমদানি করতে যদি বেশি টাকা লাগে, তবে সেই পেঁয়াজ পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি হবে। এটাই হওয়ার কথা। কিন্তু, বর্তমানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ পাইকারিতে ৫৫-৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। সেই পেঁয়াজ কী করে পাইকারি বাজারে ৮০-৮৫ টাকা বিক্রি করবে? একই পেঁয়াজের দাম কী করে কেজিপ্রতি ৩০ টাকা বেশি হয়ে যাবে? সব তাদের কারসাজি। আমদানি পেঁয়াজের সঙ্গে মার্কেট প্রাইজ ধরে রেখতে তারা দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে বাড়তি মুনাফা করতে ছক তৈরি করেছে। পাইকরি পর্যায়ে ৮০-৮৫ টাকায় পেঁয়াজ বিক্রি হলে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের দাম ১০০ টাকার উপরে বিক্রি হবে। মনে হচ্ছে এটাই তারা টার্গেট করেছে। যা অযৌক্তিক। প্রশাসনের নজর দিতে হবে।

রাজধানীর কাওরান বাজারের পাইকারি পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ভারত থেকে এতদিন বৈধ পথে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ ছিল। তাই দেশি পেঁয়াজ দিয়ে সরবরাহ ঠিক রাখতে হয়েছে। তবে ভারতের পেঁয়াজের দাম বেশি।

প্রতি টন ৫৫০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে সেই পেঁয়াজ দেশের পাইকারি বাজারে ৭৫-৮০ ও খুচরা পর্যায়ে ৮০-৯০ টাকা বিক্রি হওয়ার কথা। তাই মনে হচ্ছে ভারতের পেঁয়াজের সঙ্গে দেশি পেঁয়াজের দামও বাড়বে।

কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, যে পণ্যের যে দাম সেভাবেই বিক্রি হওয়ার কথা। তবে দেশে ভিন্ন চিত্র। কোনো পণ্যের আমদানি মূল্য বেশি থাকলে সঙ্গে সঙ্গে দেশে বাড়তি মুনাফা করতে উৎপাদিত পণ্যের দামও বাড়িয়ে বিক্রি করা হয়। পেঁয়াজের ক্ষেত্রে যেন এমনটা না হয় সেদিকে লক্ষ রাখতে হবে। মনিটরিং জোরদারের পাশাপাশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।

এদিকে শনিবার (৪ মে) কুমিল্লা নগরীর রাজগঞ্জ বাজারে পরিদর্শন শেষে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, আগামী ঈদুল আজহার আগেই পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মধ্যে চলে আসতে পারে। ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে দেওয়ায় এ সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, লোকবল বৃদ্ধি ও আইনের সংস্কার হলে ভোক্তা অধিদপ্তর জনগণের উপকারে আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে পারবে।

প্রসঙ্গত, গত ৮ ডিসেম্বর থেকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে। সেই সময়ের ঘোষণা অনুযায়ী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল। তবে মেয়াদ শেষের আগেই গত ২৩ মার্চ পেঁয়াজ রপ্তানি অনির্দিষ্টকাল বন্ধের ঘোষণা দেয় ভারত। তখন দেশে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ১০০ ছাড়িয়ে বিক্রি হয়।

তবে এই নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও ভারত গত ফেব্র“য়ারিতে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েক দেশে সীমিত পরিসরে পেঁয়াজ বিক্রির অনুমোদন দেয়। এছাড়া দেশীয় উৎপাদিত পেঁয়াজ বাজারে আসতে শুরু করলে দাম কেজিপ্রতি ৪০-৫০ টাকায় নেমে যায়। পরে সরবরাহে ঘাটতির অজুহাতে ফের খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে।

;