ঈদের ১৩ দিনে সড়কে নিহত ২৫৯: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সংবাদ সম্মেলনে  বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

 

ঢাকা: এবারের কোরবানির ঈদযাত্রায় সড়কে ২৫৯ জন নিহত এবং ৯৬০ জন আহত হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  ঈদ যাত্রার শুরুর দিন ১৬ অগাস্ট থেকে ঈদের পর ২৮ আগস্ট পর্যন্ত ২৩৭টি দুর্ঘটনায় এসব হতাহতের তথ্য তুলে ধরে সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে সংবাদ সম্মেলনে সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী দুর্ঘটনায়  এসব তথ্য উপস্থাপন করেন।

তবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের যাত্রী কল্যাণ সমিতির এ পরিসংখ্যানের সঙ্গে একমত নন। তার মতে ঈদ যাত্রার দিন সংখ্যার হিসেব আরও কম।

সড়ক মন্ত্রী বলেছেন, দুর্ঘটনার সংখ্যা কোরবানি  ঈদ কম তবে মৃত্যুর সংখ্যা বেশি ঘটেছে।

যাত্রী অধিকার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে মোজাম্মেল হক চৌধুরীর সংগঠন যাত্রী কল্যাণ সমিতি।  ঈদের আগে পরে সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান ছাড়াও যাত্রী অধিকার সংশ্লিষ্ট বিষয়টি নিয়ে তৎপর দেখা যায় সংগঠনটি। তবে সংগঠনটির বেশ কিছু ভূমিকা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। খোদ সেতুমন্ত্রী এ সংগঠনকে ভূইভোঁড় মনে করেন।

সংগঠনটি যখন এসব তথ্য উপস্থাপন করে তখন তাদের সঙ্গে ছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান, বিআরটিএর সাবেক চেয়ারম্যান আয়ুবুর রহমান খান ও আইনজীবী জোতির্ময় বড়ুয়াও উপস্থিত ছিলেন।

হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, “এখানে এমন কিছু দুর্ঘটনা ঘটেছে যেগুলোর অর্ধেক চাইলে এড়ানো যেত।”

সরকারের দুজন মন্ত্রীর পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সমিতির শীর্ষ পদে থাকার বিষয়ে ইংগিত করে সাবেক এই উপদেষ্টা বলেন, “বাংলাদেশে যারা নীতি নির্ধারণ করেন, তিনিই আবার মালিক শ্রমিক প্রতিনিধি। জবাবদিহিতার ব্যাপারে যে অনাগ্রহ এর মূলে রয়েছে এই কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট।”

গত রোজার ঈদের পর বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি ২৭৭টি সড়ক দুর্ঘটনায় ৩৩৯ জন নিহত এবং ১২৬৫ জন আহতের তথ্য দিয়েছিল।

কিন্তু ওই প্রতিবেদন তখন প্রত্যাখ্যান করে পাল্টা তথ্য প্রকাশ করে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়।

গত ১০ জুলাই জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তর পর্বে মন্ত্রী বলেন, “একটা ভুয়া জনকল্যাণ সমিতি বাংলাদেশে আছে, যাদের কোনো রেজিস্ট্রেশন নেই। সাম্প্রদায়িক রাজনীতি করে এরকম একটি লোক ওই সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়। সময়ে সময়ে তাকে মতলবি মহল আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়। আমি দেখি সমাজের অনেক বিশিষ্টজনও এই লোকটির সংবাদ সম্মেলনে এসে হাজির হয়।