‘সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি’



শিহাবুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তা২৪

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ফল প্রত্যাখ্যান করে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছে বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। সংসদে না যাওয়ার কথাও বারবার বলে আসছিলেন জোটের নেতারা। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিএনপির চার নেতা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন।

এর মধ্য দিয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়া জোটের সাতজন সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিলেন এবং যথারীতি সংসদ অধিবেশনে যোগও দিয়েছেন। এমনকি সংসদে বক্তব্যও দিয়েছেন।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, একাদশ সংসদ নির্বাচন কলঙ্কিত, সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য। নির্বাচন বাতিল করে অবিলম্বে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানায় দলটি। দাবি আদায় না হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় তারা।

শুধু তাই নয়, পুনরায় নির্বাচন না দিলে বিএনপি আন্দোলনে যাবে বলেও হুমকি দেন বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। তবে গত চার মাসে দলটির সেই হুমকি শুধু প্রতিধ্বনি হয়েই ফিরে গেছে। কার্যত মাঠে কোনো আন্দোলনের লেশমাত্রও ছিল না। বেশিরভাগই ছিল শুধু খালেদা জিয়া ও কারাবন্দী নেতাদের মুক্তি এবং তারেক রহমান বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচি, প্রতীকী অনশন ইত্যাদি।

নির্বাচনের পরই, বিএনপির নির্বাচিতরা সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেবেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, 'আমরা তো নির্বাচনের ফলাফলই প্রত্যাখ্যান করেছি। নতুন নির্বাচনের দাবি করেছি। ফলে সংসদে যোগ দেওয়ার প্রশ্নই আসে না।'

জাতীয় নির্বাচনকে চ্যালেঞ্জ করে 'ভোট ডাকাতি' ও 'কারচুপি'র অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে মামলা করেছেন বিএনপির শতাধিক প্রার্থী, যা এখনো চলমান। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গত ২২ ফেব্রুয়ারি দিনভর গণশুনানি করে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট, যার রায়ও এখন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি।

গণফোরাম থেকে নির্বাচিত সুলতান মোহাম্মদ মনসুর গত ৭ মার্চ সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। এর প্রতিক্রিয়ায় মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, 'সুলতান মোহাম্মদ মনসুর নিজেকে জনগণের সামনে অত্যন্ত ছোট করে ফেলেছেন, ক্ষুদ্র করে ফেলেছেন। জনগণের প্রতিনিধি ছাড়া একটি পার্লামেন্টে গিয়ে তিনি জাতির সঙ্গে প্রতারণা ও খারাপ একটি কাজ করেছেন। গর্হিত কাজ করেছেন। এজন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’

দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে গত ২৫ এপ্রিল ঠাকুরগাঁও-৩ আসন থেকে নির্বাচিত বিএনপি নেতা জাহিদুর রহমান সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নেন। এরপরই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে হাইকমান্ড।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Apr/30/1556635963545.jpg

তার শপথের পরপরই বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে বলেন, 'দেশনেত্রীকে (খালেদা জিয়া) জেলে রেখে কেউ যদি সংসদ সদস্য হিসবে শপথ নেয় তাহলে তারা জাতীয়তাবাদী শক্তির পক্ষে থাকতে পারে না, তারা গণদুশমন। আমাদের দলের সিদ্ধান্ত আমরা পার্লামেন্টে যাব না, দলের সিদ্ধান্ত যে অমান্য করবে সে আমাদের দলের লোক হবেন না। এরপরও শপথ নিলে জনগণের থুতুতে তারা ভেসে যাবেন।’

২৭ এপ্রিল এক অনুষ্ঠানে বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, বিএনপি একটা বড় বটগাছ, এখান থেকে দুএকটা পাতা ঝরে গেলে কিছু আসে যায় না। আমাদের সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ কোনো পদক্ষেপ নিলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেবে দল। তাতে দলের কোনো ক্ষতি হবে না।'

নির্বাচন প্রত্যাখ্যান, 'ভোট ডাকাতি' ও 'কারচুপির' অভিযোগে গণশুনানি, কূটনীতিকদের সঙ্গে বৈঠক করে নালিশ জানানো, আন্দোলনের হুমকি দিয়ে মাঠে না নামা, দলের নেতাকে বহিষ্কার, রাজনৈতিক বক্তব্যের ফুলঝুরি সব কিছুকে ঢাকনাবন্দী করে শপথ নিল বিএনপি। দলের পক্ষ থেকে মির্জা ফখরুল জানালেন দলের হাইকমান্ড ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সিদ্ধান্তেই সংসদে যাওয়া। তবে মির্জা ফখরুল নিজে শপথ নেবেন কি-না বা নিতে পারবেন কি-না, তা এখনো নিশ্চিত না।

গ্রাম্য শ্লোকের মতো এখন মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, 'সেই তো নথ খসালি, তবে কেন লোক হাসালি'। অর্থাৎ বিএনপির দাবি করা সেই 'কলঙ্কিত-অগ্রহণযোগ্য' নির্বাচনে নিজেদের বিজয়ী ভেবে শেষ পর্যন্ত সংসদে গেল। 'বর্তমান সংসদের কেউ নির্বাচিত নয়', 'আওয়ামী লীগ ভোট ডাকাতি করে ক্ষমতায় এসেছে', 'প্রধানমন্ত্রী অবৈধ' এসব কথার কি কোনো ভিত্তি থাকবে? যদি নাই থাকে তাহলে এতো কিছু করার কী দরকার ছিল? পর্দার আড়ালে যদি কোনো সমঝোতা হয়েই থাকে তাহলে সেটা অনেক আগেই কি করা সম্ভব ছিল না? ৯০ কর্মদিবসের শেষ দিন এসেই বা কেন আগের সিদ্ধান্ত থেকে সম্পূর্ণ 'ইউ টার্ন' নিয়ে সংসদে যোগ দিতে হলো। সাধারণ মানুষ ভাবতেই পারে যে, এর মাধ্যমে বিএনপি বর্তমান সংসদ ও সরকারকে বৈধতা দিয়ে দিল।

তবে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন রয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিনিময়েই বিএনপির সংসদ সদস্যরা শপথ গ্রহণ করেছেন। খুব দ্রুতই খালেদা জিয়া কারাগার থেকে মুক্তি পাবেন, জামিনে সরকারের আইনজীবীরা বাধা দেবেন না। হতাশাগ্রস্ত নেতাকর্মীরা কিছুটা হলেও উজ্জীবিত হবেন সেই প্রত্যাশা নিয়েই তারেক রহমান এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

আরও পড়ুন: কার নির্দেশে শপথ নিলেন না ফখরুল?

   

দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত: চুন্নু



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ ও জাতীয় পার্টি (জাপা) মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থেকে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে। দেশের মানুষ বর্তমান সরকারের ওপর বিরক্ত।

শনিবার (১৮ মে) জাপার বনানী কার্যালয়ে জাতীয় পেশাজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় এ মন্তব্য করেন।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি’র ওপর মানুষ আস্থা রাখতে পারছে না। কারণ, আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপি সফল হতে পারছে না। এই দুটি দলের বিকল্প হিসেবে সাধারণ মানুষ জাতীয় পার্টিকে বেছে নিতে চায়। আগামী দিনে জাতীয় পার্টির উজ্জল ভবিষ্যত আছে। তাই, জাতীয় পার্টিকে আরো শক্তিশালী করতে হবে।

পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডাঃ মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান আকাশের সভাপতিত্বে সভা পরিচালনা করেন সদস্য সচিব ডাঃ রাকিব। পেশাজীবী পরিষদের লেহাজ উদ্দিন, সাংবাদিক নিশাত শাহরিয়ার, অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম, মোঃ নুরুজ্জামান, সোয়াইব ইফতেখার, ডাঃ মোঃ আজীজ বক্তব্য রাখেন।

উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মোঃ খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান সুলতান আহমেদ সেলিম, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মন্ডল মানিক, কেন্দ্রীয় সদস্য শেখ মোঃ আবু ওয়াহাব।

;

সরকার বয়কটে ইসরায়েল-ভারতের পণ্য বয়কট হবে: আলাল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ‘ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য’ মন্তব‌্য করে বিএনপি'র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মুয়াজ্জিন হোসেন আলাল বলেছেন, এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েল ও ভারতের পণ্যকে বয়কট করা হবে। তাই, এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

শনিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘বাংলাদেশ সিভিল রাইটস সোসাইটি’-এর উদ্যোগে ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার প্রতিবাদে এক নাগরিক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আলাল বলেন, ‘দ্য হিন্দুস্থান টাইমস’-এ একটি খবর দেখলাম, ভারত থেকে ইসরায়েলকে দেওয়া অস্ত্র বহর ইউরোপের একটি দেশ স্পেন তাদের বন্দরে রাখার অনুমতি দেয়নি। তারা ফেরত পাঠিয়ে দিয়েছে সেই জাহাজকে।

একই সঙ্গে ইউরোপের অন্যান্য দেশকেও স্পেন বলেছে, ইসরায়েলকে সমরাস্ত্র দেওয়া বন্ধ করতে হবে এবং তারা নিজেরাও বন্ধ করেছে। অথচ আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ যেখানে লাখ লাখ মানুষ রক্ত দিয়ে একটি মানচিত্র অর্জন করেছে, সেখানে ইসরায়েলের থাবা প্রায় বসেছে। তা না হলে রাতের বেলায় গোপনে ইসরায়েল সংস্থার বিমান কীভা‌বে অবতরণ করে! ভারত থেকে ইসরায়েলকে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে, সমর্থন করা হচ্ছে। স্পেনের মতো একটি দেশ এর প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু আমরা প্রতিবাদ করছি না!

তিনি বলেন, ভারত এত বড় আমাদের প্রতিবেশী একটি রাষ্ট্র অথচ ধীরে ধীরে বাংলাদেশের জনগণের মন থেকে তারা উঠে গেছে। ফেলানি তো কোনো মাদকের সঙ্গে জড়িত ছিল না অথচ তার লাশ কাঁটাতারে ঝুলেছে। তাকে কেন কাঁটাতারে ঝুলতে হয়েছিল! প্রতিদিন ‘গরু পাচারকারী’ আখ্যা দিয়ে অসংখ্য মানুষকে হত্যা করা হচ্ছে, যেটা বিশ্বের অন্যান্য দেশের সীমান্তে হয় কি না আমাদের জানা নেই, একই অবস্থা আজ ইসরায়েল করছে ফিলিস্তিনিদের ওপর!

যুবদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, মিয়ানমারের গণহত্যার বিপক্ষে আমাদের পক্ষে গাম্বিয়ার মতো দেশ আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারে, তাহলে আমরা কেন আজ ফিলিস্তিনের পক্ষে আন্তর্জাতিক আদালতে বাদী হতে পারবো না! আজ এ সরকার ভারতকে তোষামোদ করে নিজে ক্ষমতায় থাকার জন্য বিশ্বের সব মানবতাকে তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিচ্ছে। সুতরাং, আমরা মনে করি, ইসরায়েল ও ভারতের পণ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার। এই সরকারকে যদি বয়কট করা যায়, তাহলে ইসরায়েলকে পূর্ণ বয়কট করা হবে; ভারতীয় পণ্যকেও বয়কট করা হবে। এই আওয়ামী লীগ সরকারকে বয়কট করাই হচ্ছে, এখন সবচাইতে বড় কাজ।

এ সময় সংগঠনটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

;

সরকারের ধারাবাহিকতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা ২৪

ছবি: বার্তা ২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতায় দেশে এতো উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শনিবার (১৮ মে) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা একটা কথা কেউ বলি না, আজকের বাংলাদেশের এতো উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি কেন? সরকারের ধারাবাহিকতা এবং স্থায়িত্বতার কারণে। এর কারণেই বাংলাদেশের এত উন্নয়ন ও অর্জন সম্ভব হয়েছে। এই কারণে বিশ্বের বিস্ময়ে রূপান্তরিত হতে পেরেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অতি আপনজন এই দেশের জনগণ। হতাশা কবলিত বাংলাদেশে জনগণের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন।

 সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।

;

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করেছেন এটা সত্যি নয়: কাদের



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

  • Font increase
  • Font Decrease

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয় বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

শুক্রবার (১৭ মে) বিকালে তেজগাঁওয়ের জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪৪তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান পঁচাত্তরের পর আমাদের বিভিন্ন সামরিক বাহিনীর ১১শ' অফিসারকে নাস্তা খেতে খেতে ফাঁসি দিয়েছিলো।

ওবায়দুল কাদের বলেন, অনেকে বলেন বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা বিরোধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন, এটা সত্যি নয়। ১১ হাজার স্বাধীনতা বিরোধী কারাগারে ছিলো, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় এসে এদের মুক্তি দিয়েছিলো। যার মধ্যে মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত ছিলো ৭১৩ জন। এদের মুক্তি দিয়েছিলো জিয়াউর রহমান। এই ইতিহাস ভুলে গেছেন? কথায় কথায় আজকে বলেন, কারাগার। আমি কি মিথ্যা বলেছি? জিয়াউর রহমান কি করেছিলো এর প্রমাণ আছে।

বিএনপি ২৮ অক্টোবর পালিয়ে গিয়ে এখন বেসামাল হয়ে এখন প্রতিনিয়ত আওয়ামী লীগকে আক্রমণ করছে উল্লেখ করে কাদের বলেন, আমি তাদের বলতে চাই, মুক্তির কথা বলেন, লজ্জা করে না? জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগ সহ অন্যান্য দলের ৬২ হাজার নেতাকে জেলে রেখেছিলো। আপনাদের কতজন নেতা জেলে আছে? ৩ হাজার আমাদের নেতাকর্মীর ও সরকারি অফিসারদের গুম করেছিলেন জিয়াউর রহমান।

আমাদের নাকি প্রতিবেশী দেশ নিয়ন্ত্রণ করে, ফখরুল সাহেব শেখ হাসিনাকে কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। আমাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি জয় বাংলার চেতনা। দেশি বিদেশি কোন শক্তি নয়। আমাদের নিয়ন্ত্রণ করে দেশের জনগণ, সংবিধান। এই সংবিধানের বাইরে আমরা যাবো না।

যত ষড়যন্ত্র করুক, বিদেশি শক্তির নামে হুমকি ধমকি দিতে পারেন। তিনি কোন বিদেশি শক্তির পরোয়া করেন না, শুধু বাংলাদেশের জনগণকে পরোয়া করেন।

শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন এর কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পৃথিবীর সূর্য, আশার বাতিঘর, স্বপ্নের ঠিকানা শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের গত ৪৪ বছরে সবচেয়ে সাহসী রাজনীতিকের নাম শেখ হাসিনা। গত ৪৪ বছরের সবচেয়ে বিচক্ষণ, সবচেয়ে দক্ষ প্রশাসক, সবচেয়ে জনপ্রিয়, সবচেয়ে সফল কূটনীতিক এর নাম শেখ হাসিনা।

এসময় আরও বক্তব্য রাখেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, হাছান মাহমুদ, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রাজ্জাক, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, এড. কামরুল ইসলাম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দীন নাছিম, ডা. দীপু মনি, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোঃ আবদুস সবুর, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।

;