নমুনা রিপোর্ট পেতে ৭-১৩ দিন, দিব্যি ঘুরছেন সন্দেহভাজনরা

  • আমিনুল ইসলাম জুয়েল, উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, পীরগাছা (রংপুর)
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সন্দেহভাজনরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন সন্দেহভাজনরা/ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুরের পীরগাছায় নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় ও সচেতনতার অভাবে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। বেশীরভাগ ক্ষেত্রে নমুনা রিপোর্ট আসতে সাত থেকে ১৩ দিন সময় লাগছে। এই সময়ে সঙ্গরোধ (হোমকোয়ারেন্টিন) না মেনে সন্দেহভাজনরা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ফলে উপজেলায় ব্যাপক হারে করোনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলায় নমুনা দেওয়ার সাত থেকে ১৩ দিন পর পাঁচজনের করোনা পজিটিভ এসেছে। গত ২৭ মে থেকে ৫ জুনের মধ্যে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুন) রাতে পাওয়া এসব নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তাদের করোনা আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তবে তারা নমুনা দেওয়ার পর থেকে ঘুরে বেড়িয়েছেন। হাটবাজারে গিয়ে চায়ের দোকানে আড্ডা দিয়েছেন। পরিবারের সকলের সংস্পর্শে এসেছেন। ফলে তাদের করোনা পজিটিভ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় লোকজনের মাঝে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া শনিবার (৬ জুন) উপজেলার ছাওলা ইউনিয়নের রতিনপুরে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ইলিয়াস হোসেন (৭২) নামে এক ব্যক্তি ওই তালিকায় রয়েছেন।
১ মে উপজেলায় প্রথম করোনা শনাক্তের এক মাসের মধ্যে ১৫ জন আক্রান্ত হলেও পরবর্তী ১০ দিনে ১২ জন আক্রান্ত হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আবু আল হাজ্জাজ বলেন, নতুন করে শনাক্ত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্য ও সংস্পর্শে আসা লোকজনের নমুনা সংগ্রহের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার সুযোগ সীমিত হওয়ায় অনেক সময় রিপোর্ট পেতে দেরি হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১১ জুন) সন্ধ্যায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিসিআর ল্যাবের রিপোর্টে নতুন করে তিন জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর আগে বুধবার ৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া এক ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে করোনা পজিটিভ এসেছে। এ নিয়ে উপজেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে। শুক্রবার (১২ জুন) আক্রান্তদের বাড়িসহ ৩০ বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।