ইফতার মাহফিল নিয়ে 'প্রশ্ন' দেশের মানুষ গ্রহণ করবে না: আমীর খসরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: বার্তা ২৪.কম

ছবি: বার্তা ২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ইফতার মাহফিল নিয়ে প্রশ্ন উঠবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। একই সঙ্গে তিনি গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে বলে জানান।

মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) বিকালে কাজীর দেউরীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে পবিত্র মাহে রমজান ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের পরিচালনায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার, এস এম ফজলুল হক, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির শ্রম সম্পাদক এ এম নাজিম উদ্দিন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল উদ্দীন মজুমদার, ভিপি হারুনুর রশীদ, দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সুফিয়ান, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরী, তারিকুল ইসলাম তেনজিং।

এতে বিগত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ থেকে শুরু করে ৭ জানুয়ারী ডামি নির্বাচন পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির ৭০০ জন কারানির্যাতিত নেতাকর্মী ও স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মাননা প্রদান করা হয়।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দল, পেশাজীবি, সুশীল সমাজ, কৃষক ও শ্রমিকের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া গণঐক্যকে সামনে নিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটানো হবে।

দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল হবে কি হবে না সেটা এখন প্রশ্ন করা হচ্ছে। কোন দেশে আছি চিন্তা করেন, ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছতাসাধন করতে হবে। লাখ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। ব্যাংক খালি হয়ে যাচ্ছে। দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। মানুষ দুবেলা খেতে পারছে না। আর ইফতার মাহফিলে নাকি কৃচ্ছতাসাধন করতে হবে। এ জন্য আমি বলেছি ইফতার মাহফিল বেশি বেশি করতে হবে। প্রতিদিন করতে হবে। প্রতিটি এলাকায় করতে হবে।

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশে ইফতার মাহফিল নিয়ে প্রশ্ন উঠবে সেটা বাংলাদেশের মানুষ গ্রহণ করবে না। গরুর মাংস সরবরাহ করা যাবে না বলেও অনেক জায়গায় নোটিশ দেওয়া হচ্ছে। চিন্তা করে দেখেন বাংলাদেশ কোথায় গিয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক অধিকার, গণতান্ত্রিক অধিকার সব তো কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এখন আমার খাওয়া দাওয়ার অধিকারও কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। আমি গরুর মাংস খাবো নাকি ইফতার খাবো সেটাও তাদের সিদ্ধান্ত দিতে হবে কেন?

আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের মানুষের দৈনন্দিন জীবনের ধর্মীয় অনুভূতি, খাওয়া দাওয়ার মধ্যে হাত দিতে গেলে অসুবিধে আছে। বাংলাদেশের মানুষ এটা গ্রহণ করবে না। আজ ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস। বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রথম ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি, যার ডাকে বাংলাদেশের মানুষ উজ্জীবিত হয়ে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে যার যা ছিল হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল।

আর যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে তাদের বেশিরভাগ লোক ভারতে পালিয়ে গিয়েছিল সেদিন। যুদ্ধক্ষেত্রে ছিল বাংলাদেশের সৈনিক, যুবক ও মুক্তিকামী যোদ্ধারা। জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে শুধু শেষ করেননি। সম্মুখ সারিতে যুদ্ধ করে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে তরান্বিত করেছে। আজ কেন মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা হয়েছিল? মূল বিষয় ছিল গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে হানাদার বাহিনী এ দেশকে দখল করেছিল বিধায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ হয়েছিল সেদিন। স্বাধীনতার এত বছর পরে সব অধিকার আজ ভুলুন্ঠিত হয়েছে। গত তিন থেকে চারটি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ ভোট দিতে পারেনি।

৭ জানুয়ারি নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ৭ জানুয়ারি তো কোনো নির্বাচন হয়নি, হয়েছে গণভোট। বিএনপির পক্ষ থেকে ডাক দেওয়া হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ যাতে নির্বাচনে না যায়। সেদিন বাংলাদেশের ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে গণভোটে শেখ হাসিনার ফ্যাসিস্ট সরকার ও তার নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রত্যাখান করেছে। সুতরাং এ গণভোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষ তাদের অবস্থান আবার পরিষ্কার করেছে। তারা এ ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিদায় করতে চায়। তারা তাদের ভোটাধিকার ফিরে পেতে চায়। গণতান্ত্রিক ও রাজনৈতিক অধিকার ফিরে পেতে চায়। গণমাধ্যমের অধিকার ফিরে পেতে চায়। ৯৫ ভাগের বেশি মানুষ সেদিন জনগণের পক্ষে অবস্থান নিয়েছে। পাঁচ শতাংশেরও কম মানুষ শেখ হাসিনার পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

বাংলাদেশে নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ক্ষমতা দখলের মধ্যে দিয়ে কেউ যদি মনে করে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছে তাহলে তারা ভুল। আসলে আন্দোলন আঘাতপ্রাপ্ত হয়নি। আন্দোলন আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে। দেশে ও বিদেশে সমস্ত গণতান্ত্রিক শক্তি আজ ঐক্যমত হয়েছে। বাংলাদেশে একটি নির্বাচনের সরকার না হওয়া পর্যন্ত এ আন্দোলন অব্যহত থাকবে।

আমীর খসরু বলেন, বিদেশীদের অভিনন্দন জানানোর অর্থ মানে এ নয় তারা নির্বাচনকে গ্রহণ করেছে। নির্বাচনের পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন, আমেরিকা, জাতিসংঘসহ সকল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষ্কারভাবে বলেছে এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য নয়। দ্বিপাক্ষিক রাষ্ট্রের সঙ্গে রাষ্ট্রের সম্পর্ক থাকবে। ব্যবসা বাণিজ্য ও বিনিয়গ থাকবে। সেটার সঙ্গে অবৈধ সরকারকে গ্রহণ করার বিষয় এক নয়।

এতে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, যুগ্ম আহবায়ক মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, এড. আবদুস সাত্তার, সৈয়দ আজম উদ্দীন, এস এম সাইফুল আলম, এস কে খোদা তোতন, নাজিমুর রহমান, শফিকুর রহমান স্বপন, কাজী বেলাল উদ্দিন প্রমুখ।

   

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে: সালাম



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে জিয়া প্রজন্মদল কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে আয়োজিত বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি'র যুগ্ন-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এবং বিএনপি'র সহ যুব বিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ-এর সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি কথা এ বলেন।

তিনি বলেন, জনগণের ভোট ছাড়া এদেশে কোনো নির্বাচিত সরকার ও জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে না। যতদিন পর্যন্ত জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠিত না হবে ততদিন পর্যন্ত দেশে লুটপাট এবং মানুষের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হতে থাকবে। আমাদের দাবি হলো, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশে জাতীয় নির্বাচন দিতে হবে।

আব্দুস সালাম বলেন, দেশের মানুষ আজকে দুই ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। সুবিধাবাদী, চোর, ডাকাত, লুটেরা এবং অবৈধ সম্পত্তির মালিক যারা আছেন তারাই একমাত্র আওয়ামী লীগের পক্ষে আছে। অন্যদিকে খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ এখন আর আওয়ামী লীগের পক্ষে নেই।

বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং কিছু কিছু দলকে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এখনও সময় আছে আপনারা তাড়াতাড়ি সাধারণ মানুষের সঙ্গে এসে সংহতি প্রকাশ করুন।

আব্দুস সালাম বলেন, আমাদের লড়াই শুধু খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের একার জন্য লড়াই নয়, এই লড়াই হলো আপনার-আমার সবার। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিএনপি রাজপথে আছে। বিএনপি জোর করে ক্ষমতায় যাবে না, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েই বিএনপি ক্ষমতায় যাবে।

জিয়া প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট পারভিন কাউসার মুন্নির সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক এস.এম নাসির উদ্দীনের সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপি'র স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর শরফত আলী সপু, বিএনপির স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা, বিএনপির সহ- প্রচার বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, জিয়া প্রজন্ম দল কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব মো. সারোয়ার হোসেন রুবেল প্রমুখ।

;

বিরোধী দলহীন সংসদ বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে: রিজভী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

জাতীয় সংসদ এখন একদলীয় বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিরোধী দলহীন সংসদ একটি বিনোদনের জায়গায় পরিণত হয়েছে।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে মিরপুর পল্লবীতে তীব্র গরমে সাধারণ মানুষের মাঝে পানি বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী বলেন, বিএনপির নেতা কর্মীদের ওপর নির্যাতন, জেল, হত্যা, গুম করা হয়েছে। কিন্তু কখনো তারা সমাজসেবা থেকে সরে আসেনি। বিএনপির নেতারা জেল থেকে বেরিয়ে এসে ভুলে যায় না জনগণকে। আবারও তারা রাস্তায় নেমে জনগণের জন্য কাজ করে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা তার নেতাকর্মীদের মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে চলতে বলেছেন। শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবের আদর্শ তো ছিল এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা চালু করা। বাকশাল গঠন। আপনি (শেখ হাসিনা) ১৬-১৭ বছর ধরে যে বাকশাল করছেন। দিনে দিনে ভয়ংকর হয়ে উঠেছেন। আবার বাবার আদর্শে নেতা কর্মীদের নির্দেশনা দিচ্ছেন। তাতে তো আরও ভয়ংকর হবে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ঢাকার বাইরে ৫৩ শতাংশ জায়গায় বিদ্যুৎ নাই। মানুষ মুরগির মত ছটফট করছে। উন্নয়ন উন্নয়ন করে দেশটাকে মৃত্যু উপত্যকা বানাচ্ছে আওয়ামী লীগ। কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ফলে দক্ষিণের বেশ কিছু জেলায় ফসল উৎপাদন কমে গেছে। পাবনা কুষ্টিয়ার মানুষ বিপদে আছে। একটি ছোট দুর্ঘটনা ঘটলে এক সঙ্গে অনেক মানুষ মারা যাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে শত শত দুর্নীতির নথি আছে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। কিন্তু কেন?

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক ফরহাদ আলী ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হকসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে ক্ষমতায় যাওয়া বিএনপির দুরভিসন্ধি: কাদের 



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপির দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল ৮টায় ঐতিহাসিক শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ফজলুল হকের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি দাসত্ব করে ক্ষমতা পাওয়ার জন্য, ক্ষমতায় থাকার জন্য। জনগনের সমর্থন কে তারা মূল বিষয় হিসেবে মনে করে না। বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করলে ক্ষমতায় যাওয়া যায়। তাদের এখনো তাদের দুরভিসন্ধি হচ্ছে বিদেশি প্রভুদের দাসত্ব করে কিভাবে ক্ষমতায় যাওয়া যায়।

বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল মনে করি না উল্লেখ করে তিনি বলেন, তাদের ইতিহাসে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কোন নজির নেই। তারা গণতন্ত্র কে হত্যা করেছে, প্রহসনে পরিণত করেছে। গণতান্ত্রিক বিধিবিধান তারা দলের মধ্যেও কোন দিন মানেনি। তারা বড় বড় কথা বলে, তারা কবে দলীয় কাউন্সিল করেছে? তারা কোথায় দলীয় কাউন্সিল করেছে? ৭-৮ বছর আগে লা মেরিডিয়ান কেন্দ্রীয় কমিটির মিটিং হয়েছে। ৫০১ জনে জাম্বু জ্যাম মার্কা কমিটি। যাদের নিজেদের ঘরে গণতন্ত্র নেই তারা দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে পারে না।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যারা রাজনীতিকে নিয়ে গিয়েছিলেন তাদের মধ্যে জাতীয় নেতা শেরে বাংলা ছিলেন অন্যতম। সাধারণ মানুষকে স্বাধীনতার মন্ত্রে উজ্জীবিত করেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। শেরে বাংলা কে গ্রাম বাংলার কৃষকরা কোনদিনও ভুলতে পারবে না। তিনি চিরদিন তাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। প্রজাসত্ব ও ঋণ সালিশি বোর্ড গঠন করে সুদখোর মহাজনদের অত্যাচার থেকে রক্ষা করেছেন। তিনি সে জন্য এখনো স্মরণীয় হয়ে আছেন।

আজকের দিনের অঙ্গীকার তাদের স্বপ্ন পূরণ মন্তব্য করে তিনি বলেন, আজকে আমাদের অঙ্গীকার, বঙ্গবন্ধু, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা ভাসানী, শেরে বাংলা একে ফজলুল হক অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গঠন করা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমরা লড়ে যাচ্ছি মানবিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে। সেটাই শেরে বাংলা একে ফজলুল হক এর স্বপ্ন এবং সেটা আজকে আমাদের অঙ্গীকার।

;

দেশের জন্য কাজ করতে আ. লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ড আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধিদল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তার অবস্থানকালীন আবাসস্থলে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এই আহ্বান জানান।


নেতাকর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আপনাদেরকে দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নেতাকর্মীদেরকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতাকে অকালে হত্যা করা হলেও তার আদর্শ আমাদের মাঝে রয়ে গেছে। এজন্য আমি তার আদর্শ বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।’ বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র ও দুস্থ মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

বিগত ১৫ বছরে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি ও উন্নয়নের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা (তার দল) দীর্ঘদিন ধরে নিরবচ্ছিন্নভাবে ক্ষমতায় থাকায় এই অগ্রগতি অর্জন করা সম্ভব হয়েছে।

নেতাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রীকে জানান, অনেক বাংলাদেশি থাইল্যান্ডের নাগরিকত্ব গ্রহণ করলেও দ্বৈত নাগরিকত্ব রাখতে আগ্রহী। দ্বৈত নাগরিকত্ব বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ চেয়েছেন তারা।

জবাবে এ বিষয়ে থাই সরকারের সঙ্গে কথা বলবেন বলে আশ্বাস দেন প্রধানমন্ত্রী।

সূত্র-ইউএনবি

;