যাত্রী নেই পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাটে

  • খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, মানিকগঞ্জ
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট

পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যাত্রীদের আনাগোনায় মুখরিত থাকে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় ২১টি জেলার হাজারো যাত্রী প্রতিদিন নদী পারাপার করেন এই নৌরুট দিয়ে। তবে করোনা সংক্রমণের শুরু থেকেই বিপাকে রয়েছেন লঞ্চ ব্যবসায়ী ও শ্রমিকরা।

সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী দুই মাস ৬ দিন বন্ধ থাকার পর লঞ্চ চলাচল হয় পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে। তবে যাত্রী না থাকায় এখনো মন্দা সময় যাচ্ছে লঞ্চ ব্যবসায়ীদের। স্বাভাবিক সময়ে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৫ হাজার যাত্রী নৌরুট পারাপার হলেও এখন প্রতিদিন পারাপারের যাত্রী সংখ্যা হাজারের নিচে।

বিজ্ঞাপন

এতে করে কোনরকমে লঞ্চের জ্বালানি খরচ উঠলেও স্টাফ খরচ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন লঞ্চ মালিকরা। দিন দিন যাত্রী সংখ্যা কমে আসছে পাটুরিয়া লঞ্চ ঘাট এলাকায়। এতে বিপাকে পড়েছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।

শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া লঞ্চঘাটে যাত্রীর অপেক্ষায় দেখা মিলে সারিবদ্ধভাবে নোঙর করা অপেক্ষমান কিছু লঞ্চের। করোনা থেকে যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে লঞ্চঘাটে জেলা পুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ-এর দুটি জীবাণূনাশক অটো স্প্রে মেশিন দেখা যায়। তবে সেটি ব্যবহারে খুব একটা আগ্রহী নন ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে ঘাট এলাকায় আগত যাত্রীরা।

আব্দুল সাত্তার বেপারী নামে লঞ্চের এক স্টাফ জানান, করোনার জন্য দুই মাস লঞ্চ চলাচল বন্ধ থাকায় অর্ধেক বেতন পেয়েছেন তিনি। পরে লঞ্চ চলাচল শুরু হলেও যাত্রী না থাকায় মন্দা সময় যাচ্ছে। স্বাভাবিক সময়ে ৭/৮টি সিঙ্গেল ট্রিপ হলেও এখন ট্রিপ হয় দুটি।

পাটুরিয়া লঞ্চঘাটের সুপারভাইজার পান্না লাল নন্দী বার্তা২৪.কমকে বলেন, স্বাভাবিক সময়ে গড়ে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার যাত্রী পাটুরিয়া লঞ্চঘাট হয়ে নৌরুট পারাপার হতো। এখন প্রতিদিন নৌরুট পারাপারের যাত্রী সংখ্যা হাজারেরও কম। অনেকটা যাত্রী শূন্য পাটুরিয়া লঞ্চঘাট।

এতে করে শুধুমাত্র লঞ্চের জ্বালানি খরচ উঠলেও স্টাফদের খরচ নিয়ে বিপাকে লঞ্চ মালিকেরা। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে ছোট বড় মিলে ২৪টি লঞ্চ রয়েছে। তবে প্রয়োজনে লঞ্চ চলাচলের সংখ্যা ওঠানামা করে বলেও জানান তিনি।

এসব বিষয়ে জানতে পাটুরিয়া লঞ্চঘাট মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহিম খানের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।