রওশন এরশাদ যে তালিকা প্রধানমন্ত্রীর হাতে দিয়েছেন!



সেরাজুল ইসলাম সিরাজ, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
রওশন এরশাদ ও শেখ হাসিনা

রওশন এরশাদ ও শেখ হাসিনা

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে একান্ত বৈঠক করেন জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ। বৈঠকে আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টির সম্ভাব্য প্রার্থীদের একটি তালিকা হস্তান্তর করেন রওশন এরশাদ।

রওশনের ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র বার্তা২৪.কম-কে বলেছেন, মোট ৯৮ জনের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনের পরিস্থিতি, বিএনপির অংশ নেওয়া না নেওয়াকে বিবেচনায় রেখে কয়েক ধরনের বিকল্প রাখা হয়েছে। বিএনপি অংশ নিলে এক রকম আর না নিলে কৌশল হবে ভিন্ন। ৯৮ জনের তালিকা ৩ ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে জোটগতভাবে ভোট করবে রওশন এরশাদ। এতে প্রথম ক্যাটাগরিতে ৫০ জনকে জোটের মনোনয়ন দিতে হবে। আর ৫০টি আসন উন্মুক্ত থাকবে। যেভাবে ২০০৮ সালে মহাজোট হয়েছিল। সেখানে বেশকিছু আসন উন্মুক্ত ছিল, যেখানে আওয়ামী লীগ ও জাপার প্রার্থীরা স্ব-স্ব দলীয় প্রতীকে অংশ নেন।

বিএনপি নির্বাচনে না এলে জাপার ৩১ জনকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত করতে হবে। আর বাকি ৬৭ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে জাপার প্রার্থীরা। অন্যান্য আসনে গোপনে আওয়ামী লীগের জন্য কাজ করবে জাপা। রওশন এরশাদ তালিকা জমার কিছুদিন পর আরও ১২ জনের একটি সম্পূরক তালিকা দেওয়া হয়। এতে করে সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১০ এ।

রওশনের তালিকা

বেগম রওশন এরশাদ ময়মনসিংহ-৪, রাহগীর আল মাহী সাদ এরশাদ রংপুর-৩, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম ঢাকা-১৭ অথবা ঢাকা-১, খন্দকার রফিকুল ইসলাম ময়মনসিংহ-৬, এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার পটুয়াখালী-১, ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ চট্টগ্রাম-৫, কাজী ফিরোজ রশীদ ঢাকা-৬, কাজী মো. মামুনূর রশীদ ঢাকা ১৭ অথবা ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৫, আসিফ শাহরিয়ার অথবা মশিউর রহমান রাঙা রংপুর-১, মজিবুল হক চুন্নু কিশোরগঞ্জ-৩, নাসরিন জাহান রত্না বরিশাল-৬, আহসান আদেলুর রহমান আদেল অথবা এন কে আলম নীলফামারী-৪, ড. আক্কাস আলী সরকার কুড়িগ্রাম-৩, ব্যারিস্টার শামীম হায়দার পাটোয়ারী অথবা মোস্তফা মহসিন সর্দার গাইবান্ধা-১, এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান কুড়িগ্রাম-১, শরিফুল ইসলাম জিন্নাহ বগুড়া-২, নুরুল ইসলাম ওমর বগুড়া-৬, রুস্তম আলী ফরাজী পিরোজপুর-৩, গোলাম মোহাম্মদ কাদের অথবা অধ্যাক্ষ মাহবুবুল আলম মিঠু লালমনিরহাট-৩, ফখরুল ইমাম ময়মনসিংহ-৮, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ঢাকা-৪, লিয়াকত হোসেন খোকা অথবা গোলাম মসীহ্ নারায়ণগঞ্জ-৩, সেলিম ওসমান অথবা পারভীন ওসমান নারায়ণগঞ্জ-৫, পীর ফজলুর রহমান মেজবাহ সুনামগঞ্জ-৫, ইয়াহইয়া চৌধুরী সিলেট-২, সেলিম উদ্দিন সিলেট-৫, আবুল কালাম আজাদ লক্ষীপুর ৪ অথবা ২, নুরুল ইসলাম মিলন কুমিল্লা-৮, আসাদুজ্জামান চৌধুরী (শাবলু) রংপুর-২, ব্যারিস্টার সানজীদ রশীদ চৌধুরী চট্টগ্রাম-৯, লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী ফেনী-৩ ।

মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) বরিশাল-২ অথবা ঢাকা ১৮, মুনিম চৌধুরী বাবু হবিগঞ্জ-১, মনজুরুল হক সাচ্চা অথবা ময়নুর রাব্বি চৌধুরী রুম্মন গাইবান্ধা-৩, অ্যাড.জিয়াউল হক মৃধা ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, আসিফ শাহরিয়ার অথবা পনির উদ্দিন আহমেদ কুড়িগ্রাম-২, মহিবুল কাদের চৌধুরী পিন্টু মৌলভীবাজার ২ অথবা ৪, মো. আবু তালহা নাটোর-১, মিজানুর রহমান মিজান ভোলা-২, আশরাফ-উদ-দৌলা কুড়িগ্রাম-৪, রাজিউর রাজি চৌধুরী স্বপন ঠাকুরগাঁও-১ অথবা ৩, ইঞ্জিনিয়ার ইকরামুল খান ময়মনসিংহ-৭, আজাহার হোসেন সাতক্ষীরা-২, সফিকুল ইসলাম সেন্টু ঢাকা-১৩, মিজানুর রহমান বরগুনা-২, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী চট্টগ্রাম-১৬, এম মুহিবুর রহমান ঢাকা-১৮, মোস্তফা সেলিম বেঙ্গল লালমনিরহাট-১ অথবা রংপুর-৪, সোলাইমান আলম শেঠ পার্বত্য খাগড়াছড়ি।

জাফর ইকবাল সিদ্দিকী নীলফামারি-১, মো. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ঠাকুরগাঁও-৩, এইচ.এম. গোলাম শহীদ রঞ্জু গাইবান্ধা-৫, ফারুক কাদের রানা মোহাম্মদ সোহেল নীলফামারী-৩, ইঞ্জিনিয়ার মামুনুর রশীদ জামালপুর ৪, মামুনুর রহিম সুমন টাঙ্গাইল-৬, আবুল কাসেম আব্দুস সালাম চাকলাদার টাঙ্গাইল-সদর, মোস্তফা কামাল জাহাঙ্গীর খুলনা ৬, আব্দুল গফফার বিশ্বাস অথবা মোল্লা শওকত হোসেন বাবুল খুলনা-৩, সরোয়ার হোসেন শাহীন অথবা আব্দুর রশিদ সরকার গাইবান্ধা-২, আবু সাঈদ স্বপন নরসিংদী-২, ইকবাল হোসেন রাজু কুমিল্লা-৪, সাব্বির হোসেন জহিরুল হক যশোর-৪, সরদার জুয়েল হোসেন রাজশাহী-২, এড.মাহবুবুল আলম বাচ্চু যশোর -৩, এড. এস এম মাসুদুর রহমান খুলনা-৪, শংকর পাল হবিগঞ্জ-২, জহিরুল ইসলাম জহির অথবা নুরুল হক নুরু টাঙ্গাইল-৭।

সুলতানা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, আব্দুস সবুর আসুদ ঢাকা-৫, আবুল কাশেম রিপন জয়পুরহাট-২, মফিজুর রহমান কক্সবাজার-২, মো. ইলিয়াস উদ্দিন শেরপুর-১, মো. নেওয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া নরসিংদী-৪, এনাম জয়নাল আবেদীন টাঙ্গাইল-৮, সৈয়দ দিদার বখত সাতক্ষীরা-১, আলমগীর শিকদার লোটন নারায়ণগঞ্জ-২, এস.এম. ফখর উজ জামান রংপুর-৫, আ.স.ম. মোক্তাদির তিতাস জয়পুরহাট-১, জাফর আহমেদ রাজু ফেনী-২, ফারহিন হাসান গাজীপুর-২ অথবা-৫, সাজ্জাদ রশীদ চাঁদপুর-৪, আলাউদ্দিন মৃধা নাটোর-৪, শেখ মো. সিরাজুল ইসলাম মুন্সিগঞ্জ-২, শাহাবুদ্দিন বাচ্চু রাজশাহী-৩, আব্দুস সাত্তার মোড়ল সাতক্ষীরা-৪, মো. মিজানুর রহমান ঝিনাইদহ-সদর, বাচ্চু মন্ডল ঝিনাইদহ-৪, শাহ জামাল রানা পীরজাদা জুবায়ের ব্রাম্মণবাড়িয়া-৩, মোস্তফা আল মাহমুদ জামালপুর-২, জুলফিকার হোসেন দিনাজপুর-২, এমদাদুল হক রুমন চাঁদপুর-১, মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক ঢাকা-১৪, জসীমউদ্দিন ভূঁইয়া নেত্রকোনা-৩, মোতাহের হোসেন চৌধুরী রাশেদ ফেনী-১, ওসমান আলী সিলেট-৩, সাফিয়া খাতুন তৌহিদ খান সাতক্ষীরা-৩, নাজমুন নাহার তুলি নরসিংদী-৩, গোলাম সারোয়ার মিলন এম এ মান্নান মানিকগঞ্জ-১, তারেক আহমেদ আদেল ঢাকা-৭ ।

গোলাম কিবরিয়া টিপু বরিশাল-৩, মাহমুদুর রহমান বেলাল হোসেন লক্ষ্মীপুর-১, সালাহ উদ্দিন আহমেদ নোয়াখালী-২, লুৎফর রেজা খোকন কুমিল্লা-৭, মাখন সরকার ইফতেখার হাসান কুমিল্লা-১, মো. নুরুল ইসলাম তালুকদার বগুড়া-৩, সালাহ উদ্দিন মুক্তি ময়মনসিংহ-৩, খন্দকার মনিরুজ্জামান টিটু ফরিদপুর সদর, এ কে এম মর্তুজা আবেদিন বরিশাল-৫ ও শিকদার আলমগীর কবির মাগুরা-১।

   

'বিএনপির আন্দোলন আ.লীগ সরকারকে পতন করতে পারবে না'



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, রাজশাহী
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিএনপি এই আন্দোলন দিয়ে আ.লীগ সরকারকে পতন করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের পুনঃনির্বাচিত মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন-২০২৩ এর প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করানোর জন্য দেশি-বিদেশী নানা চক্রান্ত চলছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যার মধ্যে তো পিতার একটা দৃঢ়তা আছে। আমরা লক্ষ্য করছি একটা একটা করে বাধা তিনি কাটিয়ে আসছেন। বিএনপি যতই বলুক তারা আর পনেরো দিন পরে বিরামহীন আন্দোলন করবে, যা তারা গত ৭ বছর ধরে করছে, তা কখনো সফল হওয়ার নয়। কিন্তু এখনো তারা একথাটি কেন বলছে, তাদের কি লজ্জা করছে না? এই আন্দোলনে যে সরকার পতন হয় না, অন্তত আওয়ামী লীগ সরকারকে পতন করা যায় না, এটি তাদের বোঝা উচিত ছিল। সে কারণে কারো মধ্যে দ্বিধা রাখবেন না, সবাই জাগ্রত থাকবেন, শেখ হাসিনার ডাকে যা করণীয় করতে হবে।

তিনি বলেন, শুধুমাত্র পোশাক শিল্প রপ্তানির উপর নির্ভরশীল না থেকে আরো অনন্ত ১০টি আইটেম রপ্তানি করার ক্ষেত্র তৈরির চেষ্টা করছে সরকার। বর্তমানে বাংলদেশ উন্নত বিশ্বেও ওষুধ রপ্তানি করছে। বাংলাদেশ জাহাজ নির্মাণ করছে, এখন হয়তো এই খাতটি বড় হয়নি তবে আগামীতে আরো অনেক বড় জাহাজ তৈরি করবে বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী ফ্রিল্যান্সিং খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক ফ্রিল্যান্সার তৈরি হয়েছে দেশে। রাজশাহীতে অনেকে ফ্রিল্যান্সিং করে ডলার আয় করছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৫তম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হয়েছে। এভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করছেন তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সম্মেলনের উদ্বোধক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া বলেন, দেশের ৭০ শতাংশ মানুষ মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনপ্রিয় ব্যক্তি, মানুষ তাকেই ক্ষমতায় দেখতে চায়। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের বিজয়ী করে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। রাজশাহী জেলা ও মহানগরে যারা নেতৃত্বে আসবেন, তারা সবাই আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন। আমি বিএনপির মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বলতে চাই আওয়ামী লীগকে ভয় দেখিয়ে লাভ নাই। বাংলার মানুষ এখন অনেক সচেতন। বাংলার মানুষ মনে করে শেখ হাসিনা সরকার, বারবার দরকার।

এরআগে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ ওয়ালী খানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে উদ্বোধক ছিলেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কার্যকরী সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আলাউদ্দিন মিয়া। সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং যুব মহিলা লীগের সদস্য ডা. আনিকা ফারিহা জামান অর্ণা। 

সম্মেলনের প্রথম অধিবেশন শেষে দ্বিতীয় অধিবেশন জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী জেলা ও মহানগরের বর্তমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে নতুন কমিটি গঠন করা হয়।

দ্বিতীয় অধিবেশনে জাতীয় শ্রমিক লীগ, রাজশাহী মহানগরের সভাপতি পদে মাহাবুব আলম (জি.পি.ও) এবং সাধারণ সম্পাদক পদে আকতার আলী (রেলওয়ে) সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সম্মেলনে সহ-সভাপতি পদে জহুরুল ইসলাম ও সেলিম রেজা বায়রুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে রাশেদুজ্জামান রাশেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক পদে আফজাল হোসেনের নাম ঘোষণা করা হয়। নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করেন খায়রুজ্জামান লিটন।

;

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রামে দোয়া মাহফিল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) বাদ জুমা নগরীর নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মস‌জি‌দে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর বিএন‌পির কেন্দ্র ঘোষিত দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন ।

আবুল হাশেম বক্কর বলেন, বেগম খালেদা জিয়া হচ্ছেন গণতন্ত্রের বাতিঘর। তিনি বেরিয়ে এলে গণতন্ত্রের সংগ্রামের জন্য লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় বেরিয়ে আসবে। সেজন্যই তাঁকে আটক করে রাখা হয়েছে। তিনি আজ গুরুতর অসুস্থ। তিনি জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে। তার এখন প্রয়োজন বিদেশে উন্নত চিকিৎসা। চিকিৎসকরা পরিষ্কার করে বলেছেন, আমরা যা কিছু করা সম্ভব তা করেছি। আমাদের কাছে সেই উন্নত প্রযুক্তি নেই যা দিয়ে দেশে বেগম খালেদা জিয়াকে পরবর্তী চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হবে। অতি দ্রুত বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য উন্নত দেশ আমেরিকা, যুক্তরাজ্য বা জার্মানিতে না পাঠালে তাঁর জীবন রক্ষা করা মুশকিল হয়ে যাবে। অথচ সরকার তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে হত্যার ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশের অস্তিত্বকে বিলীন করার ষড়যন্ত্র করছে।

এসময় তিনি রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বাদ দিয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে পরিপূর্ণ মুক্তি দিয়ে বিদেশে উন্নত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এই উপ মহাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। তিনি এই দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য, গণতন্ত্র ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য আপসহীন ভূমিকা রেখেছেন। সে জন্য আজ সারা দেশের মানুষ তাঁর পরিপূর্ণ মুক্তি চায়, সুচিকিৎসা চায়। বেগম খালেদা জিয়া আর বাংলাদেশের গণতন্ত্র একাকার। তাকে গৃহবন্দি করে দেশে স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রকে বন্দি করা হয়েছে

দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমাৎসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দের জন্য দোয়া করা হয়। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন জামে মসজিদের খতিব মাওলানা এহসানুল হক।

দোয়া মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সি. যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব এম এ আজিজ, যুগ্ম আহবায়ক এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন, ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, মোঃ শাহ আলম, আহবায়ক কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন জিয়া, হারুন জামান, হাজী মোঃ আলী, থানা বিএনপির সভাপতি মামুনুল ইসলাম হুমায়ুন প্রমুখ।

;

‘নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না কিছু যায়-আসে না’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ

  • Font increase
  • Font Decrease

নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না এতে কিছুই যায়-আসে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনস্থ ওয়াইএনটি সেন্টারে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে নির্বাচন পর্যবেক্ষণে ইইউ’র প্রতিনিধি দল পাঠানো নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনটা হচ্ছে আমাদের, ইতিমধ্যে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আমাদের নির্বাচন কেউ পর্যবেক্ষণ করল, কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। এ নিয়ে বিএনপিকেও দেশ অস্থিতিশীল করার সুযোগ দেওয়া হবে না।

ভারতে যখন নির্বাচন হয় তখন বিদেশি পর্যবেক্ষকরা সেখানে যান কিনা এমন প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আর সেখানে এটি নিয়ে এত কথাবার্তা হয়? কিংবা ইউরোপের বিভিন্ন দেশে যখন নির্বাচন হয় সেখানে কি আমাদের দেশ থেকে কিংবা অন্য কোন দেশ থেকে পর্যবেক্ষক যাই? যাই না।

তিনি বলেন, আমাদের দেশেই নির্বাচন আসলে কে পর্যবেক্ষণ করল, কে করলো না এগুলো নিয়ে নানা মাতামাতি হয়। যদি বিদেশি পর্যবেক্ষকরা আসেন, তাহলে তাদের স্বাগত জানাই, না আসলেও কোন অসুবিধা নাই। কেউ পর্যবেক্ষণ করল কি করলো না এতে কিছুই আসে যায় না। ইতিমধ্যে আমাদের দেশে স্থানীয় সরকারসহ যে সমস্ত নির্বাচন হয়েছে সেগুলো অত্যন্ত সুষ্ঠু অবাধ ও নিরপেক্ষ হয়েছে। আগামী নির্বাচনও অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে এবং নির্বাচনে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণ থাকবে ইনশাল্লাহ।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ছোট আকারের পর্যবেক্ষক দল পাঠাবেন বলেছে। তাদের বাজেট স্বল্পতার কথাও তারা চিঠিতে উল্লেখ করেছে। ইইউ’র পর্যবেক্ষক যে আকারেই আসুক বা না আসুক আমাদের দেশে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম আছে, সার্কভুক্ত বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে আসবে। সুতরাং আমাদের নির্বাচন আমরাই করব, আমাদের নির্বাচন অত্যন্ত সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে।

বিএনপির লংমার্চ কর্মসূচিতে হরতাল অবরোধের মতো কঠিন কর্মসূচির জন্য নেতাকর্মীদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন, এব্যাপারে আওয়ামী লীগ এবং সরকারের প্রস্তুতি কি আছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়া অবরোধের ডাক দিয়ে দেশের মানুষকে একশ দিন অবরুদ্ধ করে রেখেছিল। পেট্টোলবোমা নিক্ষেপ করে শতশত মানুষ পুড়িয়েছিল, হাজার হাজার মানুষকে ঝলসে দিয়েছিল আগুনে।

তিনি বলেন, দেশে এ ধরণের নৃশংস ঘটনা বিএনপি আর করতে পারবে না, দেশের মানুষ করতে দিবে না। সেই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করার চেষ্টা করলে দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে।

;

আমরা আকৃষ্ট হই গুজব, অপপ্রচারে: মোহাম্মদ এ আরাফাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা আকৃষ্ট হয় গুজব, অপপ্রচারে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, কিন্তু আমরা সত্যকে আরও বেশি তুলে ধরব, সত্যকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ওয়েব টিম আয়োজিত 'দ্য ড্রিল অনলাইন ক্যাম্পেইন ট্রেইনিং' শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, রিয়েল ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডটা যখন গ্রো করা শুরু করলো যুদ্ধটা অনেকখানি সেখানে শিফট করে গেছি। আমরা বুঝে ওঠার আগেই। ওই যুদ্ধে গিয়ে আমরা দেখছি আমাদের প্রতিপক্ষরা ওই যুদ্ধে এত বেশি কনসেন্ট্রেন্ট করেছে যে তাদের মিথ্যাচার, অপপ্রচার, গুজব এগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত করতে বেগ পেতে হয়।

আরাফাত বলেন, আমি মনে করি এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে আসল পৃথিবীতে যেভাবে হাটে-ঘাটে, মাঠে, রাস্তায় যুদ্ধ চলবে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির বিপক্ষে একইভাবে সাইবার ওয়ার্ল্ডে আরও শক্তি নিয়ে, আরও নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একাট্টা হয়ে, আরও প্রশিক্ষিত হয়ে, প্রশিক্ষিতভাবে আমরা এই যুদ্ধটা করব।

সাইবার ওয়ার্ল্ডে আওয়ামী লীগ আধুনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধ লড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে যুদ্ধ, এখানে যে প্রতিযোগিতা, অপপ্রচার মিথ্যাচার বিপক্ষে লড়াই, সেই জায়গাতে আওয়ামী লীগ আধুনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে, নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করে সে লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ থাকবে। কারণ আওয়ামী লীগ যদি সে যুদ্ধে বিজয়ী হয় তাহলে সত্য বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগ যেতে বিজয়ী হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হবে বাংলাদেশের বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ যেতে হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশে থাকবে না। এটা আফগানিস্তান, পাকিস্তান হবে। এদেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। তাই প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমাদের যুদ্ধটা করতে হবে, যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে হবে।

এসময় আওয়ামী লীগ সাইবার যুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই হেরে যায় বলে অনেকে সমালোচনা করে জানিয়ে তার জবাবে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষরা খরা, বন্যা হলেই লকডাউনে চলে যায়। আর সারাক্ষণ লকডাউনে ঘরে বসে অপপ্রচার আর গুজব চালাতে থাকে। সে কারণে হয়তো আমাদের যতটুকু এনার্জি এবং রিসোর্স থাকে গুজবের বিপক্ষে লড়তে কষ্ট হয়। কিন্তু আরেকটা কথা হচ্ছে যারা গুজব ছড়ায় সেখানে গুজব, অসত্য, অপপ্রচারে অন্য ধরনের আসক্তি আছে। রিসার্চে দেখা গেছে এগুলো ছয়গুণ বেশি স্পিডে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু সত্য নিয়ে যখন ফাইট করতে হয় তখন দেখা যায় ৫ গুণ বেশি এফোর্ট দিয়েও একধাপ পিছিয়ে থাকতে হয়। তাই আমাদের দশগুণ বেশি এফোর্ট দিয়ে লড়তে হবে।

এসময় জানানো হয়, ছাত্রলীগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করায় এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষিত টিম গঠন করা হবে। বিরোধীদলের অপ্রপচার, মিথ্যাচার ও গুজবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এই টিম একটিভ থাকবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরবে

;