চলতি মাসেই ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রমের সম্ভাবনা

  • ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুড়িগ্রাম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে ডুবে গেছে

ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে ডুবে গেছে

বৃষ্টির পানি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। তবে ধরলা ও তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। ব্রহ্মপুত্রের অববাহিকায় নিম্নাঞ্চল এরইমধ্যে তলিয়ে গেছে গ্রামীণ রাস্তা-ঘাট ও শাক সবজিসহ অনেক ক্ষেত।

নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের কিছু গ্রামের মানুষ পানি বন্দি হয়েছেন। গ্রামগুলো হলো- চর যাত্রাপুর, ঝুনকারচর, রলাকাটা, কালির আলগা, ভগবতিপুর ও পোড়ারচর। যাত্রাপুর ইউনিয়নের (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী সরকার এই চরগুলোর মানুষ পানি বন্দি হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

কুড়িগ্রাম সদর যাত্রাপুর ইউনিয়নের ফারাজি পাড়া গ্রামের রহিমা বেগম বলেন, ‘এই যে বন্যা আসছে আমাদের কষ্ট শুরু। কিছু করার নাই। তবে খাওয়া-দাওয়ার, চলাফেরা ও থাকার খুব সমস্যা হয়। কি আর করার, এভাবেই জীবন কাটাতে হবে।’

নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করলে ডুবে যেতে পারে এসব বাড়ি ঘর

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফুল ইসলাম বার্তা২৪.কম-কে জানান, ধরলা ও তিস্তার পানি কিছুটা কমতে শুরু করেছে। তবে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমার ৯৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ মাসের শেষের দিকে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। ধরলা ও তিস্তার পানি বাড়া ও কমার মধ্যেই থাকবে।