আমরা আকৃষ্ট হই গুজব, অপপ্রচারে: মোহাম্মদ এ আরাফাত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

আমরা আকৃষ্ট হয় গুজব, অপপ্রচারে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেছেন, কিন্তু আমরা সত্যকে আরও বেশি তুলে ধরব, সত্যকে আরও বেশি ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ ওয়েব টিম আয়োজিত 'দ্য ড্রিল অনলাইন ক্যাম্পেইন ট্রেইনিং' শীর্ষক ট্রেনিং প্রোগ্রামে যোগ দিয়ে তিনি একথা বলেন।

মোহাম্মদ এ আরাফাত বলেন, রিয়েল ওয়ার্ল্ডের পাশাপাশি ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডটা যখন গ্রো করা শুরু করলো যুদ্ধটা অনেকখানি সেখানে শিফট করে গেছি। আমরা বুঝে ওঠার আগেই। ওই যুদ্ধে গিয়ে আমরা দেখছি আমাদের প্রতিপক্ষরা ওই যুদ্ধে এত বেশি কনসেন্ট্রেন্ট করেছে যে তাদের মিথ্যাচার, অপপ্রচার, গুজব এগুলো মোকাবিলা করতে গিয়ে আমাদের সত্যটাই প্রতিষ্ঠিত করতে বেগ পেতে হয়।

আরাফাত বলেন, আমি মনে করি এই উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে আমরা নিজেদেরকে আসল পৃথিবীতে যেভাবে হাটে-ঘাটে, মাঠে, রাস্তায় যুদ্ধ চলবে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির বিপক্ষে একইভাবে সাইবার ওয়ার্ল্ডে আরও শক্তি নিয়ে, আরও নিজেদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে একাট্টা হয়ে, আরও প্রশিক্ষিত হয়ে, প্রশিক্ষিতভাবে আমরা এই যুদ্ধটা করব।

সাইবার ওয়ার্ল্ডে আওয়ামী লীগ আধুনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে যুদ্ধ লড়বে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, সাইবার ওয়ার্ল্ডে যে যুদ্ধ, এখানে যে প্রতিযোগিতা, অপপ্রচার মিথ্যাচার বিপক্ষে লড়াই, সেই জায়গাতে আওয়ামী লীগ আধুনিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে, নেতাকর্মীদের প্রস্তুত করে সে লড়াইয়ে আওয়ামী লীগ থাকবে। কারণ আওয়ামী লীগ যদি সে যুদ্ধে বিজয়ী হয় তাহলে সত্য বিজয়ী হবে। আওয়ামী লীগ যেতে বিজয়ী হয় তাহলে মুক্তিযুদ্ধের বিজয় হবে বাংলাদেশের বিজয় হবে। আওয়ামী লীগ যেতে হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশে থাকবে না। এটা আফগানিস্তান, পাকিস্তান হবে। এদেশে আবার জঙ্গিবাদের উত্থান হবে। তাই প্রত্যেকটা ক্ষেত্রেই আমাদের যুদ্ধটা করতে হবে, যুদ্ধটা চালিয়ে যেতে হবে।

এসময় আওয়ামী লীগ সাইবার যুদ্ধে অনেক ক্ষেত্রেই হেরে যায় বলে অনেকে সমালোচনা করে জানিয়ে তার জবাবে আওয়ামী লীগের এই সংসদ সদস্য বলেন, আমাদের প্রতিপক্ষরা খরা, বন্যা হলেই লকডাউনে চলে যায়। আর সারাক্ষণ লকডাউনে ঘরে বসে অপপ্রচার আর গুজব চালাতে থাকে। সে কারণে হয়তো আমাদের যতটুকু এনার্জি এবং রিসোর্স থাকে গুজবের বিপক্ষে লড়তে কষ্ট হয়। কিন্তু আরেকটা কথা হচ্ছে যারা গুজব ছড়ায় সেখানে গুজব, অসত্য, অপপ্রচারে অন্য ধরনের আসক্তি আছে। রিসার্চে দেখা গেছে এগুলো ছয়গুণ বেশি স্পিডে ছড়িয়ে যায়। কিন্তু সত্য নিয়ে যখন ফাইট করতে হয় তখন দেখা যায় ৫ গুণ বেশি এফোর্ট দিয়েও একধাপ পিছিয়ে থাকতে হয়। তাই আমাদের দশগুণ বেশি এফোর্ট দিয়ে লড়তে হবে।

এসময় জানানো হয়, ছাত্রলীগকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের একটি শক্তিশালী কুইক রেসপন্স টিম তৈরি করায় এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য। এর মধ্য দিয়ে বিভিন্ন জেলা, উপজেলা ও বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষিত টিম গঠন করা হবে। বিরোধীদলের অপ্রপচার, মিথ্যাচার ও গুজবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্মে এই টিম একটিভ থাকবে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের সামনে তুলে ধরবে

   

যে কারণে বিএনপি ছাড়লেন শাহজাহান ওমর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

কারামুক্তির পরদিনই অনেকটা নাটকীয়ভাবে বিএনপি থেকে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে ঝালকাঠি-১ আসনে নৌকার প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বীরউত্তম।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিজের আইন পেশার চেম্বারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আপালকালে শাহজাহান ওমর বলেন, এই মুহূর্ত থেকে আমি আর ‘বিএনপি ম্যান’ নই।

হঠাৎ করে দল বদল করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে শাহজাহান ওমর বলেন, আর কতবার নির্বাচনের বাইরে থাকব। এসময় তিনি বলেন, বিএনপির ২০১৪ সালের নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল।

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও বিএনপি যেন ভোটে আসে, সেজন্য কারাগারে দলের মহাসচি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য শীর্ষ নেতাদের বলেছেন বলে জানান তিনি। ওই সময় তারা ইতিবাচক মনোভাবও দেখিয়েছিলেন বলে দাবি শাহজাহান ওমরের।

বিএনপির ভোট বর্জনের নীতির সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করে দলটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, আর কতবার আমরা নির্বাচনের বাইরে থাকব? বিএনপির দোষ-গুণ বিবেচনার সামর্থ্য আমার নাই। আমি মনে করি, বিএনপির ২০১৪ সালে নির্বাচনে যাওয়া উচিত ছিল। ২০১৮ সালে যাওয়া মিসটেক ছিল এবং এবার যাওয়া উচিত ছিল।

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান ওমর বিএনপির টিকিটে ১৯৭৯, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে ৫ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

জোট সরকারের আমলে তিনি আইন প্রতিমন্ত্রী ও ভূমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির সদস্যপদ না পাওয়ায় এবং ঝালকাঠি জেলা বিএনপির নিয়ন্ত্রণ হারানোর কারণে তারেক রহমানের সঙ্গে তার দূরত্ব তৈরি হয়।

;

জোট আছে-থাকবে, আমি নৌকা নিয়েই নির্বাচন করব: নজিবুল বশর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) আসনের প্রার্থী তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান ও বর্তমান সংসদ সদস্য সৈয়দ নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী বলেছেন, জোটের সঙ্গে আসন সিদ্ধান্ত না হওয়ার কোন কারণই নাই, আমি জেনে শুনে কথা বলি, না জেনে কথা বলি না। জোট ছিল, জোট আছে, জোট থাকবে। তাছাড়া নৌকা নিয়ে আমিই নির্বাচন করবো এবং ১৪ দলীয় জোটের যারা শরিক তারা সবাই নৌকার প্রতিনিধি।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

নজিবুল বশর মাইজভান্ডারি বলেন, ফটিকছড়ি আসন জোটের আসন। আর জোট এখনো বহাল আছে। জোটের কয়েকটা দল ছাড়া সবাই নৌকা চাচ্ছে। এতোগুলো দলকে তো নৌকা দেওয়া সম্ভব না। নৌকার প্রার্থী এখনো কাউকে দেওয়া হয়নি, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নৌকার চিঠি আরেকটা পরে দেবে। সেই চিঠিতে আমরাই নির্বাচন করবো, ২০১৪ সালে করেছি, ১৮ সালে করেছি, ইনশাআল্লাহ ২৪ সালেও করবো।

তিনি আরও বলেন, ফটিকছড়ি আসনে আমার ভাইপোসহ যারা দাঁড়াচ্ছে, আমি আওয়ামী লীগের সনিকেও স্বাগত জানিয়েছি। নির্বাচনকে সামনে রেখে চিন্তা করলে হবে না। চিন্তা করতে হবে যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট কি। নির্বাচনের পরে সবচেয়ে বড় যুদ্ধ ৷ বহির্বিশ্বসহ বড় যুদ্ধ আসবে। তখন সেই যুদ্ধ আওয়ামী লীগ কি একা মোকাবিলা করবে নাকি জোট নিয়ে করবে। এটি বুঝতে হবে, তখন জোট না থাকলে আওয়ামী লীগ একা হয়ে যাবে। সুতরাং বাস্তবতার নিরিখে জোট থাকবে।

সৈয়দ নজিবুশ বশর মাইজভান্ডারি ২০১৪ সাল থেকে জোট সমীকরণে চট্টগ্রাম-২ আসন থেকে নৌকা প্রতীক নিয়ে টানা দুবার নির্বাচন করে জয়ী হয়েছেন। এবার আসনটিতে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খাদিজাতুল আনোয়ার সনি। যদিও তিনি ১০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন পেলেও জোটের কাছে ছেড়ে দিতে হয় আসনটি। এবারও অপেক্ষা জোটের সিদ্ধান্তের। অতীত হিসেব পর্যালোচনা করলে এবারও আসনটি জোটের শরিক তরিকতের নজিবুল বশরকে ছেড়ে দিতে হতে পারে।

একদিকে মনোনয়ন জমার শেষ দিন বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) পর্যন্ত আসনটি দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট ১৪ জন মনোনয়ন দাখিল করেছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

;

ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল



নিউজ ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল

ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের কিশোরগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ (সদর-হোসেনপুর) আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন গণতন্ত্রী পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে কিশোরগঞ্জ জেলা রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে গণতন্ত্রী পার্টির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন তিনি। মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেন রির্টানিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ।

ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সয়য় উৎসব মুখর পরিবেশে গণতন্ত্রী পার্টির কিশোরগঞ্জ জেলা কমিটির সহ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা গিয়াস উদ্দিন খান মিল্কি আরজু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী হাবিবুর রহমান মুক্তু, এডভোকেট পরিতোষ চক্রবর্তী মানিক, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা গাজী এনায়েতুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী আলমাস, সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট গৌরাঙ্গ সরকার, শাহজাহান আকন্দ, এডভোকেট অনুপম দেবনাথ, এডভোকেট রুপক রন্জন রায়, এডভোকেট শামছুন নাহার কাজল, এডভোকেট শিল্পী রাণী সাহা, এডভোকেট সুদীপ্ত সাহা দীপ, জেলা কমিটির সদস্য আবুল মনসুর লনু, দেলোয়ার হোসাইন নানক, সেলিম রেজা পিন্টু, মাসুদ মিয়া, মুক্তু মিয়া, এডভোকেট মদিনা বেগম, রশিদ মিয়া এবং তার স্ত্রী মানবাধিকার নেত্রী এডভোকেট মায়া ভৌমিকসহ শত শত নেতাকর্মী, সমর্থক শুভানুধ্যায়ী উপস্থিত ছিলেন।

;

'পেলে অনুগত, না পেলে স্বতন্ত্র এটা হতে পারে না'



উপজেলা করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, গৌরীপুর (ময়মনসিংহ)
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি বলেছেন, দলের প্রতি প্রধান শর্ত হলো আনুগত্য। কিন্তু পেলে অনুগত, না পেলে স্বতন্ত্র এটা হতে পারে না ভাই।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে দলীয় নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময় সভায় দলের বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) প্রার্থীদের প্রতি ইঙ্গিত তুলে এসব কথা বলেন তিনি।

নিলুফার আনজুম পপি বলেন, আমরা জানি নৌকা, বঙ্গবন্ধু এবং জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাদের শক্তি, আমাদের ঠিকানা, আমাদের আশ্রয়। যারা নৌকাকে, জননেত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করে কথা বলে, তারা কতটুকু নৌকাকে ভালোবাসে আমি আসলে তার প্রতি সন্দিহান।

গৌরীপুরকে নৌকার ঘাঁটি উল্লেখ করে নিলুফার আনজুম পপি বলেন, আমাদের গৌরীপুর থেকে প্রতিবার নৌকা বিজয়ী হয়। প্রার্থী যাই হোক না কেন, আমরা সেটা দেখি না। আমরা দেখি নৌকা, আমরা দেখি জননেত্রী শেখ হাসিনা। এতদিন আমরা সবাই আপনাদের সামনে এভাবে দাঁড়িয়ে কথা বলেছি। নেত্রী আমাদের জন্য যাকেই পাঠাবেন, তাকে নিয়েই আমরা সামনে এগিয়ে যাব।

এসময় নিলুফার আনজুম পপি নৌকাকে বিভাজিত না করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, প্রত্যেকেই যার যার জায়গা থেকে যেভাবে সম্ভব নৌকাকে, আপনাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে, আপনাদের জননেত্রীকে আবার সংসদে বসার সুযোগ দেন। আমাদের নিজেদের যে পবিত্র দায়িত্ব ভোটাধিকার সেটা পালন করব আমরা।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হেলাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে ও পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবু কাউছার চৌধুরী রন্টির সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন গৌরীপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি সৈয়দ রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি রুহুল আমিন, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবুল হাসিম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৩ গৌরীপুর আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পেতে ১৭ জন প্রার্থী দলীয় মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে জমা দেন। শেষ মুহূর্তে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন পান উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি।

;