ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ২ লাখ ২৭ হাজার চাষি ক্ষতিগ্রস্ত

  ঘূর্ণিঝড় আম্পান
  • সোহাগ আলী, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঝিনাইদহ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

চাষিদের ফসলের মাঠ ভেসে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

চাষিদের ফসলের মাঠ ভেসে গেছে/ ছবি: বার্তা২৪.কম

ঝিনাইদহে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ২ লাখ ২৭ হাজার চাষি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আম্পানে গাছ-পালা ও বাড়িঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ভেসে গেছে খামার-পুকুরের মাছ। সেই সাথে নষ্ট হয়েছে মাঠের পর মাঠের ফসল।

বৃহস্পতিবার (২৮ মে) ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্য মতে, জেলার ৬ উপজেলায় প্রায় ২ লাখ ২৭ হাজার কৃষকের দেড় হাজার হেক্টর কলা, এক হাজার ২৫ হেক্টর শাক শবজি, ১ হাজার ৯’শ ৫০ হেক্টর মুগডাল, ২ হাজার ২০ হেক্টরের তিল, সাড়ে ৭’শ হেক্টর মরিচ, এক’শ হেক্টর বোরো ধান, দেড় হাজার হেক্টর পান বরজ, ২ হাজার ৮’শ ৭৫ হেক্টরের আম, ৪১৮ হেক্টরের লিচু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। টাকার অঙ্কে ফসলের ক্ষতি হয়েছে ৮৮ কোটি ৮৯ লাখ টাকা।

বিজ্ঞাপন
নষ্ট হয়ে গেছে পানের বরজ

ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের কৃষক রাশেদুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পানে তার দেড় বিঘা জমির পান বরজ নষ্ট হয়ে গেছে। বরজে প্রায় আড়াই লাখ টাকার পান ছিল। বিধ্বস্ত পান বরজ মেরামত করতে এখন প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হবে।

সদর উপজেলার হলিধানী গ্রামের কলাচাষী কাদের মিয়া বলেন, এ বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছিলেন। কয়েকদিন হলো অল্প কিছু কলা বিক্রি করতে পেরেছেন। কলা বিক্রি করে তিনি কমপক্ষে ৩ লাখ টাকা আয় করতেন। আম্পানের কারণে তার ৩ বিঘা জমির কলাগাছ ভেঙে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

মহেশপুর উপজেলার নাটিমা গ্রামের কৃষক শামীম হোসেন বলেন, আম্পানের কারণে তার মাছের খামারগুলো ভেসে গেছে। এছাড়াও তার ১০ বিঘা জমির কলাক্ষেত নষ্ট হয়েছে। মূলধন হারিয়ে এখন পথে বসেছেন তিনি। এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করার আহ্বান জানিয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা।

ভেঙে পড়েছে কলা গাছ

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার ফুলহরি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামিনুর রহমান বিপুল বলেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে শৈলকুপা উপজেলার সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ফুলহরি ইউনিয়ন। এছাড়াও জেলার প্রতিটি ইউনিয়নের কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব কৃষকদের তালিকা করে সরকারিভাবে সহযোগিতা করলে কৃষকরা একটু হলেও বাঁচতে পারবে। তার সরকারের প্রতি আহ্বান থাকবে, এসব কৃষকদের আর্থিক ভাবে সহযোগিতা যেন করা হয়।

এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক কৃপাংশু শেখর বিশ্বাস বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তালিকা করা হয়েছে। পানবরজ, কলাক্ষেত, আম, লিচুসহ অন্যান্য ফসল যা রয়েছে তা সংরক্ষণ ও বিপণণের জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।