বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে: নৌমন্ত্রী



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।  ছবি: সংগৃহীত

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান। ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন,‘খালেদা জিয়া জেলে থাকুক আর বাইরে থাকুক বিএনপিকে নির্বাচনে আসতেই হবে। ড. কামাল ও বি চৌধুরীর নেতৃত্বে যে জাতীয় ঐক্য করেছে, সেই ঐক্য কোনো আদর্শের ঐক্য নয়। তারা এখনো জামায়াতকে ছাড়তে পারেনি।’

শুক্রবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে পাবনার নগরবাড়ী ঘাটে ৫১৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ৩৫ একর জায়গার উপর নির্মিত আধুনিক নৌবন্দর নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানের আগে সাংবাদিকদের কাছে এসব কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী শাহজাহান খান বলেন, ‘ড. কামালকে প্রধানমন্ত্রী করে বি চৌধুরী-বিএনপি জোট আগামীতে যে সরকার গঠনের স্বপ্ন দেখছে, সে স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যাবে। যাদের মধ্যে আদর্শিক কোনো মিল নেই, তাদের আবার কিসের জোট? ওই জোট কখনো আলোর মুখ দেখবে না।’

তিনি বলেন, ‘আসন্ন একাদশ সংসদ নির্বাচনে বিএনপি না আসলে তাদের দলীয় নিবন্ধন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে। আর দল রক্ষা করতে হলে অবশ্যই বিএনপিকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হবে। এক নির্বাচন না করে যে ভুল করেছে বিএনপি, দ্বিতীয়বার আর সে ভুল করবে না।’

মন্ত্রী বলেন, ‘পাবনার মানুষের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল একটি আধুনিক নৌবন্দর। যেখানে নৌ ইয়ার্ড, গোডাউন, জেটিসহ স্বয়ংসম্পূর্ণ নৌবন্দরে পরিণত করা হবে। দেশে মোট ৩১টি আধুনিক নদীবন্দরও করা হবে। তার মধ্যেই পাবনার নগরবাড়ী রয়েছে। এখানে মেরিন একাডেমীর কাজ চলছে। এই অঞ্চল আরও উন্নত করা হবে। ইতোমধ্যে রাখালগাছির সঙ্গে আরিচার সংযোগ সড়ক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর দিয়ে যাতে উত্তরবঙ্গের মানুষের যাতায়াতের জন্য একমাত্র পথ হিসেবে নির্ভর করতে না হয় সে জন্য বিকল্প হিসেবে নগরবাড়ীর রাখালগাছি নামক স্থানে আরিচা ফেরী চলাচলে খুব শিগগিরই উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। তাহলে উত্তরবঙ্গের মানুষের বঙ্গবন্ধু সেতুর উপর আর নির্ভর করতে হবে না।’

নৌমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবার যদি ক্ষমতায় আসেন, তাহলে অবশ্যই পদ্মা সেতুর পরবর্তী উদ্যোগ থাকবে উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্যে।’

বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পাবনা-২ আসনের সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, জেলা প্রশাসক জসিম উদ্দিনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাসহ দলীয় নেতারা।

   

ভারত শত্রু রাষ্ট্র হলে সালাহউদ্দিন নিরাপদে আছেন কিভাবে, ফখরুলকে কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনারের ভারতে খুন হওয়ার ঘটনায় 'বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই' বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এমনটি উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ফখরুল সাহেব বলেছেন— বন্ধু রাষ্ট্রে গিয়ে নিরাপত্তা নাই। আপনাদের যদি শত্রু রাষ্ট্র হয়, সেখানে সালাউদ্দিন এতো দিন নিরাপদে কেমন করে আছেন। তাকে তো কেউ হত্যা করেননি। তার জীবনে তো নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি, জীবনের কোনো হানি ঘটেনি। এই ধরনের অপবাদ কেন দিচ্ছে বন্ধু রাষ্ট্রকে?

বুধবার (২২ মে) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সংস্কৃতিক উপ কমিটির "সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায়" সভায় এসব কথা বলেন তিনি।

আনোয়ারুল আজিমের ঘটনা নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, কলকাতার নিউটাউনে আমাদের একজন এমপি হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত দুই তিন দিন ধরে তাকে নিয়ে একটা ধোয়াশা ছিল। তার পরিবারসহ কেউ জানে না। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে গেছেন। ভারত আমাদের বন্ধু রাষ্ট্র। আমাদের একজন এমপি যখন চিকিৎসার জন্য যান, তিনি কিন্তু ভারত সরকারকে জানিয়ে যান না। সেখানকার যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে গেলে নিরাপত্তা ব্যাপারটি তখনই দেখা হয়। এখানে বন্ধু রাষ্ট্রের...।

তিনি বলেন, তাকে (আনোয়ারুল আজিম) যারা হত্যা করেছে, যে ফ্ল্যাটটিতে সেটা বাংলাদেশের কেউ ভিন্ন নামে ক্রয় করেছে। ওখানে যারা হত্যা করেছে পাঁচ-ছয়জনের মতো, এর মধ্য পাঁচ জনই বাংলাদেশের। এই ব্যাপারটা নিয়ে... কথা কথা 'যার দেখতে নাড়ি, চলন বাঁকা', এই ধরনের উক্তি করা সমীচীন না।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;

জিয়া কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন: নানক



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, দিনাজপুর
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) যখন গঠিত হয় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল জিয়াউর রহমান তখন কাকুতি মিনতি করে বাকশালের সদস্য হয়েছিলেন। অথচ আজ তারা বড় বড় কথা বলছে।

বুধবার (২২ মে) দিনাজপুর সার্কিট হাউজে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠককালে তিনি এসব কথা বলেন।

নানক বলেন, জিয়াউর রহমানের এই দলের জন্মই হয়েছিলো আমাদের স্বাধীনতাকে হত্যা করার জন্য। সেজন্যই তিনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী ও যুদ্ধাপরাধী গোলাম আযম, নিজামীদের আশ্রয় দিয়েছিলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনি ডালিম রশিদদের পুরস্কৃত করেছিলেন।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগ দলটিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে। কিন্তু আমাদের জননেত্রী শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর আমরা একটি প্রত্যয় দেখতে পেলাম। আমরা তাঁর পেছনে গিয়ে দাঁড়ালাম। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা ঘুরে দাঁড়ালাম।

মন্ত্রী বলেন, ১৯৭৫ পরবর্তী সময়ে জেনারেল জিয়া বিরাজনীতিকরণের ধারার সূচনা করেছিলেন। স্বাধীনতা বিরোধীদের পুনর্বাসন করেছিলেন। সেই দিনে আর ফিরে যেতে দেয়া যাবে না। এদেশে সরকারে থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি, বিরোধী দলেও থাকবে স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি। বঙ্গবন্ধুর অনুসারীরাই দেশের ভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করবে। পাট উৎপাদন ও পাটের বস্তাসহ অন্যান্য পাটপণ্য ব্যবহার বৃদ্ধি করা হবে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

তিনি আরও বলেন, এখানে একটি টেক্সটাইল মিলের ৩৬.৭৪ একর জমি পড়ে আছে। এটাকে ফেলে রাখা হবে না। এটা নিয়ে শীঘ্রই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সংসদের হুইপ এবং দিনাজপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য জাকারিয়া জাকা, সাবেক সংসদ সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলতাবুজ্জামান মিতা। বৈঠকে দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগ ও অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মাথা ব্যথা নেই: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা গাজার নিষ্ঠুর ও বর্বরতম হত্যাকে গণহত্যা বলতে চায় না তারা কোথায় কাকে নিষেধাজ্ঞা দিলো সেটা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যথা নেই।

বুধবার (২২ মে) বিকালে ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক বিষয়ক উপ-কমিটির এক আলোচনা সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, দেখলাম, ডোনাল্ড লু আসলেন সম্পর্ক এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প ব্যক্ত করলেন এখানে মিটিং করে। সেখানে আবার, তিনি যেতে না যেতেই নিষেধাজ্ঞা এসে গেলো। আগে সাতজন এখন আবার একজন যুক্ত হলো।

তিনি বলেন, সংরক্ষিত আসনে অনেকে প্রার্থী ছিলেন, তাদের না পাওয়ার বেদনা থাকতে পারে। আমাদের দুর্দশী লিডারশীপ ছিল বলে আমরা সফল হয়েছি। রিজার্ভ সিটের বিপরীতে প্রার্থী ছিল ১৩শ' প্লাস। পরিস্থিতি এমন যে কাকে রেখে কাকে দেবো। অনেকে প্রার্থী ছিলেন, অনেকের স্বপ্ন ছিল, আকাঙ্ক্ষা ছিল, এ কারণে দু:খ পেয়েছেন।

কাদের বলেন, আগে নারীরা, তরুণরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল, শেখ হাসিনার ম্যাজিকেল লিডারশীপে এখন তরুণ ও নারীরা এক বাক্যে আওয়ামী লীগকে ভোট দিবেন, এটা আমরা লক্ষ্য করেছি।

সংস্কৃতি বিষয়ক উপ-কমিটি চেয়ারম্যান মঞ্চ সারথি আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী নাহিদ ইজাহার খান, সাবেক সাংস্কৃতিক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ, ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আনিসুল ইসলাম প্রমুখ।

;

'সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জাতির জন্য লজ্জাকর বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার (২২ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক যৌথসভা শেষে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর নিষেধাজ্ঞার জন্য সরকার দায়ী। সেনাবাহিনীকে অন্যায়ভাবে ব্যবহারের ফলে এই নিষেধাজ্ঞা। সরকারের কারণে সেনাবাহিনীকে হেয় প্রতিপন্ন করা করা হলে দেশের মানুষ কখনো মেনে নেবে না।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, শুধু দেশের সাধারণ নাগরিক নয়, আওয়ামী লীগের ‘কথিত’ সংসদ সদস্যরাও সরকারের বন্ধুরাষ্ট্রের (ভারত) কাছে নিরাপদ নয়। ভারতে এমপি হত্যার পেছনে দুর্নীতি বা অন্য কোনো ঘটনা থাকতে পারে।

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ নেই। প্রকৃতপক্ষে পুরো নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়েই আগ্রহ নেই।

;