‘জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

বুধবার সকালে ৬ দফা দিবস উপলক্ষ্যে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা শেষে তিনি এসব কথা বলেন। 

জাতিসংঘ কেন মধ্যস্থতা করতে যাবে— প্রশ্ন করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের দেশে এমন কোনো রাজনৈতিক সংকট হয়নি যে জাতিসংঘের এখানে ইন্টারফেয়ার করতে হবে। জাতিসংঘ মধ্যস্থতা করবে এই রকম কোনো সংকট স্বাধীন বাংলাদেশে হয়নি।

সেতুমন্ত্রী বলেন, সংকটে সমাধান হলো আমাদের সংবিধান। সংকটে আর কোনো সমাধান নেই। সংবিধানই যদি কোনো দেশের সমাধান না দিতে পারে তা হলে সে দেশে গণতন্ত্র হবে কি করে?

তিনি বলেন, বিএনপির সঙ্গে আমাদের আলোচনার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। আমাদের দেশে আমরা আলোচনা করব, এটা নিজেদের সমস্যা, নিজেরাই সমাধান করব। বিগত নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী সংলাপের আহ্বান করেছিলেন। 

সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার উদ্যোগে নির্বাচন কমিশন আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। নির্বাচনব্যবস্থা আরও গণতান্ত্রিক হয়েছে। গণতন্ত্র হঠাৎ করে রাতারাতি প্রতিষ্ঠা পায় না। প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে সময় লাগে। একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের গণতন্ত্র এখন অনেক পরিপূর্ণ হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগিয়ে চলছে। কাজেই এখানে বাইরের কোনো মধ্যস্থতা, বাইরের কোনো হস্তক্ষেপের দরকার নেই। আমাদের নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সমাধান করব। সময় বলে দেবে কখন কী হবে। আপাতত আলাপ-আলোচনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) আমাদের নেত্রীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে। তাদের সঙ্গে আমরা কী আলোচনা করব? তারা আজ নালিশের রাজনীতি করছে। কি পেয়েছে? তারা আমেরিকায় নালিশ করেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়নের কাছে নালিশ করে তারা কি পেয়েছে? পেয়েছে ঘোড়ার ডিম। এখন তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধান চায়। এই তত্ত্বাবধানে আবার নতুন সূত্র তুলে ধরছে।

   

কৃষকলীগের মহাসমাবেশ শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রথমবারের মত আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ শুরু করেছে বাংলাদেশ কৃষক লীগ। সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার ৫১ বছরে পর এই প্রথম রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে মহাসমাবেশ করার অনুমতি দিয়েছে আওয়ামী লীগ।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুর দেড়টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে এই মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে।

এর আগে, দেশে বিরোধী পক্ষ যেনো কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য রাজধানীতে কৃষকদের নিয়ে স্মরণকালের সেরা শোডাউন করার কথা জানিয়েছে সংগঠনটি।

জানা যায়, সারাদেশে থেকে প্রায় তিন লাখ কৃষক, কৃষাণী ও নেতাকর্মী জমায়েত করার প্রস্তুতি নিয়েছে সংগঠনটি। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কৃষক লীগের এটাই হবে সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ।

এ সমাবেশ থেকে বিএনপি–জামায়াতের শাসনামলে সার ও বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনরত করতে গিয়ে যেসব কৃষক শহীদ হয়েছেন তাদেরও স্মরণ করবে দলটি।

এসময় উপস্থিত নেতাকর্মীরা জানান, তাদের সমাবেশ করার উদ্দেশ্যে হলো- সারা দেশের কৃষক সমাজ যাতে এক হয়ে সরকারের উন্নয়নের পক্ষে কাজ করে। কোনো ষড়যন্ত্র এ সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না। আগামীতেও শেখ হাসিনা সরকার থাকবে।

তারা আরও জানান, শেখ হাসিনাকে ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হয়। আওয়ামী লীগ হলো উন্নয়নের সরকার। এ সরকার যতদিন ক্ষমতায় থাকবে ততদিন দেশ উন্নত হবে। দেশে যাতে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় না আসতে পারে সেজন্য তারা সজাগ রয়েছে।

সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

প্রসঙ্গত, বঙ্গবন্ধুর নিদের্শে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির উদ্দেশ্যে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা হয়। এর পর থেকে সংগঠনটি আওয়ামী লীগের হয়ে বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে ভূমিকা রেখে চলছে।

;

শর্তের বেড়াজালে আটকে খালেদা জিয়ার বিদেশ চিকিৎসা!



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
খালেদা জিয়া

খালেদা জিয়া

  • Font increase
  • Font Decrease

অসুস্থ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রায় দুই মাস ধরে হাসপাতালে ভর্তি। সকালে সিসিইউতে নেওয়া হচ্ছে তো বিকেলে কেবিনে এমনভাবেই হাসপাতালে দিন কাটছে সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর। পরিবারের পক্ষ থেকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে আবেদন করা হয়েছে। তবে কোনো শর্তে বিদেশ যেতে রাজি নয় খালেদা জিয়া বলে জানিয়েছে বিএনপির একটি সূত্র।

জানা গেছে, সরকারের পক্ষ থেকে সিঙ্গাপুরে, থাইল্যান্ড নেওয়ার কথা বলা হলেও খালেদা জিয়ার চিকিৎসকেরা সবচেয়ে ভালো মনে করছেন জার্মানিকে। এর পরপরই বিকল্প হিসেবে তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের কথা চিন্তা করছেন।

বিএনপি সূত্র জানায়, ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর বর্তমান যে পরিস্থিতি তাতে তাকে বিদেশে পাঠানোর বিষয়ে সরকার ইতিবাচক। এখন সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় বিএনপি চেয়ারপারসনের পরিবার। ইতিবাচক কোনো সাড়া এলেই দ্রুত যাতে বিদেশ পাঠানো যায়, তেমন প্রস্তুতি নিয়ে রাখা হয়েছে।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার পরিবারের আবেদনটি আমার দফতরে এসেছে। এটি যাচাই-বাছাই করে রোববার মতামত জানাবো।

এর আগে তিনি বলেছিলেন, খালেদা জিয়া শর্তযুক্তভাবে সরকারের নির্বাহী আদেশে সাজা স্থগিত করে মুক্ত রয়েছেন। আইনের এই বিদ্যমান অবস্থানে সরকারের পক্ষে তাকে বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আরও কয়েকজন মন্ত্রীও একই ধরনের মন্তব্য করেছিলেন। তারা আইনগত জটিলতার কথা বলে আসছিলেন।

এদিকে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশ যেতে হলে আবার জেলে যেতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। যুক্তরাষ্ট্রের সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি যে তাকে বাসায় থাকার অনুমতি দিয়েছি, সেটি থেকে ফিরে এসে তাকে জেলে যেতে হবে, আদালতে যেতে হবে।

লিভার সিরোসিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে কে কে যাবেন সে ব্যাপারে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেক্ষেত্রে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, পুত্রবধূ শর্মিলা রহমান ও দুইজন গৃহকর্মী সঙ্গে যেতে পারেন। এ ছাড়া লন্ডন থেকে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানও জার্মানিতে আসতে পারেন।

গত ৯ আগস্ট থেকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন তিনবারের সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। তার স্বাস্থ্যের তেমন কোনো উন্নতি নেই। বরং দিন দিন অবস্থার অবনতি হচ্ছে। মাঝে-মধ্যেই তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিচ্ছে। নিতে হচ্ছে করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ)। গতকাল বিকালেও তাকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। এ নিয়ে তিন দফা তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।

;

‘সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

গদি টিকিয়ে রাখতে সরকার যতটা মরিয়া হয়ে উঠেছে, তার অর্ধেক সচেতন হলেও বাজার ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যেত না। সরকার গদির লোভে দেশের মানুষের কথা ভুলে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের এমপি।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, বাজার ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতার নিকৃষ্ট রেকর্ড করেছে সরকার। কয়েক বছর ধরেই বাজার নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হচ্ছে সরকার। তাই সম্প্রতি ডিম, পেঁয়াজ ও আলুর দাম নির্ধারণ করে দেয় সরকার। কিন্তু একদিনও সরকারের বেঁধে দেয়া মূল্যে পণ্য বিক্রি করেনি খুচরা বিক্রেতারা। ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা, আলু প্রতি কেজি ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৬৪ থেকে ৬৫ টাকায় বিক্রি করতে দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। কিন্তু বাজারে ১২ টাকার ডিম প্রতি পিছ ১২ টাকা ৫০ পয়সা, ৩৫ থেকে ৩৬ টাকার আলু প্রতি কেজি ৫০ টাকা এবং ৬৪ থেকে ৬৫ টাকার পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বাজার মনিটরিং বলতে কিছুই নেই। কারা পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে সরকার কেন তাদের ধরতে পারছে না? মজুদদার ও অসাধু সিন্ডিকেটের কাছে সরকার কী জিম্মি?

সরকার মানুষের কষ্ট বোঝে না। বাজার ব্যবস্থাপনায় সরকারের ব্যর্থতার সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা জানতে চায় দেশের মানুষ। দেশের মানুষের কাছে নিত্যপণ্যের বাজার যেনো মূর্তিমান আতঙ্ক। অসাধু ব্যবসায়ী ও সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম নির্মূল করে নিত্য পণ্যের মূল্য সহনীয় মাত্রায় রাখতে সরকারের প্রতি কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিও জানিয়েছেন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান।

;

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজনীতিতে ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, মাঝেমধ্যে বড় কষ্ট লাগে, আমার দেশের রাজনীতি থেকে কেন যেন মনে হয় ভালো মানুষের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। শাহজাহান কামালের মতো একজন ভালো মানুষ রাজনীতিতে বিরল। তাকে হারানো মানে, আমরা একজন ভালো মানুষকে হারালাম। রাজনীতিবিদ হিসেবে তার আদর্শ গুণাবলি আমরা মনে রাখব এবং অনুসরণ করব। আব্দুস সাত্তারও ভালো মানুষ ছিলেন। এই দুই নেতার মৃত্যুতে আমরা দুজন ভালো মানুষ হারালাম।

শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ের ন্যাম ভবন প্রাঙ্গণে দুই এমপির মরদেহে শ্রদ্ধা শেষে এসব মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ব্যক্তিগতভাবে শাহজাহান কামাল আমার খুবই ঘনিষ্ঠ ছিল। তিনি ছাত্রনেতা থেকে পরে মন্ত্রী। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন। একজন সাচ্চা আদর্শবান মানুষ ছিলেন।

আব্দুস সাত্তারও একজন ভালো মানুষ হিসেবে তার এলাকায় যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন জানিয়ে আওয়ামী লীগের এই সিনিয়র নেতা বলেন, তিনি জনগণের ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন।

;