করলা চাষ করে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কুড়িগ্রামের কৃষকের

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

করলা চাষ করে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কুড়িগ্রামের কৃষকের

করলা চাষ করে দুশ্চিন্তার শেষ নেই কুড়িগ্রামের কৃষকের

কুড়িগ্রামে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও বাম্পার ফলন হয়েছে করলার। ক্ষেতে ঝাঁকে ঝাঁকে ধরেছে করলা। নিয়মিত পরিচর্যা করে করলার ক্ষেত ভালো রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন করলা চাষিরা। এখন পর্যন্ত ক্ষেতের ক্ষতি না হলেও করোনারভাইরাসের কারণে বাজারে করলার ভালো দাম না পাওয়ায় দুশ্চিন্তার যেন শেষ নেই কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার করলা চাষিদের।

করলা চাষিরা জানায়, এক বিঘা জমিতে করলা চাষে সর্বমোট ব্যয় হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। এক বিঘা জমিতে করলা উৎপাদন হয় ৫০-৬০ মণ। গতবার এই সময়ে করলা বাজারে প্রতি মণ বিক্রি হতো ১০০০-১২০০ টাকা। এবার করোনার কারণে প্রতিমণ করলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা দরে।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রাম উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় করলা আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল, ২১৫ হেক্টর জমি। তবে আবাদ হয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে।

 এবার করলার আবাদ হয়েছে ২১০ হেক্টর জমিতে

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ঘোগাদহ ইউনিয়নের চইতের খামার গ্রামের করলা চাষি ছামাদ আলী বার্তা২৪.কম-কে জানান, এক বিঘা জমিতে করলা চাষে খরচ হয় ২০-২৫ হাজার টাকা। করলা উৎপাদন হবে ৫০-৬০ মণ। গতবার এই সময় করলা বাজারে বিক্রি হতো ১২০০-১৪০০ টাকা। এখন বিক্রি হচ্ছে ২৫০-৩০০ টাকা। এই দামে বিক্রি করে তো আমার খরচেই উঠবে না লাভ তো দূরের কথা আসলেই উঠবে না। বলার কিছুই নাই  আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো এটাই হচ্ছে কথা।

বিজ্ঞাপন

ঐ গ্রামের আরেক করলা চাষি আব্দুল কাদের বার্তা২৪.কম-কে বলেন, এ বছর করলার ভালো ফলন হয়ে। এই করোনার কারণে বাজারে করলার দাম নাই। আগের মতো দাম থাকলে খরচ উঠেও ভালো লাভ করতাম। কিন্তু এবার ক্ষতির মুখ দেখা ছাড়া কিছু হবে না।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন বার্তা২৪.কম-কে বলেন, কৃষকরা তাদের উৎপাদিত ফসল মার্কেটিং করতে না পাড়ায় করলার দাম কম বলে জানালেন তিনি।