কক্সবাজার: কক্সবাজার-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চকরিয়ার মালমঘাট অংশে পাজেরো জিপের ধাক্কায় সবুজ পাভেল (১৯) নামে এক মোটর সাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।
বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৯ আগস্ট) দুপুর পৌনে ১২ টার দিকে চকরিয়া উপজেলার মালুমঘাট আমতলী এলাকায় এঘটনা ঘটে। এ সময় রবিউল আসাদ নামে আরো এক মোটরসাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন।
নিহত সবুজ চকরিয়া পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের ডিঘর পানখালী গ্রামের জানে আলেমের ছেলে। আহত যুবকও একই গ্রামের শাহ আলমের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মালুমঘাট হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বার্তা ২৪.কমকে জানান, জেলা পরিষদ সদস্য লিটু নিজ গাড়িতে করে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। একই সময়ে বিপরীত দিকে মোটরসাইকেলে করে দুই যুবক চকরিয়ার পথে ছিল। এসময় বিপরীতমুখী দু'টি গাড়ির সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহীরা আহত হয়। পরে তাদের উদ্ধার মালুমঘাট মেমোরিয়াল খ্রিস্টান হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে একজনের মৃত্যু হয়েছে। অপরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করেছে সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক)। এসময় এডিস মশা ও লার্ভা পাওয়ায় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (২অক্টোবর) বেলা ১০টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত দক্ষিণ সুরমার বিভিন্ন এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান পরিচালনা করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারিয়া সুলতানা।
জানা যায়, সিলেট নগরীর ২৬ নং ওয়ার্ডের ভার্থখলাস্থ বিভিন্ন এলাকার স্যানিটারি ও টায়ার টিউবের দোকানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। এই পাঁচটি প্রতিষ্ঠানে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সিসিক। পরে লার্ভা গুলো ধ্বংস করা হয়।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, সারাদেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ হচ্ছে। তবে সিলেট সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় এখনো ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব কম আছে। সিটি করপোরেশন এলাকায় এখন পর্যন্ত দুই জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন। আমরা ডেঙ্গু প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল ধ্বংসে অভিযান পরিচালনা করছি। সতর্ক ও জরিমানা করা হচ্ছে। যেখানে যেখানে লার্ভা পাওয়া যাচ্ছে তা ধ্বংস করা হচ্ছে। সিসিকের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে নগরবাসীদের সতর্ক করা হচ্ছে। লার্ভা পাওয়া গেলে তা ধ্বংস করা হচ্ছে। প্রথমবার কারো বাসায় এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেলে জরিমানা করা হচ্ছে না। তবে দ্বিতীয়বার পাওয়া গেলে জরিমানা করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মুখ্য সচিব হিসেবে মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
বুধবার (২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহাকারী সচিব মো. উজ্জল হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর ৪৯ ধারা অনুযায়ী মো. সিরাজ উদ্দিন মিয়াকে (পরিচিতি নম্বর ১৩৮০) অন্য যেকোনো পেশা, ব্যবসা কিংবা সরকারি, আধা-সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান/সংগঠন-এর সঙ্গে কর্ম-সম্পর্ক পরিত্যাগের শর্তে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব পদে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেয়া হলো।
যোগদানের তারিখ হতে পরবর্তী ২ বছর তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া নিয়োগের অন্যান্য শর্ত অনুমোদিত চুক্তিপত্র দ্বারা নির্ধারিত হবে বলেও জানানো হয়।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাৎসবের শুভ সূচনা হলো মহালয়ার মাধ্যমে। অমাবস্যার আধার কাটিয়ে পিতৃপূজা সেরে শুরু হয়ে দেবীপক্ষের। এই পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবী পূজার পক্ষের আরম্ভ লগ্ন মহালয়া।
মহালয়ার প্রাক সন্ধ্যায় 'কাত্যায়নী মুনির কন্যা' রূপে মহিষাসুর বধের জন্য দেবী দুর্গার আবির্ভাব ঘটে। শরৎকালের আশ্বিন মাসে শুক্লপক্ষের ষষ্ঠী তিথির প্রাক্কালে অকালবোধনে হয়। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস অনুযায়ী সপ্তমী তিথিতে দেবী দুর্গা মর্তে্য অর্থাৎ বাপের বাড়িতে আসেন আবার দশমী তিথিতে ফিরে যান। তবে মায়ের এই আগমন এবং গমন সারাবছর মর্ত্যবাসীর উপর প্রভাব ফেলে। দেবী কোন বাহনে করে মর্তে্য আগমন করছেন এবং মর্ত্য থেকে গমন করছেন তার ভিত্তিতে সারাবছর কেমন যাবে- তার ধারণা পাওয়া যায়।
এইবছর দেবীর আগমনী বাহন হলো দোলা, যার ফল মরক। অন্যদিকে দেবীর গমন ঘোটকে, অর্থাৎ এর ফলাফল হলো ছত্রভঙ্গ। এবছর দেবীর আগমন এবং গমন দুটো বাহনই নেতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সাধারণত ৪ ধরনের বাহনে করে দেবীর আগমন এবং গমন ঘটে। বাহনগুলো হলো: দোলা, ঘোটক, নৌকা এবং গজ।
দোলা– দোলা অর্থ হলো পালকি। পালকিতে আগমন বা গমনের ফল- ‘দোলায়াং মকরং ভবেৎ’,
অর্থাৎ মহামারি বা মড়কতুল্য বিষয়ে ভোগার আশঙ্কা থাকে।
ঘোটক- ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়া। এতে আগমন বা গমনের ফল- ‘ছত্রভংস্তুরঙ্গমে অর্থাৎ ছত্রভঙ্গ’,
ধ্বংস বা ছন্নছাড়া বা ধ্বংসাত্মক কোনও ঘটনা ঘটার আশঙ্কা সৃষ্টি হওয়া বোঝায়।
নৌকা– নৌকার অর্থ হল বন্যা। আবার, নৌকায় আগমন বা গমনের ফল হিসাবে শস্যপূর্ণ বসুন্ধরাও বোঝানো হয়। কারণ, বন্যা বা ধরা জলমগ্ন হলে জলের অভাব না থাকার ফলে প্লাবনের পরবর্তী কালে পলিপূর্ণ ভূমিতে ফলনের বৃদ্ধি হয়।
গজ- গজ অর্থাৎ হস্তী বা হাতি। গজে গমন বা আগমনের ফল- ‘গজে চ জলদা দেবী শস্যপূর্ণা বসুন্ধরা’। এর দ্বারা সমৃদ্ধি নির্দেশ করা হয়।
সপ্তমী এবং দশমী কোন বারে পড়েছে তার ভিত্তিতে দেবীর আগমন-গমনের বাহন নির্ধারিত হয়।
শনিবার: শনিবারে সপ্তমী তিথি হলে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
রবিবার: এইদিনে সপ্তমী তিথি পড়লে তা গজে আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
সোমবার: সোমবার সপ্তমী তিথি হলে গজ বা হস্তি অর্থাৎ হাতিতে আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
মঙ্গলবার: মঙ্গলবার সপ্তমী তিথি হলে ঘোটকে অর্থাৎ ঘোড়ায় আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
বুধবার: এই বারে সপ্তমী তিথি পড়লে তা নৌকায় আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
বৃহস্পতিবার: বৃহস্পতিবারে সপ্তমী তিথি হলে দোলা অর্থাৎ পালকিতে আগমন এবং দশমী তিথি হলে গমন নির্দেশ করে।
শুক্রবার: এইদিনে সপ্তমী তিথি পড়লে তা দোলায় আগমন এবং দশমী হলে গমন বোঝায়।
শাস্ত্রমতে একই বাহনে আগমন এবং গমন হলে সারাবছর অত্যন্ত অশুভ বিবেচনা করা হয়। গতবছর ২০২৩ সালের শারদীয় দুর্গাপূজায় দেবীর আগমন এবং গমন দু’টোই ঘোটক অর্থাৎ ঘোড়ায় হয়েছিল।