ভিসানীতি আমাদের জন্য লজ্জার, অসম্মানের: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম

  • Font increase
  • Font Decrease

মার্কিন ভিসা নীতির সমালোচনা করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বীর উত্তম বলেছেন, দুই দল এটাকে যেভাবেই নিক না কেন বাংলাদেশের জন্য এটা বড় লজ্জার। সার্বিকভাবে দেশের জন্য এটা অসম্মানের। সাধারণত যে দেশ ভিসা দেয় তার ইচ্ছামতই দিয়ে থাকে, এটাই বিধান। কিন্তু সেই বিধানটা বাংলাদেশের ওপর এরকম ঘোষণা করে যে এটা করলে ওটা হবে ওটা করলে ওটা হবে এটা আমাদের সম্মানহানি হয়েছে। আমরা যে রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছি, সেই রক্তের অবমূল্যায়ন হয়েছে। আমি আশা করব এটা দেশের মানুষও এটা বোঝার চেষ্টা করবেন।

শুক্রবার (২ জুন) সকালে গাজীপুর নগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিতনগরীর বঙ্গতাজ অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, আমেরিকার ভিসা-নীতির এই ঘোষণাকে কেউ একবার ভাবে না আওয়ামী লীগ বিএনপির ক্ষতি না, ক্ষতি হচ্ছে বাংলাদেশের, ক্ষতি হচ্ছে বাঙালির, ক্ষতি হচ্ছে জাতির, সম্মান নষ্ট হচ্ছে। আমাদের জাতীয়ভাবে চিন্তা করতে হবে।

সম্মেলনে জেলা সভাপতি আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমান ভূঁইয়ার সঞ্চালনায় কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান তালুকদার (বীর প্রতীক), সাংগঠনিক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম দেলোয়ার অর্থ সম্পাদক আব্দুল্লাহ (বীর প্রতীক) বক্তব্য দেন।

সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে আব্দুর রহমানকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট আতিকুর রহমানকে সাধারণ সম্পাদক করে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গাজীপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।

 

   

সাকিব নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে: মেজর হাফিজ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট মেজর হাফিজ বলেছেন, বিএনএমের (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন) সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। তাই, বিএনএম’কে জড়িয়ে সাকিব আল হাসানকে নিয়ে মতলবি নিউজ আমাকে বিব্রত করেছে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) দুপুরে রাজধানী ঢাকার বনানীর নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মেজর হাফিজ বলেন, ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে নানাভাবে মানুষজন বিএনএমে যুক্ত হওয়ার কথা আমার কাছে জানান। আমি সেটি প্রত্যাখ্যান করেছি এবং তা সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচনের দুই মাস আগেই জানিয়েছিলাম।

তিনি বলেন, আমি এক সময় ক্রীড়াবিদ ছিলাম। পাকিস্তান আমলে একমাত্র বাঙালি খেলোয়াড় ছিলাম। ১শ থেকে ২শ মিটার দৌড়ে দ্রুততম ব্যক্তি ছিলাম। সাবেক ক্রীড়াবিদ হিসেবে রাজনীতিতে যোগ দেওয়ার বিষয়ে সাকিব আমার কাছে এসেছিল পরামর্শ নিতে। আমি তাকে নিরুৎসাহিত করেছি।

বিএনএম সৃষ্টির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে মেজর হাফিজ বলেন, বিএনএম কয়েকজন সাবেক সেনা কর্মকর্তার সৃষ্টি। তারা আমার পূর্ব পরিচিত। আমার দলের (বিএনপি) বিভিন্ন বিষয়ে আমার দ্বিমত ছিল। এটাতে অনেকেই ভেবেছেন, আমি দল ত্যাগ করবো। সেজন্য তারা আমাকে ‘অফার’ (প্রস্তাব) করে বিএনএমে যোগ দিতে। আমি তা প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়ে দিয়েছি।

সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এখানে সরকার নিজের ফায়দা লুটতে আমাকে নিয়ে সাকিব আল হাসানকে জড়িয়ে নানা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে স্বার্থ হাসিলের জন্য অথবা যে সব পত্রিকা এসব লিখছে, তারা সরকারের মদতপুষ্ট হয়ে এসব করছে।

মেজর হাফিজ বলেন, দেশে অরাজকতা চলছে। দেশ দুর্নীতির স্বর্গ হয়েছে। ব্যাংকিংখাতে দুর্নীতি হয়েছে। এসব তো কোনো পত্রিকায় দেখি না। যারা আমেরিকা, কানাডায় বিলাসবহুল বাড়ি বানিয়েছেন, সেসব খবর তো পত্রিকায় আসে না। আমাকে হেয় করতে দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে হেয় করতে, এসব সংবাদ প্রচার করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আমি আগেও বলেছি, এখনো বলছি, ৩২ বছর বিএনপির রাজনীতি করেছি। ছয়বার এমপি হয়েছি। দুইবার মন্ত্রী ছিলাম। আর কী প্রয়োজন আমার! আমি মানুষের সেবা করেছি। পথে-ঘাটে মানুষের সঙ্গে থেকে রাজনীতি করেছি। আমার আর চাওয়ার কিছু নেই।

আক্ষেপ করে মেজর হাফিজ বলেন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। ৮০ বছর বয়সে এসে আমাকে মিথ্যা মামলায় জেলে দেওয়া হয়েছিল শুধুমাত্র নতুন দলে যোগ দেইনি বলে। এসব তো আগেই ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছি। এখন নতুন করে বলার কিছু নেই। আমি খুব মর্মাহত সাকিবকে নিয়ে আমার নামে যে সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, তা নিয়ে!

এসময় মির্জা ফখরুল ও তারেক রহমানের সঙ্গে সব বিষয় নিয়ে আগেই কথা হয়েছে এবং নিজের অবস্থান দলের কাছে ‘ক্লিয়ার’ (পরিষ্কার) করেছেন বলেও জানান তিনি।

 

;

মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনে ওয়ার্কিং কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে: ওবায়দুল কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সহযোগী সংগঠনগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটি গঠনের বিষয়ে করা প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যে কমিটিগুলোর মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে, সেগুলোতে আমরা সম্মেলনের চিন্তা করবো। তবে এসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত মালিক হচ্ছে ওয়ার্কিং কমিটি। ওয়ার্কিং কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় রাজধানীর ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ সব কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুটি প্রতিষ্ঠানের দেওয়া রিপোর্টের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদেরটাও তো একটা দেশ। গণতন্ত্রের বিষয়ে আমাদেরও একটা মানদণ্ড আছে। আমাদের গণতন্ত্র যে 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ)..., 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) কেউ না পৃথিবীতে। আমরাও 'পারফেক্ট' (পরিপূর্ণ) এই দাবি আমরা করি না। আমেরিকার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও বর্তমানে নিশ্চিতপ্রায় রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী তিনি তো বলেছেন, আমি ইলেক্টেড না হলে রক্ত বন্যা বয়ে যাবে। এইটা কোন নির্বাচন!

তিনি বলেন, জো বাইডেনের নির্বাচিত হওয়া নির্বাচনকে সত্যিকারের নির্বাচন হয়নি বলা হয়েছে। নির্বাচিত প্রেসিডেন্টকে সাবেক প্রেসিডেন্ট আজ পর্যন্ত মেনে নেননি। কাজেই মানদণ্ড কোথায় কী, সেটা বোঝা হয়ে গেছে। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর 'ডিক্টেটরশিপ' (স্বৈরতন্ত্র) এবং তাদের 'সিবলিংস' (স্বজন) এরাই বাংলাদেশে কর্তৃত্ব করেছে। শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পর ২১ বছর ধরে গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য লড়াই সংগ্রাম করেছেন এবং সেই সংগ্রামে আমরা বিজয়ী হয়েছি।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন- সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ। 

;

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গণতন্ত্র মঞ্চের সমাবেশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রেশনিং চালু, টিসিবির পণ্য বিক্রি বৃদ্ধি, সিন্ডিকেট ভেঙে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ করে গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা কর্মীরা।

এ সময় গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি বলেন, সরকার সিন্ডিকেটকে লালন করছে। চাহিদা, জোগান, সরবরাহ ঠিক থাকলে দাম বাড়ার কোন কারণ নাই। বাণিজ্য মন্ত্রী ১ লাখ মানুষকে কার্ড দিচ্ছেন কিন্তু টিসিবির ট্রাকে কিছু জনকে দেওয়ার পর মাল শেষ হয়ে যায় মানুষ গুলো দাঁড়িয়ে থাকে।

তিনি বলেন, সরকার ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় থেকেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। বাজারে দাম বৃদ্ধি করে জনগণের টাকা হাতিয়ে তাদের থলে ভরছে। সরকার নিজেরাই তো সিন্ডিকেট। জনগণকে এই স্বৈরচারী সরকার এর কাছ থেকে মুক্ত করতে হবে। জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় আমাদের প্রতিবাদ চলবে।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রশিদ মান্না। তিনি সরকারকে ডামি সরকার উল্লেখ করে বলেন, বিনা ভোটে গঠন করা সরকার জনগণের জন্য কোনো কাজ করবে না।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন, ড.আবু ইউসুফ সেলিম, বাচ্চু ভুইয়াসহ আরও অনেকে।

;

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা না মেনে তাঁর সৈনিক হওয়া যায় না: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন, নেতাকর্মীদের প্রতি এমন প্রশ্ন রেখেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর ১০৪তম জন্মবাষির্কী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ সততা মানেন না, জীবন থেকে শিক্ষা নেন না, আর আপনি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক এ দাবি কেন করেন! বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরী শেখ হাসিনা। রাত দুটোয় ফোন করেও তাকে পাওয়া যায়। এটি অবাক করার মতো বিষয়! তিনি মাত্র তিন থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ঘুমান। বাকি সময় দেশ নিয়ে ভাবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বঙ্গবন্ধু পরিবারই সবচেয়ে বড় আদর্শের জায়গা। সততা ও সাহস রাজনীতির প্রধান দুটি গুণ। বঙ্গবন্ধু পরিবারের চরিত্র হননের অপচেষ্টা জিয়াউর রহমান থেকে শুরু করে অনেকেই করে গেছেন।

'বঙ্গবন্ধু'র নাম এ বাংলার মাটি থেকে মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই জানিয়ে তিনি বলেন, উত্তাল সমুদ্রে, অমানিশায় তিনি আমাদের বিশ্বাসের বাতিঘর! এই বাতিঘর চিরদিন আমাদের চলার পথ দেখাবে! বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে সোনার বাংলা গড়ার লড়াই চলছে, সে লড়াইকে আমরা নিয়ে যাবো বিজয়ের সোনালি বন্দরে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, স্বাধীনতার লিগ্যাসি ও অর্থনৈতিক মুক্তির লিগাসির মৃত্যু হবে না। প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় দেশে নীরবে আসেন, নিঃশব্দে চলে যান। তার নেতৃত্বেই দেশে আইসিটি ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপ্লব ঘটেছে।

;