মানুষ ও বন্যপ্রাণীর দ্বন্দ্ব কমাতে চান সিলেটের ডিএফও রেজাউল
সিলেট ওয়াইল্ডলাইফ ডিভিশনের প্রধান হিসেবে সম্প্রতি যোগদান করেছেন মো. রেজাউল করিম চৌধুরী। দেশের সংরক্ষিত বন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে তার রয়েছে দীর্ঘকালের অভিজ্ঞতা।
মৌলভীবাজারে যোগদানের প্রাক্কালে তিনি ইউএনডিপি ও বন অধিদফতর কর্তৃক বাস্তবায়িত সুন্দরবনের ‘ডলফিন সংরক্ষণ প্রকল্প (EPASIIAEP)’ তে প্রকল্প ব্যবস্থাপক হিসেবে জাতিসংঘ (ইউএনডিপি, বাংলাদেশ) এর স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
বন অধিদফতরের একজন নিবেদিতপ্রাণ বন কর্মকর্তা হিসেবে সুদীর্ঘ ২৫ বছরের অধিক সময়ে পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, সুন্দরবন, রাঙ্গামাটি, কক্সবাজার ও ময়মনসিংহ বন বিভাগে সুনামের সাথে কাজ করেছেন। সর্বক্ষেত্রেই তার উদ্ভাবনী চিন্তা দিয়ে কাজ করে বন, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ ও ব্যবস্থাপনায় প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন।
এছাড়াও রেজাউল ২০১৬-১৭ সালে সুইস ডেভেলপমেন্ট করপোরেশনের (এসডিসি) অর্থায়নে আন্তর্জাতিক সংস্থা আইউসিএন কর্তৃক বাস্তবায়িত ‘কমিউনিটি বেজড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট অব টাঙ্গুয়ার হাওর প্রকল্প’ এবং বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়িত ’হিউম্যান-এলিফেন্ট কনফ্লিক্ট মিটিগেশন প্রকল্প’ এরও প্রকল্প ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করে সফলভাবে প্রকল্পের কাজ সমাপ্ত করেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে থেকে ফরেস্ট্রি বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স ও এম.ফিল ডিগ্রি অর্জনসহ ওয়াইল্ডলাইফ ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া (ডব্লিউআইআই) দেরাদুন, ভারত থেকে বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনায় পোস্ট গ্রাজুয়েট ডিপ্লোমা ও আমেরিকার স্মিথসোনিয়ান ইনস্টিটিউশন থেকে ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশনে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন।
বন্যপ্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ, সিলেট এর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) হিসেবে মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বৃহস্পতিবার (২৩ জুলাই) দায়িত্বগ্রহণ করেন।
তিনি বার্তা২৪.কম-কে বলেন, মানুষ এবং বন্যপ্রাণীর মধ্যকার দ্বন্দ্ব কমিয়ে বন্যপ্রাণীর প্রতি জনগণের সহানুভূতি বাড়ানোর চেষ্টা করবো। লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান এবং সাতছড়ি জাতীয় উদ্যানের বন্যপ্রাণীর সংখ্যা নিরূপণ করে একটি হালনাগাদ বেজলাইন ডাটা তৈরি করা এবং এ রক্ষিত এলাকাসমূহে পর্যটকদের ভ্রমণ সুবিধাদি আন্তর্জাতিক মানে উন্নীতকরণে সচেষ্ট হবো।
এছাড়াও লাউয়াছড়া এবং সাতছড়ি ন্যাশনাল পার্কের বিদ্যমান ব্যবস্থাপনার বর্তমান মানের স্কোরকে আগামী দু-বছরের মধ্যে অন্তত শতকরা ২০ শতাংশ হারে উন্নীত করা (যেটি সমগ্র বিশ্বের রক্ষিত এলাকাসমূহে Management Effectiveness Tracking Tool এর সূচক এর মানের পরিবর্তন যাচাই করে করা হয়) বলে জানান সিলেটের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রেজাউল।