আওয়ামী লীগের যৌথসভা আজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগের সম্পাদকমণ্ডলীর সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা ও সহযোগী সংগঠনগুলোর সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের এক যৌথসভা আজ রোববার (২৮ মে) অনুষ্ঠিত হবে। এদিন বিকাল ৪টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সভা হবে।

আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

   

'ওবায়দুল কাদের পারলে খালেদা জিয়া কেন সিঙ্গাপুর যেতে পারবে না'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন বলেছেন, বেগম খালেদো জিয়া বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে। যিনি বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রাণের স্পন্দন। তিনি কখনো কারো সাথে আপোষ করেননি। সবাই তাকে দেশের গণতন্ত্রের মা হিসেবে চিহিৃত করেছে। ওয়ান ইলেভেনের সময় শেখ হাসিনা এরশাদের সঙ্গে লং ড্রাইভে গিয়েছিল। অথচ বলে বেড়ান তিনি নাকি আন্দোলন করেছেন। ওবায়দুল কাদের যদি প্রতি সপ্তাহে সিঙ্গাপুর যেতে পারে, বেগম খালেদা জিয়া কেন যেতে পারবে না। ম্যাডামের কিছু হলে সারা বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। সরকার বুঝতে পারছেন না? আপনারা বুঝবেন না। কারণ বিভিন্ন বাহিনী নিয়ে আছেন। আরে আন্দোলনের জোয়ারে এই বাহিনী এক মিনিটের মধ্যে কোথায় চলে যাবে টেরও পাবেন না। 

রোববার (২৪ সেপ্টম্বর) বিকেলে নগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে নুর আহম্মেদ সড়কে বিএন‌পি চেয়ারপার্সন বেগম খা‌লেদা জিয়ার মু‌ক্তির দা‌বি‌তে চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত বি‌ক্ষোভ সমা‌বেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহবায়ক ইয়াছিন চৌধুরী লিটনের পরিচালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় বিএনপির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর। 

মীর নাছির বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ আমাকে বলেছিল, আমি যখন ক্ষমতায় ছিলাম সব বাহিনীর প্রধানরা বলেছিল, আমার পাশে থাকবে। কিন্তু বিপদ যখন আসল, দেখি, আমি ছাড়া পাশে আর কেউ নেই। পুলিশ বাহিনীকে বলতে চাই, বেশি বাড়বাড়ি করবেন না। জোয়ার শুরু হলে কিছু করতে পারবেন না। আমাদের নেতাদের যেদিন নির্দেশ দিব সেদিন আপনাদের কোনো অস্ত্রই কাজে আসবে না। আমরা আন্দোলন করে এই পর্যায়ে এসেছি। আওয়ামী লীগ পালাবার পথ খুঁজে পাবে না। আওয়ামী লীগের সাথে কোন আপোষ নাই। বেগম খালেদা জিয়াকে যে অত্যাচার করেছে তাদেরকে ক্ষমা করা যায় না।

প্রধান বক্তার বক্তব্যে মাহবু্বর রহমান শামীম বলেন, বেগম খালেদা জিয়া আজকে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তাকে পর্যাপ্ত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে বেগম খালেদা জিয়ার যদি কিছু হয়, তাহলে এই সরকারের পরিণতি হবে ভয়াবহ। আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। এই আওয়ামী লীগকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। শেখ হাসিনা জনগণের শক্তিতে নয়, রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে বন্দুকের নলে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। তারা আবারো বিগত নির্বাচনের মত আরেকটি নির্বাচনের জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রেখে দেশে কোনো নির্বাচন হতে দেব না। সারা বিশ্ব আজকে বাংলাদেশের সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে। আগামী নির্বাচন হতে হবে নিরপক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে। আগামী ৫ অক্টোবর কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ রোডমার্চ কর্মসূচিতে সরকার যদি বাধা দেয় তাহলে যেখানে বাধা, সেখানেই প্রতিরোধ করা হবে। 

সভাপতির বক্তব্যে ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, খেলা ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে। আওয়ামীলীগকে বিদায় নিতেই হবে। বোরখা যদি কিনে না নেন ওই নারায়ণগঞ্জের নেতার কাছ থেকে তাড়াতাড়ি কিনে ফেলুন। দেশত্যাগের জন্য গোপনে প্রস্তুতি নিন। জনগণ কিন্তু আপনাদের ক্ষমা করবে না। জনগণ প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীন নেতৃত্বে স্বৈরাচারী এরশাদ বিদায় নিতে বাধ্য হয়েছিল। আজকে বেগম খালেদা জিয়া গুরুতর অসুস্থ। চিকিৎসা পাওয়া তাঁর মৌলিক অধিকার। কিন্তু জটিল চিকিৎসার পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতি বাংলাদেশে নেই। কো্নো সরকার যদি মানুষের মৌলিক অধিকার দিতে না পারে তাহলে তাঁর ক্ষমতায় থাকার কোনো প্রয়োজন থাকে না। কিন্তু এ সরকার বেহায়া নির্লজ্জ সরকার। এ সরকারের দিন শেষ হয়ে গেছে। চুরিচামারি করে আর ক্ষমতায় টিকে থাকার চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের মানুষ বারবার রক্ত দিয়ে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে সরকারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে একদফার আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন হবে। 

 

;

খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে দলটি। বেঁধে দেয়া এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়িত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিএনপির।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নয়াপল্টনে আয়োজিত সমাবেশ থেকে এই আল্টিমেটাম দেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। তিনি সুচিকিৎসা পাচ্ছেন না। চিকিৎসকরা বলছেন তাকে অতি দ্রুত চিকিৎসার জন্য বাইরে নিয়ে যেতে হবে। তাই আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর সুযোগ দেন। না হলে এ দেশের মানুষ আপনাদের (সরকার) নিষেধাজ্ঞা দেবে।

এ সময় আওয়ামী লীগ সরকার বিএনপি ভাঙার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন মির্জা ফখরুল।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, মার্কিন ভিসানীতি স্বাধীন দেশের জন্য অপমানজনক। এরজন্য আওয়ামী লীগ সরকার দায়ী। শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, দেশের মানুষও সরকারকে স্যাংশন দিয়েছে।

সমাবেশে যোগ দিতে দুপুরের পর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নয়াপল্টনে আসতে থাকেন নেতাকর্মীরা। এ সময় খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগের দাবিসহ বিভিন্ন স্লোগান দেন দলটির নেতাকর্মীরা।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব আমিনুল হকের সঞ্চালনায় সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

 

;

‘ভিসানীতি নিয়ে পুলকিত হওয়ার কারণ নেই'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সহযোগিতা এবং বহুমাত্রিক সম্পর্ক দিন দিন দৃঢ়তর হচ্ছে। সুতরাং কোনো একটা ভিসানীতি বা কিছু নিয়ে কারো পুলকিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এই নীতি তাদের বিরুদ্ধেই প্রযোজ্য হবে, যারা নির্বাচনে বাধা দেবে।'

তিনি বলেন, 'যুক্তরাষ্ট্রের সাথে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত ভালো। সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সাথে জননেত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎ সেটিই প্রমাণ করে।'

রোববার দুপুরে রাজধানীর তোপখানা রোডে জাতীয় প্রেসক্লাবে উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের অকুতোভয় বিপ্লবী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের ৯১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'আজকে বিএনপি নানা ধরণের কথা বলে। ভিসানীতি ঘোষণার পর এক কথা বলে, আবার পত্রিকায় গত পরশু দিন খবর আসার পর আরেক ধরণের কথা বলে। এগুলো বলে কোনো লাভ নেই।'

তিনি বলেন, 'মুক্তিযুদ্ধের সময় বহু পরাশক্তি আমাদের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিলো। কিন্তু সেইসব রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে আমাদের পূর্বসূরী মুক্তিযোদ্ধারা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলো। আজকেও অনেকেই চোখ রাঙ্গায়, অনেক দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র হয়। কিন্তু জননেত্রী শেখ হাসিনার ধমনীতে, শিরায় বঙ্গবন্ধুর রক্তস্রোত প্রবাহমান, যে রক্ত পরাভব মানে না, আপোষ জানে না। সমস্ত ষড়যন্ত্রের বেড়াজাল ছিন্ন করে দেশ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাবে।'

হাছান বলেন, '১৯৭১ সালে যারা দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল, তাদেরই নতুন সংস্করণ হচ্ছে বিএনপি। এবং তাদের সহযোগী হচ্ছে জামায়াতে ইসলামী, যারা দেশের স্বাধীনতার শুধু বিরোধিতাই করেনি, স্বাধীনতা সংগ্রামে এদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের পক্ষ হয়ে অস্ত্রধারণ করেছিল। তাই এই বিএনপি-জামাত চক্র আজকে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে, আগামী নির্বাচনকে ভন্ডুল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।'

'কিন্তু, সমস্ত ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আগামী নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে এবং সুষ্ঠু অবাধ নিরপেক্ষভাবে অনুষ্ঠিত হবে' প্রত্যয় ব্যক্ত করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, 'সেই নির্বাচনে যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসে আমরা স্বাগত জানাই। তবে কেউ না আসলেও কোনো অসুবিধা নাই। এই নির্বাচন আমাদের, এই দেশ আমাদের, এখানে নির্বাচন কিভাবে হবে সেটি আমরা ঠিক করবো। আমাদেরকে কারো গণতন্ত্র শেখাতে হবে না। গণতান্ত্রিক রীতিনীতির চর্চা আমরা জানি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা অবশ্যই অব্যাহত থাকবে।'

বিপ্লবী প্রীতিলতা, সুর্যসেন আজও দেশবিরোধীদেরকে প্রতিরোধের অনুপ্রেরণা : তথ্যমন্ত্রী

এর আগে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশবিরোধীদের প্রতিরোধে প্রীতিলতা, সুর্যসেনের মতো বিপ্লবীরা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা।

১৯১১ সালের ৫ মে চট্টগ্রামে জন্মগ্রহণকারী ও ১৯৩২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিকতা থেকে স্বদেশভূমির স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুকে আলিঙ্গনকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার প্রথম বাঙালি শহীদ নারী যিনি ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে আত্মাহুতি দিয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী প্রীতিলতা মেট্রিকুলেশন ও ইন্টারমেডিয়েট পরীক্ষায় মেয়েদের মধ্যে প্রথম স্থান অর্জন করেন। এরপর তিনি চট্টগ্রামে অপর্ণাচরণ উচ্চ বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করছিলেন, সেই স্কুল এখনও আছে।

তিনি বলেন, সূর্যসেনের বিপ্লবী দলের সদস্য অসীম সাহসী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার যখন পুরুষের বেশে ইউরোপীয়ন ক্লাব সফলভাবে আক্রমণ করে ফিরে আসছিলেন, তখন তিনি গুলিবিদ্ধ হন। নির্যাতনের মাধ্যমে তার কাছ থেকে ব্রিটিশ শত্রুপক্ষ বিদ্রোহের পরিকল্পনা যেন না জানতে পারে, সে জন্য তিনি পটাসিয়াম সায়ানাইড পান করে আত্মাহুতি দেন।

ইতিহাসের দিকে দৃকপাত করে হাছান মাহমুদ উল্লেখ করেন, প্রীতিলতার পরনের পোষাকে ৩২ পৃষ্ঠার একটি জবানবন্দি ছিলো। তিনি সেখানে লিখেছিলেন যে, '.....অত্যাচার ও স্বার্থসাধনে নিয়োজিত সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদ সাধন করিয়া আমি ভারতবর্ষে গণতান্ত্রিক শাসন প্রবর্তন করিতে ইচ্ছুক। আমি সেই ভারতীয় রিপাবলিকান আর্মির চট্টগ্রাম শাখার একজন সদস্য।....আমার দেশের ভগ্নীরা আজ নিজেকে দুর্বল মনে করেন না। সশস্ত্র ভারতীয় নারী হিসেবে সহস্র বিপদ ও বাধাকে তুচ্ছ করিয়া এই বিদ্রোহ আন্দোলনে যোগদান করিলাম। তাহার জন্য নিজেকে তৈয়ার করিলাম এবং এই আশা লইয়াই আমি আজ আত্মদানে নিজেকে উৎসর্গ করিলাম।'

সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, 'তারা যেভাবে দেশমাতৃকার জন্য জীবন দিয়েছে, উপমহাদেশের মুক্তিসংগ্রাম এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের এই আত্মদান বাঙালিদের প্রেরণা যুগিয়েছে, ভবিষ্যতেও যোগাবে। আজকে তাই সূর্যসেনের প্রতি, প্রীতিলতার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণতি জানাই।'

নিজের স্মৃতিচারণ করে চট্টগ্রামের সন্তান হাছান মাহমুদ বলেন, '১৯৭১ সালে আমি মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকা দেখেছি। মায়ের আচঁলের নিচে বসে শ্লোগান শুনেছি "বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা-মেঘনা-যমুনা"। সেই শ্লোগানেই আমার কচি রক্তে আগুন ধরেছে। ইচ্ছে হতো মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেই। নানার বাড়িতে গল্প শোনাতো যে প্যালেস্টাইনে কিভাবে শিশুরা বুকে মাইন পেতে ট্যাঙ্ক উড়িয়ে দিতো। সেই গল্প শুনে সে রকমই আত্মাহুতি দেওয়ার ইচ্ছা জাগতো। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে আমি যেতে পারি নাই। বয়স আমার প্রতিবন্ধক ছিলো।'

বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের কার্যকরী সভাপতি স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের সংগীতশিল্পী মোহাম্মদ রফিকুল আলমের সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, একুশে পদকপ্রাপ্ত স্বাধীনবাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল ও ডা: অরূপ রতন চৌধুরী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মানিক লাল ঘোষ, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানা প্রমুখ সভায় বক্তব্য রাখেন।

;

‘খালেদা জিয়াকে বিদেশে নিতে নতুন করে আবেদন চাওয়া অমানবিক’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর আবেদন আগেও করা আছে; আবার নতুন করে আবেদন চাওয়াটা অমানবিক বলে মনে করেছেন দলটির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল।

রোববার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকালে সুপ্রিমকোর্টে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি।

চিকিৎসক ও মেডিকেল বোর্ড বলেছেন— খালেদা জিয়া যে সমস্যায় ভুগছেন তার চিকিৎসা দেশে সম্ভব নয় উল্লেখ করে ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বলেন, অতএব খালেদা জিয়ার চিকিৎসা দেশের বাইরে করাতে হবে— এটি আবেদন করার ওপর নির্ভর করছে না। এটি এখন সময় ও জনগণের দাবি। তার জীবন রক্ষার জন্য সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করা।

তিনি আরও বলেন, ১৯৯০ সালের ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে একটি ডিক্লিয়ারেশন আছে। সেখানে বলা আছে— যদি কোনো ব্যক্তি সাজাপ্রাপ্ত কিন্তু তার উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যেতে হয়, তখন সে দেশের সরকারের দায়িত্ব বিদেশে প্রেরণ করা। সেই ডিক্লিয়ারেশনের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্স নাভালিনকে জার্মানি পাঠানো হয়েছিল উন্নত চিকিৎসার জন্য বলে জানান তিনি।

তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের পাশাপাশি বাংলাদেশ সংবিধানের ১৫ ও ৩২ অনুযায়ী— খালেদা জিয়া বিদেশে চিকিৎসায় যেতে পারবেন।

এর আগে শুক্রবার আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে এখন পর্যন্ত তার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। আবেদন করলে খালেদা জিয়ার বিষয়টি দেখা যাবে বলেও জানান তিনি।

৭৮ বছর বয়সী খালেদা জিয়া হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন। বহু বছর ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। কারাগার থেকে বেরোনোর পর চিকিৎসার জন্য কয়েক দফা হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন তিনি। গত বছরের জুনে খালেদা জিয়ার এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।

সর্বশেষ গত ৯ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কারণে আবারও রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন খালেদা জিয়া। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনি।

;