সিদ্ধান্তহীনতার চেয়ে ভুল সিদ্ধান্ত ভালো: গয়েশ্বর



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: বার্তা২৪

ছবি: বার্তা২৪

  • Font increase
  • Font Decrease

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ীদের সংসদে যাওয়া প্রসঙ্গে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, রং ডিসিশন ইজ বেটার দ্যান ইনডিসিশন (ভুল সিদ্ধান্ত সিদ্ধান্তহীনতার চেয়ে ভালো)। যেহেতু তারা সংসদে চলে গেছে, দেখা যাক তাদেরকে কতটা স্পেস দেওয়া হয়। কতটা কথা বলার সুযোগ পায়। আমরা এসব নিয়ে আর কোনো কথা বলতে চাই না।

সোমবার (৬ মে) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তি ও তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারামুক্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী কয়েকদিন আগে লন্ডনে বললেন- তারেককে (বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান) বাড়াবাড়ি করতে না করো। নইলে ওর মাকে আমি বন্দী করে রাখব। তার মানে, আইনের কারণে নয়, আদালতের কারণে নয়, শেখ হাসিনার ইচ্ছায় খালেদা জিয়াকে সারাজীবন কারাগারে থাকতে হবে।'

বিএনপি নেতা বলেন, 'আমাদের আইনজীবীরা অনেকদিন পর ত‍্যক্ত-বিরক্ত হয়ে বা চেষ্টা করেই বলছেন- আইনি প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার জামিন বা মুক্তি সম্ভব নয়। আমাদের আন্দোলন করতে হবে। কিন্তু এই কথাগুলো আইনজীবীরা কখন বলছেন? আইনের বইয়ে আছে, ফাঁসির আসামি ছাড়া সবাই এই মামলায় জামিন দেয়, যখন আপিল গ্রহণ করে।'

গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, 'এখন আমি যদি বলি, আদালতের হাত পা বাঁধা। আদালত সরকারের কথায় জামিন দেবেন না। তাহলে আদালত বলবেন, আপনি আদালত অবমাননা করছেন। আমি বিচার বিভাগের বিচারপতিদের প্রতি সবিনয় নিবেদন করব- একজন কারাবন্দীকে আজীবন থাকতে হবে। এই উক্তি যখন একজন প্রধানমন্ত্রী প্রকাশ‍্যে দেয়, তাকে একটু আদালতে ডেকে জিজ্ঞেস করতে পারেন, হু আর ইউ? আপনি কে সিদ্ধান্ত দেওয়ার? জিজ্ঞেস করতে পারেন? পারবেন না। বরং এমন হতে পারে, আমাকে ডেকে জিজ্ঞেস করা হতে পারে, আপনি প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে কেন কথা বলেছেন?’

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মুক্তিযোদ্ধা ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল, নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলম, অভিনেত্রী শায়লা প্রমুখ।

   

কী থাকছে বিএনপির বুধবারের কর্মসূচিতে



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম
ছবি: বিএনপির লোগো

ছবি: বিএনপির লোগো

  • Font increase
  • Font Decrease

বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির আইনী লড়াইয়ে পরাজিত বিএনপি রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। বিক্ষোভ মিছিল, প্রতিবাদ সমাবেশের কর্মসূচি দিতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।

বুধবার (২৬ জুন) নতুন কর্মসূচী ঘোষণা করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। এ উপলক্ষে বুধবার বেলা ১২টায় রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভা ডাকা হয়েছে। ২৫ জুন সাংবাদিক সম্মেলনে রাজপথ বেছে নেওয়ার ঘোষণা দিলেও কর্মসূচির বিষয়ে মুখ খোলেন নি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। কী থাকছে বিএনপির কর্মসূচিতে জানতে জনগণের আগ্রহের কমতি নেই।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বার্তা২৪.কমকে জানান, জনসাধারণের কষ্ট হয় এমন কর্মসূচি দেবে না বিএনপি। কারণ আমাদের চেয়ে যারা খালেদা জিয়ার কষ্টে বেশি যন্ত্রণায় রয়েছে তাদের দুর্ভোগ বাড়াতে চাই না। আমাদের মূল বিবেচ্য হবে জনগণের যাতে দুর্ভোগ না হয়। এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রতিবাদ ও বিক্ষোভের মতো কর্মসূচি থাকতে পারে।

বিএনপির বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিএনপির বড় কর্মসূচি দিলে সমাবেশ দিতে পারে। আর ছোট কর্মসূচির মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিকী অনশন থাকতে পারে। ঢাকার বাইরে জেলা পর‌্যায়েও কর্মসূচি থাকতে পারে। অতীতে দোয়ার কর্মসূচি পালন করার নজীর রয়েছে।

ওই নেতারা বলেছেন, বড় ধরণের কর্মসূচি সফল করার মতো অবস্থানে নেই বিএনপি। কারণে মহানগর বিএনপির কমিটি নেই, যুবদলের কমিটি নেই। কাদের মাধ্যমে কর্মসূচি সফল করবে। বিএনপির বিষয়টি ভালো করেই জানে।

বিএনপির অপর একটি সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার দাবীর পাশাপাশি সময় সাময়িক ইস্যুতে কাজে লাগানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এরমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর, ট্রানজিট ইস্যু, সীমান্ত হত্যা, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, কারাবন্দি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়টি থাকতে পারে। আর সরকারের পদত্যাগের এক দফা আবশ্যিকভাবে যুক্ত থাকতে পারে।

বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির বৈঠকে রাজপথ বেছে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনার করার দায়িত্ব দেওয়া হয় মহাসচিবকে। গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এটি হবে বিএনপির চতুর্থ দফা রাজপথ কর্মসূচি।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ আদালতে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হওয়ার পর ২০১৭ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান খালেদা জিয়া। পরের বছর ২০২১ সালের ৩০ অক্টোবর হাইকোর্ট এই মামলায় তার আপিল খারিজ করে দেওয়ার পর তার শাস্তি বাড়িয়ে ১০ বছর করে দেয়। এর আগে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর ঢাকার আরেকটি বিশেষ আদালত সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীকে দোষী সাব্যস্ত করে। তখন তাকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

করোনা মহামারির সময় ২০২০ সালের ২৫ মার্চ সরকার ফৌজদারি কার্যবিধির (সিআরপিসি) ৪০১ (১) ধারা অনুযায়ী কারাদণ্ড স্থগিত করে বিএনপি প্রধানকে মুক্তি দেয়।

মানবিক কারণে সরকার প্রধানের নির্বাহী আদেশে তিনি বাইরে আছেন। সেই একই কারণে বিদেশের পাঠানো কোনো সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, 'যা-ই করতে হবে আইনের মাধ্যমে করতে হবে। যে আইনে তাকে বের করা হয়েছে, তাতে (বিদেশে যাওয়ার) সুযোগ নেই।'

২০০৯ সালের জানুয়ারিতে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাসীন হওয়ার দেড় বছর পর ২০১০ সালের ২৭ জুন প্রথম হরতাল ডাকে বিএনপি। এরপর খালেদা জিয়ার মামলা প্রত্যাহার, তারেক জিয়ার মামলা প্রত্যাহার ও খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে উচ্ছেদের প্রতিবাদে একাধিক দফায় হরতাল পালন করে বিএনপি। অন্যদিকে ২০১৫ সালে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবরোধ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপি। জ্বালাও পোড়াওয়ের মধ্যে দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চলে সেই কর্মসূচি। আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও ওই অবরোধ প্রত্যাহার করেনি বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপি। ওই কর্মসূচি নিয়ে অনেক হাস্যরস ও ট্রল করা হয় এখনও।

;

খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বরিশালে যুবদলের দোয়া



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, বরিশাল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বরিশাল দক্ষিণ জেলা যুবদলের আয়োজনে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।


মঙ্গলবার (২৫ জুন) যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আলহাজ্ব মামুন রেজা খানের সভাপতিত্বে দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন বরিশাল দক্ষিণ জেলা বিএনপি সদস্য সচিব সাবেক ছাত্র নেতা এ্যাড, আবুল কালাম শাহিন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন, বরিশাল বিভাগীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড, এইচ এম তছলিম উদ্দিন। এসময় উপস্থিত ছিলেন যুবদলের সহ সভাপতি সালাউদ্দিন নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাড, হাফিজ আহমেদ বাবলু, মহানগর যুবদল ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুদ, যুগ্ম সম্পাদক আশ্রাফুল ইসলাম মাহফুজ, যুগ্ম সম্পাদক উলফৎ রানা রুবেল, রফিকুল ইসলাম রুহুল, দপ্তর সম্পাদক শাহাবুদ্দিন হাওলাদার সহ জেলা ও বিভিন্ন উপজেলার আহবায়ক, সদস্য সচিব সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

;

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচিতে যাচ্ছে বিএনপি। বুধবার এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পাবে। তবে কী ধরণের কর্মসূচি দেওয়া হবে তা এখনও জানানো হয়নি।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

তিনি বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে আন্দোলন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেই লক্ষে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ সাম্প্রতিক গণতান্ত্রিক বিশ্বে অতুলনীয়। খালেদা জিয়াকে পরিকল্পিতভাবে মিথ্যা মামলায় সাজা প্রদান করে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার লক্ষে এই হীন চক্রান্ত করছে অবৈধ সরকার। শুধু রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তাকে বন্দি করে রাখা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং সংবিধানবিরোধী। এই মামলায় জামিন পাওয়া তার সাংবিধানিক অধিকার।

খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, চিকিৎসকেরা তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাকে মুক্তি দিয়ে বিদেশে পাঠানোর দাবি জানানো হয়েছে। এমন কী পরিবারের পক্ষ থেকে দুই বার তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চাওয়া হয়েছে। কিন্তু অবৈধ সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে তাকে হত্যার উদ্দেশে উন্নত চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত করেছে। অনতিবিলম্বে খালেদা জিয়াকে নিঃশর্ত মুক্তি দাবি জানাচ্ছি।

হঠাৎ অসুস্থতা বেড়ে গেলে শুক্রবার (২১ জুন) গভীর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনকে অ্যাম্বুলেন্সে করে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার (২৩ জুন) বেগম খালেদা জিয়ার হৃৎপিণ্ডে পেসমেকার বসানো হয়েছে।

বর্তমানে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের অধীনে খালেদা জিয়া চিকিৎসাধীন আছেন। ওই গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা শনি ও রোববার কয়েক দফা বৈঠকে বসে পেসমেকার লাগানোর সিদ্ধান্ত দেন।

লন্ডন থেকে খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবায়েদা রহমান এবং যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ভার্চুয়ালি মেডিকেল বোর্ডের এসব সভায় যুক্ত থাকেন।

৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া ডায়াবেটিস, আর্থারাইটিস ছাড়াও হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছেন। গত চার বছরে বেশ কয়েকবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিতে হয়েছে।

;

শেখ হাসিনার ভারত সফর বাংলাদেশের স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ: ফখরুল



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

  • Font increase
  • Font Decrease

একতরফাভাবে ভারতকে সুবিধা দিয়ে বাংলাদেশকে বঞ্চিত করা হয়েছে দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফর বাংলাদেশের স্বার্থ আদায়ে ব্যর্থ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৫ জুন) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগ সরকার অবৈধ বলে মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকারের পররাষ্ট্রনীতির কারণে বাংলাদেশের স্বার্থ ব্যাহত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি চুক্তি না করে একতরফা ভারতকে সুবিধা দিয়েছে। বিএনপি এ অপরিকল্পিত চুক্তি প্রত্যাখ্যান করে।

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতি হয়েছে। পরিকল্পিতভাবে, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে খালেদা জিয়াকে বন্দী করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য বেগম জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা।

;