নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন পালিয়ে যাচ্ছেন: শাহাদাত
ভোট এলো, এলো ভোটনৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে নগরীর আতুরার ডিপু বাজার এলাকায় সরকার পতনের একদফা দাবি ও ৭ জানুয়ারীর ডামি নির্বাচন বর্জনে অসহযোগ আন্দোলনের সমর্থনে জনমত তৈরির লক্ষ্যে গণসংযোগ ও লিফলেট বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান।
শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘বিএনপিবিহীন আসন ভাগাভাগির পূর্বনির্ধারিত ফলাফলের এই নির্বাচনে ভোটারদের ন্যূনতম আগ্রহ নেই। নৌকার প্রচার মাইকের আওয়াজ শুনলেই লোকজন সেখান থেকে পালিয়ে যাচ্ছেন। ভোটের উৎসবের বদলে চারিদিকে আতঙ্ক আর উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। চট্টগ্রাম এখন আওয়ামী সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ গণতান্ত্রিক বিশ্বকে তথাকথিত ভোটের উৎসব দেখানোর জন্য ভোটারদের নির্যাতন করছে। সাধারণ মানুষকে জোর করে মিছিলে যেতে বাধ্য করা হচ্ছে। এলাকা ছাড়া করার ভয় দেখানো হচ্ছে। পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রকে নামানো হয়েছে আমি আর ডামি’র পাতানো ভোটে। সরকারি কর্মকর্তারাও নৌকার পক্ষে ভোট চেয়ে প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন। কিন্তু এসব করেও তারা ভোটারের সাড়া পাচ্ছে না। জনগণ “আমি আর ডামি ভোট” প্রত্যাখান করবে।’
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘সরকারের সমর্থক ব্যক্তিদেরকে নিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করেছে সরকার। জনগণের প্রার্থী বাছাইয়ের কোনো সুযোগ নেই। যাকেই ভোট দেয়া হোক না কেন, তিনিই হবেন সরকারি দল সমর্থক ব্যক্তি। যেখানে জনগণের জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই এমন একটি নির্বাচনী খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। আমরা সে কারণেই জনগণের প্রতি নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়েছি। প্রহসনের নির্বাচন করে জনগণের প্রতিরোধে টিকে থাকতে পারবে না সরকার।’
তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী, গার্মেন্টস শ্রমিক, দোকানদার ও সাধারণ মানুষের মাঝে লিফলেট বিতরণ করে আসন ভাগাভাগির একতরফা ডামি নির্বাচন বর্জন করার আহ্বান জানান।
আবু সুফিয়ান বলেন, ‘যে সরকার জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়, ভোট দিতে দেয় না, নিত্য নৈমিত্তিক দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, দেশের সম্পদ লুটপাট করে। আমরা এমন সরকারকে অসহযোগিতা করতে দেশের জনগণের কাছে আহ্বান জানিয়ে শান্তিপূর্ণ অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। সরকারের শত নির্যাতন নিপীড়নের পরেও আমরা জনগণের অধিকার আদায়ের জন্য ত্যাগ স্বীকারে প্রস্তুত আছি।’
এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সাবেক সহসাধারণ সম্পাদক জি এম আইয়ুব খান, বায়েজিদ থানা বিএনপির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল হারুন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাদের জসিম, জালালাবাদ ওয়ার্ড় বিএনপির সভাপতি মো. বেলাল, পাঁচলাইশ ওয়ার্ড় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এস এম আবুল কালাম আবু, থানা বিএনপির সহ সভাপতি মফজল আহমেদ কোম্পানি প্রমুখ।