বেফাকের অনিয়মে অভিযুক্তদের শাস্তি চান তরুণ আলেমরা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অফিস, ছবি: সংগৃহীত

বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের অফিস, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বেফাকের ভয়াবহ দুর্নীতি ফাঁস হওয়ার পর তরুণ আলেমরা যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছেন। অন্যদিকে সিনিয়র ও মধ্যম সারির আলেমরা দফায় দফায় বৈঠক করে এর সামাধান খুঁজছেন। কিন্তু পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এমতাবস্থায় চলমান ইস্যুতে চিন্তাশীল তরুণরা তাদের প্রস্তাবনা তুলে ধরছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ নানা স্থানে।

তরুণ আলেম মুফতি ইউসুফ সুলতান বলেন, সম্প্রতি একাধিক ফোনালাপ ও ডকুমেন্ট ফাঁস হয়েছে। যা বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ে সাম্প্রতিক সময়ে দুর্নীতির প্রমাণ বহন করে। এই বোর্ডের একজন শিক্ষার্থী ও শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে অন্য সবার মতো আমিও এতে বেশ মর্মাহত। এমতাবস্থায় এ ব্যাপারে আমার অভিমত হলো-

১. সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত করা, ২. ফাইন্যান্সিয়াল অডিট, ৩. অডিট ও তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ এবং ৪. প্রমাণিত দুর্নীতিপরায়ণদের দায়িত্ব থেকে বরখাস্তসহ যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

তিনি আরও বলেন, নেতৃত্ব ও দায়িত্বের অপরিহার্য গুণ দুটি। ১. কুওয়াহ, অর্থাৎ শারীরিক, মানসিক ও জ্ঞানগতভাবে কার্যসম্পাদনে সক্ষম হওয়া। ২. আমানা অর্থাৎ প্রতিষ্ঠানের ব্যক্তি, সম্পদ ও যাবতীয় দায়িত্বের প্রতি বিশ্বস্ততার স্বাক্ষর রাখা।

তরুণ এই আলেম বলেন, আর্থিক লেনদেন হবে অপরিচিতের ন্যায়। এখানে বাহ্যিক বেশভূষা, ব্যক্তিগত কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্ক অথবা কোনো রকম আবেগের স্থান নেই। সিদ্ধান্ত নিতে হবে কাজের ভিত্তিতে, পরিচয়ের ভিত্তিতে নয়। দুর্নীতি দেখে চুপ থাকা বা মৌন সমর্থন দেওয়া দুর্নীতি করার পর্যায়েই। মনে রাখতে হবে, আমরা কেউই জবাবদিহিতার ঊর্ধ্বে নই।

আরও পড়ুন:

কওমি অঙ্গনে ক্ষোভ দানা বাঁধছে ধীরে ধীরে

অনিয়মই নিয়ম বেফাকে, মানা হয় না গঠনতন্ত্র!

বেফাকের নিজস্ব তদন্তেও উঠে আসে অনিয়মের কথা

একাধিক তরুণ আলেম বার্তা২৪.কম-এর সঙ্গে কথা বলেছেন বেফাক নিয়ে। তাদের দাবি, বেফাককে ঢেলে সাজানো হোক। শিক্ষাবোর্ডের দায়িত্বশীলগণ হবেন কর্মকর্তা। তারা হবেন- সৎ, যোগ্য ও পরিশ্রমী। তারা ন্যায়-নীতির আলোকে কাজ করবেন। এখানে রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তারের অপচেষ্টা কেন?

উত্তরা জামিয়া ফারুকিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শোয়াইব বলেন, ‘অভিযোগ যখন উঠেছে, প্রমাণও উপস্থিত। সুতরাং অভিযুক্তদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে গড়িমসি ভালো লক্ষণ নয়, এটা আরও নতুন অন্যায়ের জন্ম দেবে।

মাদানীনগর মাদরাসার উস্তাদ মাওলানা ফয়সাল আহমাদ বলেছেন, বর্তমানে মজলিসে আমেলা, শুরা এবং খাস কমিটির বৈঠকে উপস্থিত সদস্যদের নিয়মিত রাহ খরচ দেওয়া হয়। বেফাকের দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে প্রথমে বিভিন্ন বৈঠকের নামে রাহ খরচ দেওয়া বন্ধ করতে হবে। সেই সঙ্গে যারা নিজের অর্থে বিভিন্ন মজলিসে হাজির হয়ে বেফাকের কাজ করতে প্রস্তুত, কেবল তাদের দ্বারা কমিটি গঠন করতে হবে।

বেফাক গঠনকালীন সময়ে যাদের দ্বারা বিরোধিতা প্রমাণিত, তাদেরকে কোনো প্রশাসনিক পদ দেওয়া যাবে না। বেফাকের গঠনতন্ত্রে সভাপতি নিজ ক্ষমতাবলে কয়েকজনকে কো-অপ্ট করার পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। বেফাকের বিভিন্ন পদে থেকে যারা অনিয়ম করেছেন- তাদেরকে কমিটি থেকে বাদ দিতে হবে।

মতিঝিল জামিয়া তাকওয়ার শিক্ষক মাওলানা আবদুল বাতেন বলেন, বেফাক একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটা নিয়ে আমার গর্ব করি। কিন্তু কিছু অর্থলোভী ও পদলোভীদের কারণে এটা আঞ্চলিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। একজন কয়েক পদ দখল করে আছেন। সাব-কমিটিতে ঘুরে ফিরে তারাই। বেফাকের তহবিল থেকে এমনসব খাতে খরচ করা হচ্ছে, যা বলতেও লজ্জা লাগে।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বেফাকের কমিটি এখন আর কাউন্সিলের মাধ্যমে হয় না। রাতের আঁধারে খসড়া করে, সকালে শুধু শুনিয়ে দেওয়া হয়। কমিটিতে প্রভাবশালীদের পরিবার-পরিজনের সংখ্যাই বেশি।

সাম্প্রতিক সময়ে ফাঁস হওয়া অডিও ক্লিপের সূত্র ধরে তিনি বলেন, পরীক্ষা শুরুর আগেই যদি ছক তৈরি হয়, এ বছর মেধাতালিকায় কারা কারা থাকবে, তাহলে কী দরকার পরীক্ষা নেওয়ার? এটা তো ধোঁকা, প্রতারণা। এসব চলতে পারে না।

মিরপুরের মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, একাধিক ফোন রেকর্ড ফাঁস হওয়ার পর অভিযুক্তদের আর এ কথা বলার সুযোগ নেই যে, তিনি নির্দোষ। বরং নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করা না পর্যন্ত স্বেচ্ছায় দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়া উচিত অভিযুক্তদের। অতঃপর নিরপেক্ষ তদন্তে নির্দোষ প্রমাণ হলে, পুণরায় দায়িত্ব নেবেন। তাতে তাদের সম্মান আরও বাড়বে।

বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে
বেফাকের চলমান অস্থিরতা নিরসনে বয়োজ্যেষ্ঠ আলেমদের এগিয়ে আসতে হবে। বেফাকের মূল গঠনতন্ত্র যা মাওলানা আব্দুল জব্বার রহ. ও মাওলানা আবুল ফাতাহ্ ইয়াহয়া রহ.-এর সময় থেকে ছাপানো আছে সেটা অক্ষরে অক্ষরে অনুসরণ করে বেফাক পরিচালনা করতে হবে। স্বেচ্ছাচারিতা ও স্বৈরাচারী কায়দায় এবং নৈতিক স্খলনের শিকার কাউকে নেতৃত্বে দেখতে চায় না- তরুণ আলেমরা। তরুণ আলেমদের প্রত্যাশা, বেফাকে প্রয়োজনীয় সংস্কার হোক। কওমি শিক্ষাধারা আরও উন্নত, শক্তিশালী, ও আধুনিক হোক। প্রবীণদের পাশাপাশি মধ্যবয়স্ক যোগ্য আলেমদের নেতৃত্বে আনা হোক।

মোহাম্মদপুরের মাওলানা সালেহ আহমদ বলেন, এ দেশের কওমি মাদরাসাগুলো শতবর্ষের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সততা, নীতি-নৈতিকতা ও আস্থার বিশ্বস্ত ঠিকানা। সে জায়গাগুলো কতিপয় দুর্নীতিবাজ, অযোগ্য, অক্ষম, অসৎ, অসাধু, খেয়ানতকারীদের কারণে অনাস্থার দূর্গে পরিণত হতে চলেছে। এটা মানা যায় না। কল্যাণকামী গঠনমূলক সমালোচনাকারীদের মুখ সাময়িকভাবে বন্ধ করা গেলেও নিজেদের অপরাধ কখনও ঢেকে রাখা যায় না। বরং স্বার্থান্বেষীদের প্রলয় আরও তরান্বিত হয়। আমরা এ অবস্থার অবসান চাই।

শেষ পর্ব: বেফাকে অস্থিরতা, সমাধান কোন পথে?

   

উপজেলা নির্বাচন

ফেনীর দুই উপজেলায় ১৯ প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ফেনী
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রথম ধাপে ফেনীর দুই উপজেলা পরশুরাম ও ফুলগাজীতে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। দুই উপজেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন ২১ জন যার মধ্যে ১৯ জন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বার্তা২৪.কমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাউল করিম।

নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৩ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তাদের সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। একইভাবে ফুলগাজী উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে ৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৪ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা ফিরোজ মজুমদার, বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার এবং বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাশেম চৌধুরী।

ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম, ইকরামুল করিম মজুমদার, উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আবদর রসুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য নজরুল ইসলাম রিটু এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বর্তমান উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সামছুন নাহার পাপিয়া এবং নিলুফা ইয়াসমিন মজুমদারের মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে।

ফুলগাজীতে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বৈধতা পেয়েছে বর্তমান উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল আলিম মজুমদার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হারুন মজুমদার ও জাফর উল্ল্যাহ মজুমদার। ভাইস চেয়ারম্যান পদে মাহাবুবুল হক কালা, অনিল বনিক, আবদুর রহিম পাটোয়ারী ও সাইফুদ্দিন মজুমদার।

মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে মঞ্জুরা আজিজ এবং মাহাফুজা আক্তারের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে পরিমল চন্দ্র রায় এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে সাজেদা আক্তারের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে ১৮ থেকে ২০ এপ্রিলের মধ্যে, আপিল নিষ্পত্তি ২১ এপ্রিল, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২২ এপ্রিল, প্রতীক বরাদ্দ ২৩ এপ্রিল ও ভোট গ্রহণ হবে ৮ মে।

;

পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডন্ট, বার্তা২৪. কম, নরসিংদী
পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

পিএসসির সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন প্রদীপ কুমার পাণ্ডে

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) নতুন সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পাণ্ডে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান তাকে শপথ বাক্য পাঠ করান।

শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. গোলাম রব্বানী। শপথ অনুষ্ঠানে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, পিএসসির চেয়ারম্যান মো. সোহরাব হোসাইন, পিএসসির সদস্য, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মুন্সি মশিয়ার রহমান, আপিল বিভাগের রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান, সুপ্রিম কোর্টের স্পেশাল অফিসার মো. মোয়াজ্জেম হোসাইনসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) সদস্য হিসেবে নিয়োগ পান তিনি।

 

;

কাঠফাটা গরমের মধ্যে আবহাওয়া অফিস দিল স্বস্তির খবর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে বইছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে বৃষ্টি নিয়ে সুখবর দিল আবহাওয়া অফিস।

সংস্থাটি জানায়, আজ বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) দেশের দুই অঞ্চলের ওপর দিয়ে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বজ্রবৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০টায় নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়েছে- চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম/উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে এক নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এদিকে আজ সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম এবং সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

রাজশাহী, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং মৌলভীবাজার জেলা, রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও ঢাকা, রংপুর ও বরিশাল বিভাগের উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বৃদ্ধি পেতে পারে বলে জানায় সংস্থাটি।

;

জ্যান্ত কৈ গলায় আটকে কৃষকের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডন্ট, বার্তা২৪. কম, নরসিংদী
জ্যান্ত কৈ গলায় আটকে কৃষকের মৃত্যু

জ্যান্ত কৈ গলায় আটকে কৃষকের মৃত্যু

  • Font increase
  • Font Decrease

নরসিংদীতে নালায় মাছ ধরার সময় মুখে মাছ আটকে মিয়াচাঁন নামে এক কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল বুধবার (১৭ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে ঝড়বৃষ্টির পর সদর উপজেলার বালুসাইর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মিয়াচাঁন (৪৮) বালুসাইর গ্রামের তারব আলীর ছেলে। 

নিহতের স্বজনরা জানান, বৈশাখী ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির পাশের নালায় কৈ মাছসহ বিভিন্ন মাছ আসতে দেখে ধরতে যান মিয়াচাঁন। এসময় একটি কৈ মাছ ধরার পর সাথে মাছ রাখার মত পাত্র না থাকায় মুখে কামড়ে আটকে রাখেন এবং আরও মাছ ধরার চেষ্টা করেন। এসময় অসাবধানতাবশত কৈ মাছটি মুখের ভেতর ঢুকে পড়ায় গলায় আটকে যায়। বাড়ির লোকজন মাছটি বের করার প্রাণপন চেস্টা করে ব্যর্থ হয়ে স্থানীয় লোকজন তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। পরে স্বজনরা তাকে ঢাকায় নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।

মহিষাশুড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মুফতি কাওছার আহমেদ বলেন, গলায় কই মাছ আটকে একজনের মৃত্যু হয়েছে।

;