পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চীনা বাদামের ভালো ফলনে খুশি চাষিরা

  • এম এম জামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

বাদাম তুলছেন কৃষকেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

বাদাম তুলছেন কৃষকেরা, ছবি: বার্তা২৪.কম

পদ্মার বিস্তীর্ণ চরে চাষ করা সোনালী ফসল চীনা বাদাম ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুষ্টিয়ার চাষিরা। অনাবাদি পদ্মার চরে এবার চীনা বাদামের ভালো ফলন হওয়ায় হাসি ফুটেছে চাষিদের মুখে।

পদ্মার চর ঘুরে দেখা গেছে, পদ্মার বুকে জেগে ওঠা চরে প্রথম দিয়ে কিছু কৃষক চীনা বাদাম চাষ করে ভালো টাকা রোজগার করায় এখন এ অর্থকরী ফসলের চাষ পুরো চরে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বছর চরে বাদাম চাষ করে ফলন ভালো পেলেও দাম নিয়ে রয়েছে হতাশা।

বিজ্ঞাপন

কৃষকরা বলছেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আম্পান আঘাত না হানলে ফলন আরো ভালো হতো। তারপরও খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখার আশা করছেন তারা।

দৌলতপুর উপজেলার মুন্সিগঞ্জের আব্দুল জব্বার জানান, এবার তিনি পাঁচ বিঘা জমিতের বাদাম চাষ করেছেন। তাতে খরচ হয় ১৫-২০ হাজার টাকা। ফলন ভালো হওয়ায় বাদাম বিক্রি করে দ্বিগুণ লাভ হবে বলেও আশা করছেন জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

ফিলিপনগর এলকার বাদাম চাষি ইসমাইল হোসেন জানান, এ বছর ১০ বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। তবে এবার আম্পান ঝড়ের কবলে কয়েক বিঘা জমির বাদাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় একটু লাভ কম হবে।

দৌলতপুর কৃষি কর্মকর্তা এ কে এম কামরুজ্জামান জানান, এ বছর দৌলতপুর উপজেলার বিস্তীর্ণ চরের প্রায় ৮২০ হেক্টর জমিতে বাদাম চাষ হয়েছে। এক সময় পদ্মা নদীতে জেগে ওঠা বালুচর পড়ে থাকত। যা চাষিদের কোনো কাজেই আসত না। আমরা সরকারি প্রণোদনার পাশাপাশি রাজস্বখাতের অর্থায়নে প্রদর্শনী প্লট ও ফলোআপ কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে চরাঞ্চলের বাদাম চাষিদের সহযোগিতা করেছি।

চরাঞ্চলের যেসব জমি অনাবাদি পড়ে থাকে, সেসব জমি অর্থকরী সোনালী ফসল বাদাম চাষের আওতায় আনা গেলে চরবাসীর সারা বছরের আর্থিক চাহিদা পূরণ হবে, পাশাপাশি দেশের বাদামের চাহিদা মিটবে। সেইসাথে কমবে ক্ষতিকর তামাক চাষ। আর এমনটাই মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।