বেগমগঞ্জে ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নোয়াখালী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মোহাম্মদ উল্যাহ (৫৩) নামের এক ব্যবসায়ীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় নিহত মোহাম্মদ উল্যাহর ছেলে বাদী হয়ে বেগমগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

সোমবার (২২ জুন) বিকেলে পুলিশ উপজেলার দূর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের ফজলুল হক মাস্টারের বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত মোহাম্মদ উল্যাহ চৌমুহনী পোস্ট অফিস রোডের আলিফ প্রেসের মালিক।

নিহতের পরিবার জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে মোহাম্মদ উল্যার সাথে একই বাড়ির আবদুল কাদেরের ছেলে আবু তাহেরের বিরোধ চলছিল। এনিয়ে আবু তাহের বেগমগঞ্জ থানায় মোহাম্মদ উল্যাহর বিরুদ্ধে মামলা করেন। সেই মামলায় রোববার রাতে বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেফতার করতে বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোহাম্মদ উল্যাহ গ্রেফতার এড়াতে বাসার ছাদ থেকে পুকুর পাড়ের আম গাছে উঠে পড়েন। পুলিশ ঘর তল্লাশি করে তাকে না পেয়ে বাড়ির সামনে চলে আসে।

এসময় মোহাম্মদ উল্যাহ পুকুরের পানিতে পড়ে যান। পরে মামলার বাদীর ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর করলে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে পুলিশ মোহাম্মদ উল্যাহকে গ্রেফতার না করে তার স্ত্রীর জিম্মায় দিয়ে চলে যায়। স্ত্রী-সন্তানরা তাকে গুরুতর অবস্থায় মাইজদী ও চৌমুহনীর একাধিক হাসপাতালে নিয়ে গেলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনো হাসপাতাল তাকে ভর্তি নেয়নি, চিকিৎসাও দেয়নি। একপর্যায়ে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মোহাম্মদ উল্যাহর মৃত্যু হয়।

প্রথমে থানা পুলিশ তার মৃত্যুর খবর শুনে তাকে ময়নাতদন্ত ছাড়া দাফন করতে বললেও স্বজনরা রাজি হননি। পরে বিষয়টি জানানো হলে পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) শাহজাহান শেখ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে।

 

   

নেত্রকোণায় পানিতে ডুবে শিশুর মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নেত্রকোণা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় পানিতে ডুবে লাবিবা (৩) নামের এক শিশু মারা গেছে। লাবিবা উপজেলার মাসকা ইউনিয়নের রায়পুর গ্রামের আলামিন চৌধুরীর মেয়ে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ১১ টার দিকে রায়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকালে লাবিবা বাড়ীর সামনে অন্য শিশুদের সাথে খেলা করছিল। সবার অজান্তে কোন এক সময় পুকুরের পানিতে ডুবে যায়। লাবিবাকে দেখতে না পেয়ে পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে বাড়ীর পাশের পুকুরে লাবিবাকে ভাসতে দেখে। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

কেন্দুয়া থানার ওসি এনামুল হক জানান, পানিতে ডুবে শিশু মারা যাওয়ার বিষয়টি জানা নেই। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বা শিশুর পরিবার থেকেও কেউ অবহিত করেনি।

;

দেশের দুই জেলায় ভূমিকম্প



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪।

রোববার (২৮ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

জানা গেছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল পশ্চিমবঙ্গের উত্তমপুরে।

;

ময়মনসিংহে জাল ডলার প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ময়মনসিংহ
জাল ডলার প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক

জাল ডলার প্রতারক চক্রের দুই সদস্য আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অভিযানে জাল ডলার প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে আটক করা হয়েছে।

রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহ (ডিবি) কার্যালয় থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

আটককৃতরা হলো-কেশবপুরের মৃত মীর হোসেনের ছেলে মো. ইদ্রিস আলী (৫০) ও ঈশ্বরগঞ্জের মৃত আঃ সোবহানের ছেলে মো. মোজাম্মেল হক (৪৫)।

এর আগে শনিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে ত্রিশালের বালিপাড়া এলাকা হতে তাদের আটক করে। তাদের কাছ থেকে ৮৫টি কথিত জাল ডলার উদ্ধার করে ডিবি পুলিশ।

জেলা গোয়েন্দা শাখা,ময়মনসিংহ (ডিবি) ইনচার্জ ওসি মো. ফারুক হোসেন বলেন, ময়মনসিংহের বিভিন্ন এলাকায় একটি জাল ডলার প্রতারক চক্র ডলারের লোভ দেখিয়ে সাধারণ লোকজনদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই শেখ গোলাম মোস্তফা রুবেলসহ একটি চৌকস টিম অভিযান পরিচালনা করে ত্রিশালের বালিপাড়া মোড় হতে ৮৫টি জাল ডলার কারবারি চক্রের সদস্য দুই সদস্যকে গ্রেফতার করে। প্রতিটি ডলারের গায়ে THE UNITED STATES OF AMERICA এবং নিচে ONE HUNDRED DOLLARS লেখা রয়েছে।

ইনচার্জ (ওসি) ফারুক হোসেন আরও জানান, আটককৃতরা দীর্ঘদিন যাবৎ জাল ডলার ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে। তার মধ্যে ইদ্রিস আলীর বিরুদ্ধে একটি মামলাও আছে। এ চক্রের সাথে আরও যারা জড়িত রয়েছে, তাদের আটকের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে ত্রিশাল থানায় মামলা দায়ের করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

;

জলঢাকায় সাবেক মেয়রের ছেলে মেয়র হলেন



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীর জলঢাকা পৌরসভার উপ-নির্বাচনে সাবেক মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর বড় ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।

তিনি পেয়েছেন, ১২ হাজার ৫শ ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ফাহমিদ ফয়সাল কমেট চৌধুরী পেয়েছেন ৮ হাজার ৭শ ৬৭ ভোট।

রোববার (২৮ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ১৮টি ভোটকেন্দ্রে ১শ ১৭টি বুথে ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিন প্রার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক প্রচেষ্টা ও সহযোগিতায় কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বেসরকারি ফলাফলে মোট ৬৬ দশমিক ৪৬ শতাংশ ভোটার ভোট প্রদান করেন।

নির্বাচনে তিনজন মেয়র প্রার্থী উপনির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। তারা হলেন, প্রয়াত সাবেক পৌর মেয়র উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ইলিয়াস হোসেন বাবুলের ছেলে নাসিব সাদিক হোসেন নোভা (নারিকেল গাছ)। জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (রেল ইঞ্জিন) ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী জলঢাকা উপজেলা শাখার আমির ও বর্তমান জেলা কমিটির সুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য প্রভাষক সাদের হোসেন (মোবাইল ফোন)।

প্রসঙ্গত, জলঢাকা পৌরসভার মোট ভোটার সংখা ৩৭ হাজার একশ ৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৮ হাজার ৭শ ৭৪ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৪শ ১৭ জন।

গত ১৯ জানুয়ারি জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ইলিয়াস হোসেন বাবলুর মৃত্যুতে মেয়র পদটি শূন্য হয়।

 

;