শনিবার থেকে হাসপাতালগুলোতে ডিএনসিসির মশকনিধন কার্যক্রম

  • সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন/ছবি: সংগৃহীত

ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন/ছবি: সংগৃহীত

করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ যেন মাথাচাড়া দিয়ে না ওঠে সেজন্য আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এরইমধ্যে একদফা দশদিন ব্যাপী মশক নিধনে বিশেষ কর্মসূচি পালন করেছে ডিএনসিসি। এবার ডিএনসিসি এলাকাধীন সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মশক নিধনে বিশেষ কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে।

শনিবার (২০ জুন) থেকে ২৫ জুন বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ দিনব্যাপী এই কর্মসূচি চলবে। শুক্রবার বিকেলে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন এক ভিডিও বার্তায় এ তথ্য জানান।

বিজ্ঞাপন

প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন বলেন, আমরা গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার আগে থেকেই কার্যক্রম চালু রেখেছি। এরইমধ্যে মশক নিধনে দশদিন ব্যাপী বিশেষ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। সকলের সম্পৃক্ততা পেলে অবশ্যই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

তিনি বলেন, ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য আমরা এরইমধ্যে ডিএনসিসি’র স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নগর মাতৃসদন কেন্দ্র যেগুলোতে ডেঙ্গু পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছি। সেখানে কিট সরবরাহ করা হয়েছে। নগরবাসী বিনামূল্যে ডেঙ্গু পরীক্ষা করাতে পারবে। আগের ২৭টির সঙ্গে আরো ১৩টি নগর স্বাস্থ্য কেন্দ্র যুক্ত হচ্ছে। সবমিলিয়ে ৪০টি জায়গায় ফ্রি ডেঙ্গু পরীক্ষা করা যাবে।

প্রধান স্বাস্থ্যকর্মকর্তা বলেন, বিশেষজ্ঞদের ধারণা করোনার মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলে চরম বিপর্যয় তৈরি হবে। তাই আগামীকাল শনিবার (২০ জুন) থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৬ দিনে উত্তর সিটি করপোরেশন এলাকার সকল সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মশক নিধনে বিশেষ কর্মসূচি শুরু করতে যাচ্ছি। এজন্য সকল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা চাই। পাশাপাশি হাসপাতালগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছে যে হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগী পাওয়া যাবে সাথে সাথে যেন ডিএনসিসিকে অবহিত করা হয়। তাহলে আমরা সেখানে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারব।

ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতাধীন কোভিড ও নন-কোভিড হাসপাতালগুলোতে অবস্থানরত রোগী, ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য চিকিৎসাসেবক যেন কেউ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত না হয়, এ জন্য বিশেষ মশকনিধন কর্মসূচি শুরু হতে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতে অনেক সময় রোগীদের জন্য মশারি থাকে না বা টানানো হয় না। সেখানে একজন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে অনেকের আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে।

মশক নিধন কার্যক্রমের মধ্যে সকালে লার্ভিসাইডিং (মশার লার্ভার কীটনাশক) এবং বিকেলে এডাল্টিসাইডিং (পরিণত মশার কীটনাশক) প্রয়োগ করা হবে। ইতোমধ্যে ডিএনসিসি কর্তৃক হাসপাতালগুলোর আঙ্গিনায় এবং আশেপাশে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সম্পন্ন করা হয়েছে। ডিএনসিসির অন্যান্য এলাকায় স্বাভাবিক মশক নিধন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।