রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার: কাদের

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের/ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজাকারের চেতনা যারা ধারণ করে তারাও রাজাকার বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

সোমবার (১৫ জুলাই) দুপুরে ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ডাকা এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

কাদের বলেন, গতকাল (১৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনে প্রদত্ত বক্তব্য আন্দোলনের নেপথ্যে নেতা, মতলববাজ, কুশিলবরা স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বিকৃত করেছেন। প্রধানমন্ত্রী সংবাদ কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছেন, কোটা সুবিধা মুক্তিযোদ্ধার নাতি-পুতিরা পাবে না তো রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে! একথা তিনি যথার্থই বলেছেন।

তিনি বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের রক্তস্নাত দেশে রাজাকারের আইন হতে পারে না। দৃঢ়তার সঙ্গে বলতে চাই, মহান মুক্তিযুদ্ধ, বীর মুক্তিযুদ্ধাদের কোনো অপমান বাঙ্গালী জাতি সহ্য করবে না। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় পরাজিত অপশক্তির কোনো রকম আস্ফালন আমরা মেনে নিবো না।

বিজ্ঞাপন

সেতুমন্ত্রী বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা বা বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মী বেঁচে থাকতে শেষ রক্তবিন্দু পর্যন্ত পরাজিত অপশক্তির অপতৎপরতা প্রতিরোধ করা হবে। যে ছাত্ররা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষকদের মহান আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল না, নিজেদের রাজাকার পরিচয় দিতে গৌরববোধ করে তাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী পরিচয় দিতে লজ্জাবোধ করে না?

যারা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মূল প্রতিজ্ঞাকে অবজ্ঞা করে তারা কিভাবে মেধাবী হয় প্রশ্ন রেখে কাদের বলেন, তারা কিভাবে জাতি কিংবা ছাত্র সমাজের আকাঙ্খাকে ধারণ করে?

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের অধিকাংশ শিক্ষার্থী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে ববঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনা করছি। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে যে কোনো অপশক্তিকে আমরা কঠোরভাবে প্রতিরোধ করবো। এটাই আমাদের অঙ্গীকার।

আন্দোলনের নামে জন জীবনে কোনো রকম দুর্ভোগ মেনে নিবো না মন্তব্য করে সেতুমন্ত্রী বলেন, জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে কোনো সভা সমাবেশ আমরা মেনে নিতে পারি না। ইতোমধ্যে লক্ষ্য করছি, এই আন্দোলনের কুশিলব জামায়াত-বিএনপিসহ অপশক্তির স্বরুপ উম্মোচিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সকলকে মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির আস্ফালনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আহবান জানাচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রীকে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দৃষ্টতা কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, অবশ্যই দৃষ্টতা, এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এটা অডাসিটি অফ হায়েস্ট অর্ডার!

প্রধানমন্ত্রীকে বক্তব্য প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছে আন্দোলনকারীরা এমন প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, এটা চরম দৃষ্টতা।

গতকাল রাতে ছাত্ররা নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান দেয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোটা বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কতিপয় নেতারা যে সব বক্তব্য রেখেছে তার জবাব দেয়ার জন্য ছাত্রলীগসহ যারা তাদের আত্মস্বীকৃত রাজাকার, যারা নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে তার জবাব তারাই দিবে। ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমিত থাকবে। আমরা দেখি রাজনৈতিকভাবে কারা প্রকাশ্যে আসে, তখন দেখা যাবে। আমরাও মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।